গেলো গুরুচরণ কামার, দোকানটা তার মামার, হাতুড়ি আর হাপর ধারের ( জানা ছিল আমার ) দেহটা নিজস্ব | রাম নাম সত্ হ্যায় গৌর বসাকের প’ড়ে রইল ভরন্ত খেত খামার| রাম নাম সত্ হ্যায় || দু-চার পিপে জমিয়ে নস্য হঠাত্ ভোরে হ’লো অদৃশ্য— ধরনটা তার খ্যাপারই— হরেকৃষ্ণ ব্যাপারি | রাম নাম ...
Read More »পিঁপড়ে – অমিয় চক্রবর্তী
আহা পিঁপড়ে ছোটো পিঁপড়ে ঘুরুক দেখুক থাকুক কেমন যেন চেনা লাগে ব্যস্ত মধুর চলা — স্তব্ ধ শুধু চলায় কথা বলা — আলোয় গন্ধে ছুঁয়ে তার ঐ ভুবন ভ’রে রাখুক, আহা পিঁপড়ে ছোটো পিঁপড়ে ধুলোর রেণু মাখুক || ভয় করে তাই আজ সরিয়ে দিতে কাউকে, ওকে চাইনে দুঃখ দিতে | ...
Read More »রাত্রি – অমিয় চক্রবর্তী
অতন্দ্রিলা, ঘুমোওনি জানি তাই চুপি চুপি গাঢ় রাত্রে শুয়ে বলি, শোনো, সৌরতারা-ছাওয়া এই বিছানায় —সূক্ষ্মজাল রাত্রির মশারি— কত দীর্ঘ দুজনার গেলো সারাদিন, আলাদা নিশ্বাসে—এতক্ষণে ছায়া-ছায়া পাশে ছুঁই কী আশ্চর্য দু-জনে দু-জনা— অতন্দ্রিলা, হঠাত্ কখন শুভ্র বিছানায় পড়ে জ্যোত্স্না, দেখি তুমি নেই ||
Read More »বিনিময় – অমিয় চক্রবর্তী
তার বদলে পেলে— সমস্ত ঐ স্তব্ ধ পুকুর নীল-বাঁধানো স্বচ্ছ মুকুর আলোয় ভরা জল— ফুলে নোয়ানো ছায়া-ডালটা বেগনি মেঘের ওড়া পালটা ভরলো হৃদয়তল— একলা বুকে সবই মেলে ||তার বদলে পেলে— শাদা ভাবনা কিছুই-না-এর খোলা রাস্তা ধুলো-পায়ের কান্না-হারা হাওয়া— চেনা কণ্ঠে ডাকলো দূরে সব-হারানো এই দুপুরে ফিরে কেউ-না-চাওয়া | এও কি ...
Read More »ওক্লাহোমা – অমিয় চক্রবর্তী
সাক্ষাত্ সন্ধান পেয়েছ কি ৩-টে ২৫-শে? বিকেলের উইলো বনে রেড্ এরো ট্রেনের হুইসিল শব্ দ শেষ ছুঁয়ে গাঁথে দূর শূণ্যে দ্রুত ধোঁয়া নীল ; মার্কিন ডাঙার বুকে ঝোড়ো অবসান গেলো মিশে || অবসান গেল মিশে || মাথা নাড়ে ‘জানি’ ‘জানি’ ক্যাথলিক গির্জাচুড়া স্থির, পুরোনো রোদ্দুরে ওড়া কাকের কাকলি পাখা ভিড় ...
Read More »বড়োবাবুর কাছে নিবেদন – অমিয় চক্রবর্তী
তালিকা প্রস্তুত কী কী কেড়ে নিতে পারবে না- হই না নির্বাসিত-কেরানি। বাস্তুভিটে পৃথিবীটার সাধারণ অস্তিত্ব। যার এক খন্ড এই ক্ষুদ্র চাকরের আমিত্ব। যতদিন বাঁচি, ভোরের আকাশে চোখ জাগানো, হাওয়া উঠলে হাওয়া মুখে লাগানো। কুয়োর ঠান্ডা জল, গানের কান, বইয়ের দৃষ্টি গ্রীষ্মের দুপুরে বৃষ্টি। আপন জনকে ভালোবাসা, বাংলার স্মৃতিদীর্ণ বাড়ি-ফেরার আশা। ...
Read More »কোথায় চলছে পৃথিবী – অমিয় চক্রবর্তী
তোমারও নেই ঘর আছে ঘরের দিকে যাওয়া। সমস্ত সংসার হাওয়া উঠছে নীল ধূলোয় সবুজ অদ্ভূত; দিনের অগ্নিদূত আবার কালো চক্ষে বর্ষার নামে ধার। কৈলাস মানস সরোবর অচেনা কলকাতা শহর— হাঁটি ধারে ধারে ফিরি মাটিতে মিলিয়ে গাছ বীজ হাড় স্বপ্ন আশ্চর্য জানা এবং তোমার আঙ্কিক অমোঘ অবেদন আবর্তন নিয়ে কোথায় চলছে ...
Read More »বৃষ্টি – অমিয় চক্রবর্তী
কেঁদেও পাবে না তাকে বর্ষার অজস্র জলধারে। ফাল্গুন বিকেলে বৃষ্টি নামে। শহরের পথে দ্রুত অন্ধকার। লুটোয় পাথরে জল, হাওয়া তমস্বিনী; আকাশে বিদ্যুৎজ্বলা বর্শা হানে ইন্দ্রমেঘ; কালো দিন গলির রাস্তায়। কেঁদেও পাবে না তাকে অজস্র বর্ষার জলধারে। নিবিষ্ট ক্রান্তির স্বর ঝরঝর বুকে অবারিত। চকিত গলির প্রান্তে লাল আভা দুরন্ত সিঁদুরে পরায় ...
Read More »১৩৫০ – অমিয় চক্রবর্তী -অমিয় চক্রবর্তী
হাত থেকে তার পড়ে যায় খসে অবশ্য আধলা ধুলোয়। চোখ ঠেলে খোলা অসাড় শূন্যে। প্রাণ, তুমি আজো আছ ঐ দেহে, আছ মুমূর্ষু দেশে। কঙ্কাল গাছ ভাদ্রশেষের ভিখারী ডালটা নাড়ে, কড়া রোদ্দুর প্রখর দুপুরে ফাটে। হাতের আঙুলে স্নেহ দিয়েছিলে চোখে চেনা জাদু আপন ঘরের বুকে – বাঙলার মেয়ে, এসে ছিল তার ...
Read More »