‘হাত বাড়ালেই মুঠো ভরে যায় ঋণে অথচ আমার শস্যের মাঠ ভরা। রোদ্দুর খুঁজে পাই না কখনো দিনে, আলোতে ভাসায় রাতের বসুন্ধরা। টোকা দিলে ঝরে পচা আঙুলের ঘাম, ধস্ত তখন মগজের মাস্তুল নাবিকেরা…
Tag: বাংলা কবিতা
ভালবাসার সময় তো নেই – রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
ভালবাসার সময় তো নেই ব্যস্ত ভীষন কাজে, হাত রেখো না বুকের গাড় ভাজে। ঘামের জলে ভিজে সাবাড় করাল রৌদ্দুরে, কাছএ পাই না, হৃদয়- রোদ দূরে। কাজের মাঝে দিন কেটে যায় কাজের কোলাহল…
চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয় – রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়- বিচ্ছেদ নয় চলে যাওয়া মানে নয় বন্ধন ছিন্ন-করা আর্দ্র রজনী চলে গেলে আমারও অধিক কিছু থেকে যাবে আমার না-থাকা জুড়ে। জানি চরম সত্যের কাছে নত হতে হয়…
কেউ কথা রাখেনি – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনি ছেলেবেলায় এক বোষ্টুমী তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিল শুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু শুনিয়ে যাবে তারপর কত চন্দ্রভূক অমাবস্যা চলে গেলো, কিন্তু সেই…
ভালোবাসা __সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভালোবাসা নয় স্তনের ওপরে দাঁত? ভালোবাসা শুধু শ্রাবণের হা-হুতাশ? ভালোবাসা বুঝি হৃদয় সমীপে আঁচ? ভালোবাসা মানে রক্ত চেটেছে বাঘ! ভালোবাসা ছিল ঝর্ণার পাশে একা সেতু নেই আকাশে পারাপার ভালাবাসা ছিল সোনালি ফসলে…
সেই গল্পটা – পূর্ণেন্দু পত্রী
আমার সেই গল্পটা এখনো শেষ হয়নি। শোনো। পাহাড়টা, আগেই বলেছি ভালোবেসেছিল মেঘকে আর মেঘ কী ভাবে শুকনো খটখটে পাহাড়টাকে বানিয়ে তুলেছিল ছাব্বিশ বছরের ছোকরা সে তো আগেই শুনেছো। সেদিন ছিল পাহাড়টার জন্মদিন।…
যে টেলিফোন আসার কথা – পূর্ণেন্দু পত্রী
যে টেলিফোন আসার কথা সে টেলিফোন আসেনি। প্রতীক্ষাতে প্রতীক্ষাতে সূর্য ডোবে রক্তপাতে সব নিভিয়ে একলা আকাশ নিজের শূণ্য বিছানাতে। একান্তে যার হাসির কথা হাসেনি। যে টেলিফোন আসার কথা আসেনি। অপেক্ষমান বুকের ভিতর…
আকাশলীনা – জীবনানন্দ দাশ
সুরঞ্জনা, ঐখানে যেয়োনাকো তুমি, বোলোনাকো কথা অই যুবকের সাথে; ফিরে এসো সুরঞ্জনা: নক্ষত্রের রুপালি আগুন ভরা রাতে; ফিরে এসো এই মাঠে, ঢেউয়ে; ফিরে এসো হৃদয়ে আমার; দূর থেকে দূরে – আরও দূরে…
আট বছর আগে একদিন – জীবনানন্দ দাশ
শোনা গেল লাশকাটা ঘরে নিয়ে গেছে তারে; কাল রাতে ফাল্গুনের রাতের আধারে যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাদ মরিবার হল তার সাধ। বধু শুয়ে ছিল পাশে-শিশুটিও ছিল; প্রেম ছিল, আশা ছিল জোছনায় তবু…
তোমায় আমি – জীবনানন্দ দাশ
তোমায় আমি দেখেছিলাম ব’লে তুমি আমার পদ্মপাতা হলে; শিশির কণার মতন শূন্যে ঘুরে শুনেছিলাম পদ্মপত্র আছে অনেক দূরে খুঁজে খুঁজে পেলাম তাকে শেষে। নদী সাগর কোথায় চলে ব’য়ে পদ্মপাতায় জলের বিন্দু হ’য়ে…