আমি ছাড়া অনেককেই তো অনেক দিলে। এর আকাশে ওর আকাশে ওষ্ঠপুটের অনেক পাখি উড়িয়ে দিলে পায়রাকে ধান খুটিতে দিলে খোয়াই জুড়ে বুকের দুটো পর্দাঢাকা জানলা খুলে কতজনকে হাত-ডোবানো বৃষ্টি দিলে। কত মুখের রোদের রেখা মুছিয়ে দিলে নীল রুমালে। আমি ছাড়া অনেককেই তো অনেক দিলে। চায়ের কাপে মিষ্টি দিলে হাসির থেকে ...
Read More »তোমার বিষাদগুলি __পূর্ণেন্দু পত্রী
তোমার বিষাদগুলি করতলে তুলে নিতে দাও ওষ্ঠপুটে রাখি। ভীষণ বৃষ্টির শব্দ সারাদিন স্মৃতির ভিতরে। একাকিনী বসে আছ বৃষ্টির ভিতরে বালুকাবেলায় কবেকার উইয়ে-খাওয়া ছবি। তোমার বিষাদগুলি করতলে তুলে নিতে দাও ওষ্ঠপুটে রাখি। মানুষের ভীষণ বিষাদ একদিন বেজেছে মন্দিরে শঙ্খ-ঘন্টা রবে। মানুষের মহান বিষাদ ভাষ্কর্যখচিত স্তম্ভে একদিন ছুঁয়েছে আকাশ। আজ ভীষণ নীরব। ...
Read More »নিষিদ্ধ ভালোবাসার তিন সাক্ষী __পূর্ণেন্দু পত্রী
তুমি যখন শাড়ির আড়াল থেকে শরীরের জ্যোৎস্নাকে একটু একটু করে খুলছিলে, পর্দা সরে গিয়ে অকস্মাৎ এক আলোকিত মঞ্চ, সবুজ বিছানায় সাদা বাগান, তুমি হাত রেখেছিলে আমার উৎক্ষিপ্ত শাখায় আমি তোমার উদ্বেলিত পল্লবে, ঠিক তখনই একটা ধুমসো সাদা বেড়াল মুখ বাড়িয়েছিল খোলা জানালায়। অন্ধকারে ও আমাদের ভেবেছিল রুই মৃগেলের হাড় কাঁটা। ...
Read More »বৃক্ষের ভাগ্যকে ঈর্ষা করি __পূর্ণেন্দু পত্রী
বৃক্ষের ভাগ্যকে ঈর্ষা করি। নিজের বেদনা থেকে নিজেই ফোটায় পুস্পদল। নিজের কস্তরী গন্ধে নিজেই বিহ্বল। বিদীর্ণ বল্কলে বাজে বসন্তের বাঁশী বারংবার আত্মজ কুসুমন্ডলি সহস্র চুম্বনচিহ্নে অলল্কৃত করে ওষ্ঠতল। আমি একা ফুটিতে পারি না আমি একা ফোটাতে পারি না। রক্তের বিষাদ থেকে আরক্তিম একটি কুসুমও। আমাকে বৃক্ষের ভাগ্য তুমি দিতে পারো। ...
Read More »বড়ে গোলাম __পূর্ণেন্দু পত্রী
ফুলের গন্ধে ফোটার জন্যে নারীর স্পর্শ পাবার জন্যে ঘুমের মধ্যে কাঁদতে কাঁদতে আমরা যেদিন যুবক হোলাম। বাইরে তখন বক্ষে বৃক্ষে জলে স্থলে অন্তরীক্ষে আমাদের সেই কান্না নিয়ে গান গাইছে বড়ে গোলাম। ফুলের কাছে নারীর কাছে বুকের বিপুল ব্যথার কাছে বেদনাবহ যে সব কথা বলতে গিয়ে ব্যর্থ হোলাম। তারাই যখন ফিরে ...
Read More »মাধবীর জন্যে __পূর্ণেন্দু পত্রী
আয়নার পাশে একটু অন্ধকার ছায়া এঁকে দাও। ব্যথিত দৃশ্যের পট জুড়ে থাক চিত্রিক আঁধার। দেয়ালের ছবিটাকে একটু সরাতে হবে ভাই। ওটা নয়, এই ছবিটাকে। জুলিয়েট জ্যেৎস্নার ভিতরে রক্তে উচ্চকিত তৃষ্ণা রোমিওর উষ্ণ ওষ্ঠাধরে। ব্যাস, ব্যাস। লাইটস্ বার্ণিং। মাধবী, আসুন। একটা ক্লোজআপ নেব। এখানে দাঁড়ান, একটু বা দিক ঘেষে প্লীজ। মনিটার… ...
Read More »যূথী ও তার প্রেমিকেরা __পূর্ণেন্দু পত্রী
আকাশে বাতাসে তুমুল দ্বন্দ্ব কে আগে কাড়বে যূথীর গন্ধ কার হাতে বড় নখ। স্বর্গে মর্তে যে যার গর্তে যূথীকে গলার মালায় পরতে ভীষণ উত্তেজক।। মেঘের ভঙ্গী গোঁয়ার মহিষ রোদ রাগী ঘোড়া, সুর্ঘ সহিস, বজ্র বানায় বোমা। বিদ্যুৎ চায় বিদীর্ণ মাটি গাছে গাছে খাড়া সড়কি ও লাঠি নদী গিরি বন ভয়ে ...
Read More »স্বপ্নের বিছানা __পূর্ণেন্দু পত্রী
রাত্রিবেলা বুকের মধ্যে একগোছা বৈদ্যুতিক তার আর নীল রঙের একটা বালব টাঙিয়ে রাখা ভালো। অন্ধকারে গায়ে নীল রঙের জামা পরিয়ে দিলে স্বপ্ন দেখার দরজা খুলে দেয় সে। মানুষের নিত্যনৈমিত্তিক খাটে স্বপ্ন দেখার আলাদা কোনো বিছানা-বালিশ নেই। অবিকল স্বপ্নের মতো নারীরও শুয়ে নেই কোনো খাটে। স্বপ্নের মধ্যে ছাড়া আর কোথায় আকাশময় ...
Read More »স্বরচিত নির্জনতা __পূর্ণেন্দু পত্রী
স্বরচিত নির্জনতা, সযত্ন-সৃজিত নির্জনতা তুমি আছ পার্শ্ববর্তী,কী অপুর্ব সুখ। বাইরে ভুলের হাওয়া বইছে বহুক। পল্লবেরা মরে শুধু পল্লবেরা অবেলায় ঝরে পল্লবেরা কাঁপে গায়ে হতাশার জর বনস’লী ভুলে গেছে নিজস্ব মর্মর। আদিম চীৎকার তুলে কাপালিক মগ্ন মন্ত্র পাঠে অশ্রুধ্বনি নাভীমূলে অবনত শোকে যারা হাঁটে। কেউ যদি চায় বিশ্বটাকে কিনে নেবে এক ...
Read More »নতুন শব্দ : সফদার হাসমি __পূর্ণেন্দু পত্রী
এই মৃত্যুশোক কাঁধ থেকে নামানো যাবে না কোনোদিন। আর বর্বরতা কি নির্বোধ। যেন মৃত্যু হলেই মুছে যায় প্রতিজ্ঞার প্রাণ। আক্রমণ কোনো নতুন শব্দ নয়। হিংসা কোনো নতুন শব্দ নয়। নতুন শব্দ-সফদার হাসমি। সফদার হাসমি মানে জাগা, জেগে থাকা, জাগানো।
Read More »