পাপ ও দুঃখের কথা ছাড়া আর কিছুই থাকে না আয়না ভেঙে বিচ্ছুরণ একদিন বিস্ফোরণ হয় বুক ভেঙে কান্না এলে কান্নাগুলি ছুটে যায় ধূসর অন্তিমে স্বর্গের অলিন্দে- স্বর্গ থেকে তারপর ঢলে পড়ে মহিম…
বাংলা কবিতা (কবিদের তালিকা অনুযায়ী)
বাংলা কবিতা
প্রত্যেক তৃতীয় চিন্তা __সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মানুষের মতো চোখ, বিস্ফোরণ, সমাধির মতো শূন্যে প্রচ্ছন্ন কপাল পদচুম্বনের মতো ভালোবাসা ভিতরে রয়েছে ভালোবাসা তিনশো মাইল দূরে গিয়ে আলিঙ্গন করে দূর থেকে ভালোবাসা দেখে যেতে লোভ হয়, শরীর লুকোতে চায় জ্যোৎস্নালোকে,…
প্রেমহীন __সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
শেষ ভালোবাসা দিয়েছি তোমার পূর্বের মহিলাকে এখন হৃদয় শূন্য, যেমন রাত্রি রাজপথ ঝকমক করে কঠিন সড়ক, আলোয় সাজানো, প্রত্যেক বাঁকে বাঁকে প্রতীক্ষা আছে আঁধারে লুকানো তবু জানি চিরদিন এ-পথ্ থাকবে এমনি সাজানো,…
শুধু কবিতার জন্য __সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
শুধু কবিতার জন্য এই জন্ম, শুধু কবিতার জন্য কিছু খেলা, শুধু কবিতার জন্য একা হিম সন্ধেবেলা ভুবন পেরিয়ে আসা, শুধু কবিতার জন্য অপলক মুখশ্রীর শান্তি একঝলক; শুধু কবিতার জন্য তুমি নারী, শুধু…
হঠাৎ নীরার জন্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
বাস স্টপে দেখা হলো তিন মিনিট, অথচ তোমায় কাল স্বপ্নে বহুক্ষণ দেখেছি ছুরির মতো বিঁধে থাকতে সিন্ধুপারে–দিকচিহ্নহীন– বাহান্ন তীর্থের মতো এক শরীর, হাওয়ার ভিতরে তোমাকে দেখছি কাল স্বপ্নে, নীরা, ওষধি স্বপ্নের নীল…
হিমযুগ __সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
শরীরের যুদ্ধ থেকে বহুদূর চলে গিয়ে ফিরে আসি শরীরের কাছে কথা দিয়েছিলে তুমি উদাসীন সঙ্গম শেখাবে- শিশিরে ধুয়েছো বুক, কোমল জ্যোঃস্নার মতো যোনি মধুকূপী ঘাসের মতন রোম, কিছুটা খয়েরি কথা দিয়েছিলে তুমি…
অনির্বচনীয় __পূর্ণেন্দু পত্রী
নীল তারার আকাশে কত গান যে গায় পাখি কত যে পাখি সাগর-ছোঁয়া ডানায় রোদ ভরে এখানে আসে-আমার কাছে আমার উঠোনেই বধূর মতো কোমল দুটি করুণ চোখ তুলে। বধূও আসে কাজল রাতে কাজলদিঘী…
ওগো তুমি বলে দাও __পূর্ণেন্দু পত্রী
আহা! এই পৃথিবীতে উজ্জীবিত কত না সুন্দর কত না সুন্দর এই পৃথিবীর অথৈ হৃদয়, সূর্যোদয়ে কত শোভা কত শোভা গোধূলি সন্ধ্যায় নক্ষত্র ব্যাপ্তির রূপ বিরহী গগনে উন্মুখর। সুন্দর দেখেছি কত আশ্বিনে এবং…
কী করে ভালোবাসবো __পূর্ণেন্দু পত্রী
কী করে ভালোবাসবো বল কী করে ভালোবাসবো বল সখী, মরুভূমির মতন যদি প্রাণের দাহে অহরহই জ্বলি, হৃদয়ে যদি গভীর ক্ষত বালুচরের মতন গ্রাস করে, কী করে ভালোবাসবো বল কী করে ভালোবাসবো বল…
বলো __পূর্ণেন্দু পত্রী
১ কে ডাকল? দরজা খুলি। কেউ নেই। পাতাবাহারের ডালে-ডালে লুটোপুটি হাওয়ার হাসির খিলখিল। হঠাৎ তোমার মুখ। বুকভর্তি দুপুরের খাঁ খাঁ। বলো, কেন ভাঙলে নির্বাসন? ২ নিজের ব্যথার ছুঁচে নিজে আমি সেলায়ে-সেলায়ে নকশি…