Category: বাংলা কবিতা (কবিদের তালিকা অনুযায়ী)

সবিতা, মানুষজন্ম আমরা পেয়েছি মনে হয় কোনো এক বসন্তের রাতে: ভূমধ্যসাগর ঘিরে সেই সব জাতি, তাহাদের সাথে সিন্ধুর আঁধার পথে করেছি গুঞ্জন; মনে পড়ে নিবিড় মেরুন আলো, মুক্তার শিকারী, রেশম, মদের সার্থবাহ,…

সুচেতনা, তুমি এক দূরতর দ্বীপ বিকেলের নক্ষত্রের কাছে; সেইখানে দারুচিনি-বনানীর ফাঁকে নির্জনতা আছে। এই পৃথিবীর রণ রক্ত সফলতা সত্য; তবু শেষ সত্য নয়। কলকাতা একদিন কল্লোলিনী তিলোত্তমা হবে; তবুও তোমার কাছে আমার…

‘জানি আমি তোমার দু’চোখ আজ আমাকে খোঁজে না আর পৃথিবীর’ পরে-’ বলে চুপে থামলাম, কেবলি অশত্থ পাতা পড়ে আছে ঘাসের ভিতরে শুকনো মিয়োনো ছেঁড়া;- অঘ্রান এসেছে আজ পৃথিবীর বনে; সে সবের ঢের…

কী এক ইশারা যেন মনে রেখে একা একা শহরের পথ থেকে পথে অনেক হেঁটেছি আমি; অনেক দেখেছি আমি ট্রাম-বাস সব ঠিক চলে; তারপর পথ ছেড়ে শান্ত হয়ে চলে যায় তাহাদের ঘুমের জগতে:…

আমার বন্ধুর বিয়ে উপহার বগলে নিয়ে আমি আর আতাহার, মৌচাক মোড়ে এসে বাস থেকে নামলাম দু’সেকেন্ড থামলাম।। টিপটিপ ঝিপঝিপ বৃষ্টি কি পড়ছে? আকাশের অশ্রু ফোঁটা ফোঁটা ঝরছে? আমি আর আতাহার বলুন কি…

শোন মিলি। দুঃখ তার বিষমাখা তীরে তোকে বিঁধে বারংবার। তবুও নিশ্চিত জানি,একদিন হবে তোর সোনার সংসার ।। উঠোনে পড়বে এসে একফালি রোদ তার পাশে শিশু গুটিকয় তাহাদের ধুলোমাখা হাতে – ধরা দেবে…

তিনি শায়িত ছিলেন গাঢ় কব্বরে যার দৈর্ঘ্য-প্রস্থ বেঁধে দেয়া, গভীরতা নয়। কব্বরে শুয়ে তাঁর হাত কাঁপে পা কাঁপে গভীর বিস্ময়বোধ হয়। মনে জাগে নানা সংশয়। মৃত্যু তো এসে গেছে, শুয়ে আছে পাশে…

এক জরাগ্রস্থ বৃদ্ধ ছিলেন নিজ মনে আপন ভুবনে। জরার কারণে তিনি পুরোপুরি বৃক্ষ এক। বাতাসে বৃক্ষের পাতা কাঁপে তাঁর কাঁপে হাতের আঙ্গুল। বৃদ্ধের সহযাত্রী জবুথবু- পা নেই,শুধু পায়ের স্মৃতি পড়ে আছে। সেই…

একটা ঝকঝকে রঙিন কাচপোকা হাঁটতে হাঁটতে এক ঝলক রোদের মধ্যে পড়ে গেল। ঝিকমিকিয়ে উঠল তার নকশাকাটা লাল নীল সবুজ শরীর। বিরক্ত হয়ে বলল,রোদ কেন? আমি চাই অন্ধকার ।চির অন্ধকার আমার ষোলটা পায়ে…