তেরোই জুলাই কথা দিয়েছিলে আসবে। সেই মত আমি সাজিয়েছিলাম আকাশে ব্যস্ত আলোর অজস্র নীল জোনাকি। সেই মত আমি জানিয়েছিলাম নদীকে প্রস্তুত থেকো, জলে যেন ছায়া না পড়ে মেঘ বা গাছের। তেরোই জুলাই…
Author: বাংলা কবিতা
কথোপকথন – ২১ -পূর্ণেন্দু পত্রী
তোমাদের ওখানে এখন লোডশেডিং কি রকম? -বোলো না। দিন নেই, রাত নেই, জ্বালিয়ে মারছে। -তুমি তখন কী করো? -দরজা খুলে দিই জানালা খুলে দিই র্প দা খুলে দিই। আজকাল হাওয়াও হয়েছে তেমনি…
কথোপকথন -১৮ -পূর্ণেন্দু পত্রী
হ্যালো, হ্যালো কখন আসছ তুমি ? কোথায় মেঘ ? কোথাও মেঘ নেই । হ্যালো,হ্যালো,বৃষতি যদি নামে ? ভিজবে,হ্যালো ভিজবো,অনায়াসে গাছপালারা যেমন করে ভেজে ভিজলে তৃণ রাজার ছেলে হয় হ্যালো,হ্যালো বলছি ভিজবো জলে…
কথোপকথন -১৭ -পূর্ণেন্দু পত্রী
-নন্দিনী,তুমি একটুখানি তো জল অথচ ভাসাও স্রোতের কলস্বরে । -তুমিও তো মিহি বাতাস,শুভঙ্কর অথচ কী করে কাঁপাও সুখের ঝড়ে ?
কথোপকথন -১৬ -পূর্ণেন্দু পত্রী
ওগো সুন্দরী !মনে আছে কাল তেসরা জুন ? সেকি! ভুলে গেছো?তুমি তো দেখছি সাংঘাতিক! ভুলে গেলে তিথি প্রথম বিবাহ বার্ষিকীর? আজ্ঞে না এটা ঠাট্টা নয় বা ইয়ার্কি । ফিচেল হাওয়ারা যে ভাবে…
কথোপকথন – ১৫ -পূর্ণেন্দু পত্রী
তরমুজের বাইরে টা সবুজ ভিতরটা লাল আচ্ছা বলোতো, কেন মনে পড়লো কথাটা? পারলে না? তোমার সবুজ শাড়ির দিকে তাকিয়ে।
কথোপকথন – ১৪ -পূর্ণেন্দু পত্রী
-দেখো অনন্তকাল ঝিঁ ঝিঁ পোকার মত আমরা কথা বলছি অথচ কোন কথাই শেষ হয় না এখনও। একটা লাল গোলাপের কান্নার গল্প শোনাবে বলেছিলে কবে বলবে? -চলো উঠি। বড্ড গরম এখানে। -দেখ, অনন্তকাল…
কথোপকথন -১৩ – পুর্ণেন্দু পত্রী
-তোমার মধ্যে অনন্তকাল বসবাসের ইচ্ছে তোমার মধ্যেই জমিজমা ঘরবাড়ি, আপাতত একতলা হাসছো কেন? বলো হাসছো কেন? -একতলা আমার এক বিন্দু পছন্দ নয় সকাল সন্ধে চাঁদের সাথে গপ্পো গুজব হবে তেমন উচু নাহলে…
কথোপকথন – ১২ – পুর্ণেন্দু পত্রী
কাল বিকেলে তোমার ঘাড়ে চিবুক রেখে প্রকাণ্ড বাঘ কি খুঁজছিল দেখতে পেলে? -জানি জানি খুঁজছিল তার সুখের নদীর উৎস এবং পারাপারের শেষ পারানি -সমস্ত রাত নিজের বুকের পাথর খুড়ে বইয়েছে কাল ক্ষতিকারক…
কথোপকথন -১১ -পুর্ণেন্দু পত্রী
– তুমি আজকাল বড্ড সিগারেট খাচ্ছ শুভন্কর। – এখুনি ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছি… কিন্তু তার বদলে?? –বড্ড হ্যাংলা। যেন খাওনি কখনো? – খেয়েছি। কিন্তু আমার খিদের কাছে সে সব নস্যি। কলকাতাকে এক খাবলায়…