একটা ছেলে যখন একটা মেয়েকে নক দেয়, প্রথম দুই একদিন মেয়েটি কিছু না বললেও কয়েকদিন যেতেই মেয়েটি ছেলেটির সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করে দেবে, অপমান করবে, রাগ দেখাবে অথবা ছেলেটির কোনো কথার…
প্রেমের কাহিনী
প্রেমের কাহিনী (Premer kahini) বলতে প্রেমের গল্পকেই বোঝানো হয়। কোনো প্রেমের ঘটনাকে গল্পাকারে বর্ণ্না করাকেই প্রেমের কাহিনী বলে হয়। প্রেম হলো মানুষের আবেগ বা মায়া অর্থাৎ এক ব্যক্তির উপর অন্য কোনো ব্যক্তির স্নেহ, ভালোবাসা বা দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ। মানুষের জীবন ঘটনাবহুল। প্রেমের ঘটনাও তার মধ্যে একটি। যাকে প্রেম কাহিনী বা প্রেমের কাহিনী বলে। Premer kahini or prem kahini means love story. Premer kahini also called a series of love history.
সুভা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মেয়েটির নাম যখন সুভাষিণী রাখা হইয়াছিল তখন কে জানিত সে বোবা হইবে। তাহার দুটি বড়ো বোনকে সুকেশিনী ও সুহাসিনী নাম দেওয়া হইয়াছিল, তাই মিলের অনুরোধে তাহার বাপ ছোটো মেয়েটির নাম সুভাষিণী রাখে।…
স্বামী – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
সৌদামিনী নামটা আমার বাবার দেওয়া। আমি প্রায়ই ভাবি, আমাকে এক বছরের বেশি ত তিনি চোখে দেখে যেতে পাননি, তবে এমন করে আমার ভিতরে বাহিরে মিলিয়ে নাম রেখে গিয়েছিলেন কি করে? বীজমন্ত্রের মত…
বিলাসী – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
পাকা দুই ক্রোশ পথ হাঁটিয়া স্কুলে বিদ্যা অর্জন করিতে যাই। আমি একা নই—দশ-বারোজন। যাহাদেরই বাটী পল্লীগ্রামে, তাহাদেরই ছেলেদের শতকরা আশি জনকে এমনি করিয়া বিদ্যালাভ করিতে হয়। ইহাতে লাভের অঙ্কে শেষ পর্যন্ত একেবারে…
হৈমন্তী – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কন্যার বাপ সবুর করিতে পারিতেন, কিন্তু বরের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না। তিনি দেখিলেন, মেয়েটির বিবাহের বয়স পার হইয়া গেছে, কিন্তু আর কিছুদিন গেলে সেটাকে ভদ্র বা অভদ্র কোনো রকমে চাপা দিবার…
বিরহ – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (অনুপমার প্রেম-পর্ব-১)
একাদশবর্ষ বয়ঃক্রমের মধ্যে অনুপমা নবেল পড়িয়া পড়িয়া মাথাটা একেবারে বিগড়াইয়া ফেলিয়াছে। সে মনে করিল, মনুষ্য-হৃদয়ে যত প্রেম, যত মাধুরী, যত শোভা, যত সৌন্দর্য, যত তৃষ্ণা আছে, সব খুঁটিয়া বাছিয়া একত্রিত করিয়া নিজের…
বিবাহ – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (অনুপমার প্রেম-পর্ব-৩)
আজ ৫ই বৈশাখ। অনুপমার বিবাহ-উৎসবে আজ গ্রামটা তোলপাড় হইতেছে। জগবন্ধুবাবুর বাটীতে আজ ভিড় ধরে না। কত লোক যাইতেছে, কত লোক হাঁকাহাঁকি করিতেছে। কত খাওয়ান-দাওয়ানর ঘটা, কত বাজনা-বাদ্যের ধুম। যত সন্ধ্যা হইয়া আসিতে…
বৈধব্য – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (অনুপমার প্রেম-পর্ব-৪)
তথাপি অনুপমা একটু কাঁদিল। স্বামী মরিলে বাঙালীর মেয়েকে কাঁদিতে হয়, তাই কাঁদিল। তাহার পর স্ব-ইচ্ছায় সাদা পরিয়া সমস্ত অলঙ্কার খুলিয়া ফেলিল। জননী কাঁদিতে কাঁদিতে বলিলেন, “অনু, তোর এ বেশ ত আমি চোখে…
চন্দ্রবাবুর সংসার – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (অনুপমার প্রেম-পর্ব-৫)
তিন বৎসর পরে খালাস হইয়াও ললিতমোহন বাড়ি ফিরিল না। কেহ বলিল, লজ্জায় আসিতেছে না। কেহ বলিল, সে গ্রামে কি আর মুখ দেখাতে পারে? ললিতমোহন নানা স্থান পরিভ্রমন করিয়া দুই বৎসর পরে সহসা…