বাদশা বাবর কাঁদিয়া ফিরিছে, নিদ নাহি চোখে তাঁর- পুত তাহার হুমায়ুন বুঝি বাঁচে না এবার আর! চারিধারে তার শনায়ে আসিছে মরণ-অন্ধকার। রাজ্যের যত বিজ্ঞ হেকিম করিবাজ দরবেশ এসেছে সবাই, দিতেছে বসিয়া ব্যবস্থা সবিশেষ, সেবাযত্নের বিধিবিধানে তু্রটি নাহি এক লেশ। তবু তার সেই দুরন্ত রোগ হটিতেছে নাক হায়, যত দিন যায়, ...
Read More »স্বর্গ ও নরক – শেখ ফজলুল করিম
কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর ? মানুষেরি মাঝে স্বর্গ নরক, –মানুষেতে সুরাসুর ! রিপুর তাড়নে যখনি মোদের বিবেক পায় গো লয়, আত্মগ্লানির নরক-অনলে তখনি পুড়িতে হয়। প্রীতি ও প্রেমের পুণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে, স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরি কুঁড়ে ঘরে।
Read More »স্বাধীনতার সুখ – রজনীকান্ত সেন
বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই- “কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই; আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা ‘পরে, তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে।” বাবুই হাসিয়া কহে- “সন্দেহ কি তায় ? কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়; পাকা হোক, তবু ভাই, পরের ও বাসা, নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর, খাসা।”
Read More »শিক্ষাগুরুর মর্যাদা – কাজী কাদের নেওয়াজ
বাদশাহ আলমগীর- কুমারে তাঁহার পড়াইত এক মৌলভী দিল্লীর। একদা প্রভাতে গিয়া দেখেন বাদশাহ- শাহজাদা এক পাত্র হস্তে নিয়া ঢালিতেছে বারি গুরুর চরণে পুলকিত হৃদে আনত-নয়নে, শিক্ষক শুধু নিজ হাত দিয়া নিজেরি পায়ের ধুলি ধুয়ে মুছে সব করিছেন সাফ্ সঞ্চারি অঙ্গুলি। শিক্ষক মৌলভী ভাবিলেন আজি নিস্তার নাহি, যায় বুঝি তার সবি। ...
Read More »আমার পণ – মদনমোহন তর্কালঙ্কার
সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি , সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি। আদেশ করেন যাহা মোর গুরুজনে , আমি যেন সেই কাজ করি ভালো মনে। ভাইবোন সকলেরে যেন ভালোবাসি , এক সাথে থাকি যেন সবে মিলেমিশি। ভালো ছেলেদের সাথে মিশে করি খেলা , পাঠের সময় যেন নাহি করি হেলা। ...
Read More »উত্তম ও অধম – সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
কুকুর আসিয়া এমন কামড় দিল পথিকের পায় কামড়ের চোটে বিষদাঁত ফুটে বিষ লেগে গেল তাই। ঘরে ফিরে এসে রাত্রে বেচারা বিষম ব্যথায় জাগে, মেয়েটি তাহার তারি সাথে হায় জাগে শিয়রের আগে। বাপেরে সে বলে র্ভৎসনা ছলে কপালে রাখিয়া হাত, তুমি কেন বাবা, ছেড়ে দিলে তারে তোমার কি নাই দাতঁ? কষ্টে ...
Read More »মানুষ – কাজী নজরুল ইসলাম
গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহিয়ান্ । নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে সব কালে ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।- ‘পূজারী দুয়ার খোলো, ক্ষুধার ঠাকুর দাঁড়ায়ে দুয়ারে পূজার সময় হ’ল!’ স্বপন দেখিয়া আকুল পূজারী খুলিল ভজনালয়, দেবতার বরে আজ রাজা-টাজা হ’য়ে যাবে নিশ্চয়! জীর্ণ-বস্ত্র শীর্ণ-গাত্র, ...
Read More »