Category: বাংলা কবিতা (কবিদের তালিকা অনুযায়ী)

অতন্দ্রিলা, ঘুমোওনি জানি তাই চুপি চুপি গাঢ় রাত্রে শুয়ে বলি, শোনো, সৌরতারা-ছাওয়া এই বিছানায় —সূক্ষ্মজাল রাত্রির মশারি— কত দীর্ঘ দুজনার গেলো সারাদিন, আলাদা নিশ্বাসে—এতক্ষণে ছায়া-ছায়া পাশে ছুঁই কী আশ্চর্য দু-জনে দু-জনা— অতন্দ্রিলা,…

তার বদলে পেলে— সমস্ত ঐ স্তব্ ধ পুকুর নীল-বাঁধানো স্বচ্ছ মুকুর আলোয় ভরা জল— ফুলে নোয়ানো ছায়া-ডালটা বেগনি মেঘের ওড়া পালটা ভরলো হৃদয়তল— একলা বুকে সবই মেলে ||তার বদলে পেলে— শাদা ভাবনা…

সাক্ষাত্ সন্ধান পেয়েছ কি ৩-টে ২৫-শে? বিকেলের উইলো বনে রেড্ এরো ট্রেনের হুইসিল শব্ দ শেষ ছুঁয়ে গাঁথে দূর শূণ্যে দ্রুত ধোঁয়া নীল ; মার্কিন ডাঙার বুকে ঝোড়ো অবসান গেলো মিশে ||…

তালিকা প্রস্তুত কী কী কেড়ে নিতে পারবে না- হই না নির্বাসিত-কেরানি। বাস্তুভিটে পৃথিবীটার সাধারণ অস্তিত্ব। যার এক খন্ড এই ক্ষুদ্র চাকরের আমিত্ব। যতদিন বাঁচি, ভোরের আকাশে চোখ জাগানো, হাওয়া উঠলে হাওয়া মুখে…

তোমারও নেই ঘর আছে ঘরের দিকে যাওয়া। সমস্ত সংসার হাওয়া উঠছে নীল ধূলোয় সবুজ অদ্ভূত; দিনের অগ্নিদূত আবার কালো চক্ষে বর্ষার নামে ধার। কৈলাস মানস সরোবর অচেনা কলকাতা শহর— হাঁটি ধারে ধারে…

কেঁদেও পাবে না তাকে বর্ষার অজস্র জলধারে। ফাল্গুন বিকেলে বৃষ্টি নামে। শহরের পথে দ্রুত অন্ধকার। লুটোয় পাথরে জল, হাওয়া তমস্বিনী; আকাশে বিদ্যুৎজ্বলা বর্শা হানে ইন্দ্রমেঘ; কালো দিন গলির রাস্তায়। কেঁদেও পাবে না…

হাত থেকে তার পড়ে যায় খসে অবশ্য আধলা ধুলোয়। চোখ ঠেলে খোলা অসাড় শূন্যে। প্রাণ, তুমি আজো আছ ঐ দেহে, আছ মুমূর্ষু দেশে। কঙ্কাল গাছ ভাদ্রশেষের ভিখারী ডালটা নাড়ে, কড়া রোদ্দুর প্রখর…

সেলের তালা খোলা মাত্রই এক টুকরো রোদ এসে পড়লো ঘরের মধ্যে আজ তুমি আসবে । সারা ঘরে আনন্দের শিহরণ খেলছে । যদিও উত্তরের বাতাস হাড়েঁ কাঁপন ধরিয়ে দিয়ে বইছে , তবু আমিঠান্ডা…

এই গতির মধ্যে মনে হয় কি যেন একটা স্থির হয়ে থাকে। আমাদের চারিদিকে যখন কোনো গতিকেই আমরা থামাতে পারছি না। সবকিছুই, না কলম না চিন্তা, এমন কি দীর্ঘজীবী বিপ্লবও মুখ থুবড়ে দ্রুত…

কোনো এক ভোরবেলা, রাত্রিশেষে শুভ শুক্রবারে মৃত্যুর ফেরেস্তা এসে যদি দেয় যাওয়ার তাকিদ; অপ্রস্তুত এলোমেলো এ গৃহের আলো অন্ধকারে ভালোমন্দ যা ঘটুক মেনে নেবো এ আমার ঈদ। ফেলে যাচ্ছি খড়কুটো, পরিধেয়, আহার,…