দুরভিসন্ধির খেলা শেষ হয়ে কোনোদিন দিন যদি আসে, এই দেশে ভালোবেসে বলবে মানুষ, অনন্বিত অসন্তোষ অজারকতার কালে এসে লাবন্যের লকলকে লতা এক খুব কায়ক্লেশে একদিন তুলেছিলো বিনয়াবনত মাথা এতোটুকু ছিলো না দীনতা।…
হেলাল হাফিজ
হেলাল হাফিজ (Helal Hafiz) বাংলা সাহিত্যের একজন বিখ্যাত আধুনিক কবি। হেলাল হাফিজ এর কবিতা (Poem) বিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করে। তার একমাত্র কবিতার বই ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ বাংলা সাহিত্যের এক অন্যন্য সংযোজন। তার বেশিরভাগ কবিতাই (kobita) বিরহ নিয়ে লেখা। তাই তাকে বিরহের কবিও বলা হয়।
শামুক __হেলাল হাফিজ
‘অদ্ভুত, অদ্ভুত’ বলে সমস্বরে চিৎকার করে উঠলেন কিছু লোক। আমি নগরের জ্যেষ্ঠ শামুক একবার একটু নড়েই নতুন ভঙ্গিতে ঠিক গুটিয়ে গেলাম, জলে দ্রাঘিমা জুড়ে যে রকম গুটানো ছিলাম, ছিমছাম একা একা ভেতরে…
সম্প্রদান __হেলাল হাফিজ
ভাদ্রের বর্ধিত আষাঢ়ে সখ্য হয়েছিলো। সে প্রথম, সে আমার শেষ। পথে ও প্রান্তরে, ঘরে, দিতে রাতে, মাসে ও বছরে সমস্ত সাম্রাজ্য জুড়ে সে আষাঢ় অতোটা ভেজাবে আমি ভাবিনি কসম। আমার সকল শ্রমে,…
হিজলতলীর সুখ __হেলাল হাফিজ
বলাই বাহুল্য আমি রাজনীতিবিদ নই, সুবক্তাও নই তবু আজ এই সমাবেশে বলবো কয়েক কথা সকলের অনুমতি পেলে। –’বলুন, বলুন’। রঙিন বেলুন দিয়ে মন ভোলানোর কোনো ইচ্ছে আমার নেই, উপস্থিত সুধী, কেউ ভুলে…
হিরণবালা __হেলাল হাফিজ
হিরণবালা তোমার কাছে দারুন ঋণী সারা জীবন যেমন ঋণী আব্বা এবং মায়ের কাছে। ফুলের কাছে মৌমাছিরা বায়ুর কাছে নদীর বুকে জলের খেলা যেমন ঋণী খোদার কসম হিরণবালা তোমার কাছে আমিও ঠিক তেমনি…
হৃদয়ের ঋণ – হেলাল হাফিজ
আমার জীবন ভালোবাসাহীন গেলে কলঙ্ক হবে কলঙ্ক হবে তোর, খুব সামান্য হৃদয়ের ঋণ পেলে বেদনাকে নিয়ে সচ্ছলতার ঘর বাঁধবো নিমেষে। শর্তবিহীন হাত গচ্ছিত রেখে লাজুক দু’হাতে আমি কাটাবো উজাড় যুগলবন্দী হাত অযুত…
সুন্দরের গান __হেলাল হাফিজ
হলো না, হলো না। শৈশব হলো না, কৈশোর হলো না না দিয়ে যৌবন শুরু, কার যেন বিনা দোষে শুরুটা হলো না। হলো না, হলো না। দিবস হলো না, রজনীও না সংসার হলো…
রাখালের বাঁশি __হেলাল হাফিজ
কে আছেন ? দয়া করে আকাশকে একটু বলেন – সে সামান্য উপরে উঠুক, আমি দাঁড়াতে পারছি না ।
অচল প্রেমের পদ্য – ০১ – হেলাল হাফিজ
আছি। বড্ড জানান দিতে ইচ্ছে করে, – আছি, মনে ও মগজে গুন্ গুন্ করে প্রণয়ের মৌমাছি।
অচল প্রেমের পদ্য – ০২ __হেলাল হাফিজ
কোনদিন, আচমকা একদিন ভালোবাসা এসে যদি হুট করে বলে বসে,- ‘চলো যেদিকে দুচোখ যায় চলে যাই’, যাবে?