পূর্বকার দেশাচার কিছুমাত্র নাহি আর অনাচারে অবিরত রত। কোথা পূর্ব রীতি নীতি, অধর্মের প্রতি প্রীতি, শ্রুতি হয় শ্রুতিপথহত।। দেশের দারুণ দুখ দেখিয়া বিদরে বুক, চিন্তায় চঞ্চল হয় মন। লিখিতে লেখনী কাঁদে ম্লানমুখ মসীছাঁদে শোক-অশ্রু করে বরিষণ।। কি ছিল কি হ’ল, আহা, আর কি হইবে তাহা, ভারতের ভবভরা যশ। ঘুচিবে সকল ...
Read More »তপসে মাছ – ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
কষিত-কনককান্তি কমনীয় কায়। গালভরা গোঁফ-দাড়ি তপস্বীর প্রায়॥ মানুষের দৃশ্য নও বাস কর নীরে। মোহন মণির প্রভা ননীর শরীরে॥ পাখি নও কিন্তু ধর মনোহর পাখা। সমধুর মিষ্ট রস সব-অঙ্গে মাখা॥ একবার রসনায় যে পেয়েছে তার। আর কিছু মুখে নাহি ভাল লাগে তার॥ দৃশ্য মাত্র সর্বগাত্র প্রফুল্লিত হয়। সৌরভে আমোদ করে ত্রিভুবনময়॥ ...
Read More »মাতৃভাষা – ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
মায়ের কোলেতে শুয়ে ঊরুতে মস্তক থুয়ে খল খল সহাস্য বদন। অধরে অমৃত ক্ষরে আধ আধ মৃদু স্বরে আধ আধ বচনরচন।। কহিতে অন্তরে আশা মুখে নাহি কটু ভাষা ব্যাকুল হয়েছে কত তায়। মা-ম্মা-মা-মা-বা-ব্বা-বা-বা আবো আবো আবা আবা সমুদয় দেববাণী প্রায়।। ক্রমেতে ফুটিল মুখ উঠিল মনের সুখ একে একে দেখিলে সকল। মেসো, ...
Read More »কৌলীন্য – ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
মিছা কেন কুল নিয়া কর আঁটাআঁটি। এ যে কুল কুল নয় সার মাত্র আঁটি।। কুলের গৌরব কর কোন্ অভিমানে। মূলের হইলে দোষ কেবা তারে মানে।। ঘটকের মুখে সুধু কুলীনের চোপা। রস নাই যশ কিসে কুল হল টোপা।। আদর হইত তবে ভাঙ্গিলে অরুচি। পোকাধরা সোঁকা ভার দেখে যায় রুচি।। অতএব বৃথা ...
Read More »মানুষ কে? – ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
নিয়ত মানসধামে একরূপ ভাব। জগতের সুখ-দুখে সুখ দুখ লাভ।। পরপীড়া পরিহার, পূর্ণ পরিতোষ। সদানন্দে পরিপূর্ণ স্বভাবের কোষ।। নাহি চায় আপনার পরিবার সুখ। রাজ্যের কুশলকার্যে সদা হাস্যমুখ।। কেবল পরের হিতে প্রেম লাভ যার। মানুষ তারেই বলি মানুষ কে আর? নাহি চায় রাজ্যপদ নাহি চায় ধন। স্বর্গের সমান দেখে বন উপবন।। পৃথিবীর ...
Read More »কে? – ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
বল দেখি এ জগতে ধার্মিক কে হয়, সর্ব জীবে দয়া যার, ধার্মিক সে হয়। বল দেখি এ জগতে সুখী বলি কারে, সতত আরোগী যেই, সুখী বলি তারে। বল দেখি এ জগতে বিজ্ঞ বলি কারে, হিতাহিত বোধ যার, বিজ্ঞ বলি তারে। বল দেখি এ জগতে ধীর বলি কারে, বিপদে যে স্থির ...
Read More »