“রাখাল ছেলে ! রাখাল ছেলে ! বারেক ফিরে চাও, বাঁকা গাঁয়ের পথটি বেয়ে কোথায় চলে যাও?” ওই যে দেখ নীল-নোয়ান সবুজ ঘেরা গাঁ, কলার পাতা দোলায় চামর শিশির ধোয়ায় পা, সেথায় আছে…
Tag: Bangla kobita
উজান গাঙের নাইয়া __জসীম উদ্দীন
উজান গাঙের নাইয়া! কইবার নি পাররে নদী গেছে কতদূর? যে কূল ধইরা চলেরে নদী সে কূল ভাইঙ্গা যায়, আবার আলসে ঘুমায়া পড়ে সেই কূলেরি গায়; আমার ভাঙা কূলে ভাসাই তরীরে যদি পাই…
নদীর কূল নাই কিনার নাইরে – জসীম উদ্দীন
নদীর কূল নাই-কিনার নাইরে; আমি কোন কূল হইতে কোন কূলে যাব কাহারে শুধাইরে? ওপারে মেঘের ঘটা, কনক বিজলী ছটা, মাঝে নদী বহে সাঁই সাঁইরে; আমি এই দেখিলাম সোনার ছবি আবার দেখি নাইরে;…
নিশিতে যাইও ফুলবনে – জসীম উদ্দীন
নিশিতে যাইও ফুলবনে রে ভোমরা নিশিতে যাইও ফুলবনে। জ্বালায়ে চান্দের বাতি আমি জেগে রব সারা রাতি গো; কব কথা শিশিরের সনে রে ভোমরা! নিশিতে যাইও ফুলবনে। যদিবা ঘুমায়ে পড়ি- স্বপনের পথ ধরি…
হনহন পনপন – সুকুমার রায়
চলে হনহন ছোটে পনপন ঘোরে বনবন কাজে ঠনঠন বায়ু শনশন শীতে কনকন কাশি খনখন ফোঁড়া টনটন মাছি ভনভন থালা ঝন ঝন।
ভূতুড়ে খেলা – সুকুমার রায়
পরশু রাতে পষ্ট চোখে দেখনু বিনা চশমাতে, পান্তভূতের জ্যান্ত ছানা করছে খেলা জোছনাতে৷ কচ্ছে খেলা মায়ের কোলে হাত পা নেড়ে উল্লাসে, আহলাদেতে ধুপধুপিয়ে কচ্ছে কেমন হল্লা সে৷ শুনতে পেলাম ভূতের মায়ের মুচকি…
মেঘের খেয়াল – সুকুমার রায়
আকাশের ময়দানে বাতাসের ভরে, ছোট বড় সাদা কালো কত মেঘ চরে। কচি কচি থোপা থোপা মেঘেদের ছানা হেসে খেলে ভেসে যায় মেলে কচি ডানা। কোথা হতে কোথা যায় কোন্ তালে চলে, বাতাসের…
মনের মতন – সুকুমার রায়
কান্না হাসির পোঁটলা বেঁধে, বর্ষভরা পুঁজি, বৃদ্ধ বছর উধাও হ’ল ভূতের মুলুক খুঁজি। নূতন বছর এগিয়ে এসে হাত পাতে ঐ দ্বারে, বল্ দেখি মন মনের মতন কি দিবি তুই তারে? আর কি…
সৎপাত্র – সুকুমার রায়
শুনতে পেলাম পোস্তা গিয়ে— তোমার নাকি মেয়ের বিয়ে ? গঙ্গারামকে পাত্র পেলে ? জানতে চাও সে কেমন ছেলে ? মন্দ নয় সে পাত্র ভালো রঙ যদিও বেজায় কালো ; তার উপরে মুখের…
জীবনের হিসাব – সুকুমার রায়
বিদ্যে বোঝাই বাবু মশাই চড়ি শখের বোটে মাঝিরে কন, “বলতে পারিস সূর্য কেন ওঠে? চাঁদটা কেন বাড়ে কমে? জোয়ার কেন আসে?” বৃদ্ধ মাঝি অবাক হয়ে ফেলফেলিয়ে হাসে, বাবু বলেন, “সারা জীবন মরলিরে…