দশ বড় ঘর বান্দাছাও মোনাভাই বড় করছাও আশা রজনী প্রভাতের কালে পঙ্খী ছাড়বে বাসা | . — মুর্শীদা গান নতুন চাষা ও নতুন চাষাণী পাতিল নতুন ঘর, বাবুই পাখিরা নীড় বাঁধে যথা তালের গাছের পর | মাঠের কাজেতে ব্যস্ত রূপাই, নয়া বউ গেহ কাজে, দুইখান হতে দুটি সুর যেন এ ...
Read More »নকশী কাঁথার মাঠ – ১১ __জসীম উদ্দীন
এগার সাজ সাজ বলিয়ারে শহরে পৈল সাড়া, সাত হাজার বাজে ঢোল চৌদ্দ হাজার কাড়া | প্রথমে সাজিল মর্দ আহ্লাদি ডগরি, পাঁচ কাঠে ভুঁই জুইড়া বসে মর্দ এয়সা ভারি | তারপরে সাজিল মর্দ তুরক আমানি, সমুদ্দুরে নামলে তার হৈল আঁটুপানি | তারপরে সাজিল মর্দ নামে লোহাজুড়ী, আছড়াইয়া মারত সে হাতীর শুঁড় ...
Read More »নকশী কাঁথার মাঠ – ১২ __জসীম উদ্দীন
বার রাইত তুই যা রে পোহাইয়ে | বেলা গে ল সন্ধ্যা হৈল—ও হৈলরে! গৃহে জ্বালাও বাতি, না জানি অবলার বন্ধু আসবেন কত রাতিরে! রাইত তুই—যা পোহাইয়ে রাইত না এক পরের হৈল, ও হৈলরে! তারায় জ্বলে বাতি ; রান্ধিয়া বাড়িয়া অন্ন জাগ্ ব কত রাতিরে ; রাইত তুই যারে—যা পোহাইয়ে | ...
Read More »নকশী কাঁথার মাঠ – ১৩ __জসীম উদ্দীন
তেরো বিদ্যাশেতে রইলা মোর বন্ধুরে | বিধি যদি দিত পাখা, উইড়া যাইয়া দিতাম দেখা ; আমি উইড়া পড়তাম সোনা বন্ধুর দেশেরে | আমরা ত অবলা নারী, তরুতলে বাসা বান্ধিরে ; আমার বদন চুয়ায়া পড়ে ঘামরে | বন্ধুর বাড়ী গঙ্গার পার গেলে না আসিবা আর ; আমার না জান বন্ধু, ...
Read More »নকশী কাঁথার মাঠ – ১৪ __জসীম উদ্দীন
চৌদ্দ উইড়া যায়রে হংস পক্ষি পইড়া রয়রে ছায়া ; দেশের মানুষ দেশে যাইব—কে করিবে মায়া | — মুর্শিদা গান আজো এই গাঁও অঝোরে চাহিয়া ওই গাঁওটির পানে, নীরবে বসিয়া কোন্ কথা যেন কহিতেছে কানে কানে | মধ্যে অথই শুনো মাঠখানি ফাটলে ফাটলে ফাটি, ফাগুনের রোদে শুকাইছে যেন কি ব্যথারে মূক ...
Read More »