Skip to content

বাংলা কবিতা

Bangla kobita, Bengali Poetry, বাংলা কবিতা, kobita, কবিতা, Bengali poems.

Menu
  • Home
  • বিখ্যাত বাঙ্গালী কবি
  • কবিতার বিষয়
  • বাঙালি তরুণ কবি
  • অনুবাদ কবিতা
  • আবৃত্তি
  • PDF Download
  • বাংলা পত্রিকা
  • ৫০+ ছড়া, ছোটদের ছড়া কবিতা, চিরায়িত বাংলা ছড়া
  • Bangla Romantic Love SMS
Menu

রাখালী __জসীম উদ্‌দীন

Posted on June 6, 2017 by বাংলা কবিতা

এই গাঁয়েতে একটি মেয়ে চুলগুলি তার কালো কালো,
মাঝে সোনার মুখটি হাসে আঁধারেতে চাঁদের আলো।
রানতে বসে জল আনতে সকল কাজেই হাসি যে তার,
এই নিয়ে সে অনেক বারই মায়ের কাছে খেয়েছে মার।
সান করিয়া ভিজে চুলে কাঁখে ভরা ঘড়ার ভারে
মুখের হাসি দ্বিগুণ ছোটে কোনমতেই থামতে নারে।

এই মেয়েটি এমনি ছিল, যাহার সাথেই হত দেখা,
তাহার মুখেই এক নিমেষে ছড়িয়ে যেত হাসির রেখা
মা বলিত, বড়ুরে তুই, মিছেমিছি হাসিস্ বড়,
এ শুনেও সারা গা তার হাসির চোটে নড় নড়!
মুখখানি তার কাঁচা কাঁচা, না সে সোনার, না সে আবীর,
না সে ঈষৎ ঊষার ঠোঁটে আধ-আলো রঙিন রবির!
কেমন যেন গাল দুখানি মাঝে রাঙা ঠোঁটটি তাহার,
মাঠে ফোটা কলমি ফুলে কতকটা তার খেলে বাহার।

গালটি তাহার এমন পাতল ফুঁয়েই যেন যাবে উড়ে
দু একটি চুল এলিয়ে পড়ে মাথার সাথে রাখছে ধরে।
সাঁঝ-সকালে এ ঘর ও ঘর ফিরত যখন হেসে-খেলে;
মনে হত ঢেউয়ের জ্বলে ফুলটিরে কে গেছে ফেলে!

এই গাঁয়ের এক চাষার ছেলে ও পথ দিয়ে চলতে ধীরে
ওই মেয়েটির রূপের গাঙে হারিয়ে গেল কলসটিরে।
দোষ কি তাহার? ওই মেয়েটি মিছেমিছি এমনি হাসে,
গাঁয়ের রাখাল! অমন রূপে কেমনে রাকে পরাণটা সে!
এ পথ দিয়ে চলতে তাহার কোঁচার হুড়ুম যায় যে পড়ে,
ওই মেয়েটি কাছে এলে আচঁলে তার দে সে ভরে।
মাঠের হেলের নাস্তা নিতে হুকোর আগুন নিবে যে যায়,
পথ ভুলে কি যায় সে নিতে, ওই মেয়েটি রানছে যেথায়?
নিড়ের ক্ষেতে বারে বারে তেষ্টাতে প্রাণ যায় যে ছাড়ি,
ভর-দুপুরে আসে কেবল জল খেতে তাই ওদের বাড়ি!
ফেরার পথে ভুলেই সে যে আমের আঁটির বাশীটিরে,
ওদের গরের দাওয়ায় ফেলে মাঠের পানে যায় সে ফিরে।
ওই মেয়েটি বাজিয়ে তারে ফুটিয়ে তোলে গানের ব্যাথা,
রাঙা মুখের চুমোয় চুমোয় বাজে সুখের মুখর কথা!

এমনি করে দিনে দিনে লোক- লোচনের আড়াল দিয়া,
গেঁয়ো স্নেহের নানান ছলে পড়ল বাঁধা দুইটি হিয়া!
সাঁঝের বেলা ওই মেয়েটি চলত যখন গাঙের ঘাটে
ওই ছেলেটির ঘাসের বোঝা লাগত ভারি ওদের বাটে।
মাথার বোঝা নামিয়ে ফেলে গামছা দিয়ে লইত বাতাস,
ওই মেয়েটির জল-ভরনে ভাসতে ঢেউয়ে রূপের উছাস।
চেয়ে চেয়ে তাহার পানে বলত যেন মনে মনে,
জল ভর লো সোনার মেয়ে! হবে আমার বিয়ের কনে?
কলমী ফুলের নোলক দেব, হিজল ফুলের দেব মালা,
মেঠো বাঁশী বাজিয়ে তোমায় ঘুম পাড়াব, গাঁয়ের বালা!

বাঁশের কচি পাতা দিয়ে গড়িয়ে দেব নথটি নাকের,
সোনা লতায় গড়ব বালা তোমার দুখান সোনা হাতের।
ওই না গাঁয়ের একটি পাশে ছোট্র বেঁধে কুটিরখানি,
মেঝের তাহার ছড়িয়ে দেব সরষে ফুলের পাঁপড়ি আনি।
কাজলতলার হাটে গিয়ে আনব কিনে পাটের শাড়ী,
ওগো বালা! গাঁয়ের বালা! যাবে তুমি আমার বাড়ি?”

এই রুপেতে কত কথাই আসত তাহার ছোট্র মনে,
ওই মেয়েটি কলসী ভরে ফিরত ঘরে ততক্ষণে।
রুপের ভার আর বইতে নারে কাঁখখানি তার এলিয়ে পড়ে,
কোনোরুপে চলছে ধীরে মাটির ঘড়া জড়িয়ে ধরে।
রাখাল ভাবে, কলসখানি না থাকলে তার সরু কাঁখে,
রুপের ভারেই হয়ত বালা পড়ত ভেঙে পথের বাঁকে।
গাঙোন জল ছল-ছল বাহুর বাঁধন সে কি মানে,
কলস ঘিরি উঠছে দুলি’ গেঁয়ো-বালার রুপের টানে।

মনে মনে রাখাল ভাবে, “গাঁয়ের মেয়ে! সোনার মেয়ে।
তোমার কালো কেশের মত রাতের আঁধার এল ছেয়ে।
তুমি যদি বল আমায়, এগিয়ে দিয়ে আসতে পারি
কলাপাতার আঁধার-ঘেরা ওই যে ছোট তোমার বাড়ি।
রাঙা দু’খান পা ফেলে যাও এই যে তুমি কঠিন পথে,
পথের কাঁটা কত কিছু ফুটতে পারে কোনমতে।
এই যে বাতাস-উতল বাতাস, উড়িয়ে নিলে বুকের বসন,
কতখন আর রুপের লহর তোমার মাঝে রইবে গোপন।
যদি তোমার পায়ের খাডু যায় বা খুলে পথের মাঝে,
অমর রুপের মোহন গানে সাঁঝের আকাশ সাজবে না যে।

আহা ! আহা ! সোনার মেয়ে ! একা একা পথে চল,
ব্যথায় ব্যথায় আমার চোখে জল যে ঝরে ছল ছল।”
এমনিতর কত কথায় সাঁঝের আকাশ হত রাঙা,
কখন হলুদ, আধ-হলুদ, আধ-আবীর মেঘ ভাঙা।
তার পরেতে আসত আঁধার ধানের ক্ষেতে, বনের বুকে,
ঘাসের বোঝা মাথায় লয়ে ফিরত রাখাল ঘরের মুখে।

সেদিন রাখাল শুনল, পথে সেই মেয়েটির হবে বিয়ে,
আসবে কালি ‘নওশা’তাহার ফুল-পাগড়ী মাথায় দিয়ে।
আজকে তাহার ‘হলদি-ফোটা’ বিয়ের গানে ভরা বাড়ি,
মেয়ে-গলার করুণ গানে কে দেয় তাহার পরাণ ফাড়ি’।
সারা গায়ে হলুদ মেখে সেই মেয়েটি করছিল সান,
কাঁচা সোনা ঢেলে যেন রাঙিয়ে দেছে তাহার গা’খানা।
চেয়ে তাহার মুখের পানে রাখাল ছেলের বুক ভেঙে যায়।
আহা ! আহা ! সোনার মেয়ে ! কেমন করে ভুললে আমায় ?

সারা বাড়ি খুশীর তুফান-কেউ ভাবে না তাহার লাগি,
মুখটি তাহার সাদা যেন খুনী মকর্দ্দমার দাগী।
অপরাধীর মতন সে যে পালিয়ে এল আপন ঘরে,
সারাটা রাত মরল ঝুরে কি ব্যথা সে বক্ষে ধরে।

বিয়ের ক’নে ছলছে আজি শ্বশুর-বাড়ি পালকী চড়ে
চলছে সাথে গাঁয়ের মোড়ল বন্ধু ভাই-এর কাঁধটি ধ’রে ।
সারাটা দিন বিয়ে বাড়ির ছিল যত কল-কোলাহল
গাঁয়ের পথে মূর্ত্তি ধরে তারাই যেন চলছে সকল।

কেউ বলিছে, মেয়ের বাপে খাওয়াল আজ কেমন কেমন,
ছেলের বাপের বিত্তি বেসাৎ আছে কি ভাই তেমন তেমন?
মেয়ে-জামাই মিলছে যেন চাঁদে চাঁদে মেলা,
সুর্য যেমন বইছে পাটে ফাগ-ছড়ান সাঁঝের বেলা!
এমনি করে কত কথাই কত জনের মনে আসে,
আশ্বিনেতে যেমনি তর পানার বহর গাঙে ভাসে।
হায়রে আজি এই আনন্দ, যাবে লয়ে এই যে হাসি,
দেখল না কেউ সেই মেয়েটির চোখদুটি যায় ব্যথায় ভাসি।
খুঁজল না কেউ গাঁয়ের রাখাল একলা কাঁদে কাহার লাগি
বিজন রাতের প্রহর থাকে তাহার সাথে ব্যথায় জাগি।

সেই মেয়েটির চলা-পথে সেই মেয়েটির গাঙের ঘাটে
একলা রাখাল বাজায় বাঁশী ব্যথার ভরা গাঁয়ের বাটে।
গভীর রাতে ভাটীর সুরে বাঁশী তাহার ফেরে উদাস
তারি সাথে কেঁপে কেঁপে কাঁদে রাতের কালো বাতাস।
করুণ করুণ-অতি করুণ বুকখানি তার উতল করে,
ফেরে বাঁশীর সুরটি ধীরে ধীরে ঘুমো গাঁয়ের ঘরে ঘরে।

“কোথায় জাগো বিরহিণী ! ত্যজি বিরল কুটিরখানি,
বাঁশীর ভরে এস এস ব্যথায় ব্যথায় পরাণ হানি।
শোন শোন দশা আমার, গহন রাতের গলা ধরি’
তোমার তরে ও নিদয়া, একা একা কেঁদে মরি।
এই যে জমাট রাতের আঁধার, আমার বাঁশী কাটি তারে,
কোথায় তুমি, কোথায় তুমি, কেঁদে মরে বারে বারে।”
ডাকছাড়া তার কান্না শুনি একলা নিশা সইতে নারে,
আঁধার দিয়ে জড়ায় তারে, হাওয়ায় দোলায় ব্যথার ভারে।

  • গল্প (প্রেম ভালোবাসার ছোট গল্প)
  • পিডিএফ বই ডাউনলোড
  • অনুবাদ কবিতা
  • আবৃত্তি
  • অতুলপ্রসাদ সেন
  • অন্নদাশঙ্কর রায়
  • অমিয় চক্রবর্তী
  • অরুণ মিত্র
  • আ. ন. ম. বজলুর রশীদ
  • আনিসুল হক
  • আবদুল গাফফার চৌধুরী
  • আবদুল হাকিম
  • আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
  • আবুল হাসান
  • আবুল হোসেন
  • আরণ্যক বসু
  • আল মাহমুদ
  • আলাউদ্দিন আল আজাদ
  • আলাওল
  • আসাদ চৌধুরী
  • আহসান হাবীব
  • ইসমাইল হোসেন সিরাজী
  • ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
  • কাজী কাদের নেওয়াজ
  • কাজী নজরুল ইসলাম
  • কামিনী রায়
  • কায়কোবাদ
  • কালীপ্রসন্ন ঘোষ
  • কুসুম কুমারী দাশ
  • খান মুহম্মদ মঈনুদ্দিন
  • গগন হরকরা
  • গোবিন্দচন্দ্র দাস
  • অনুপ্রেরণামূলক কবিতা
  • ইসলামিক কবিতা
  • উপদেশমূলক কবিতা
  • একুশের কবিতা
  • কষ্টের কবিতা
  • ছোটদের ছড়া কবিতা
  • জন্মদিনের কবিতা
  • দুঃখের কবিতা
  • দেশের কবিতা
  • নারীকে নিয়ে কবিতা
  • নীতি কবিতা
  • পহেলা ফাল্গুনের কবিতা
  • প্রকৃতির কবিতা
  • প্রেমের কবিতা
  • বসন্তের কবিতা
  • বিদ্রোহী কবিতা
  • বিরহের কবিতা
  • বৃষ্টির কবিতা
  • গোলাম মোস্তফা
  • চণ্ডীদাস
  • চন্দ্রাবতী
  • জয় গোস্বামী
  • জসীম উদ্‌দীন
  • জীবনানন্দ দাশ
  • তসলিমা নাসরিন
  • তারাপদ রায়
  • দেবব্রত সিংহ
  • নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য
  • নবারুণ ভট্টাচার্য
  • নির্মলেন্দু গুণ
  • নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
  • পূর্ণেন্দু পত্রী
  • প্রেমেন্দ্র মিত্র
  • ফররুখ আহমদ
  • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
  • বন্দে আলী মিঞা
  • বিনয় মজুমদার
  • বিষ্ণু দে
  • বুদ্ধদেব বসু
  • ছোট গল্প
  • নাজিম হিকমত
  • পাবলো নেরুদা
  • বৈশাখের কবিতা
  • ভালোবাসার কবিতা
  • মাকে নিয়ে কবিতা
  • মুক্তিযুদ্ধের কবিতা
  • মে দিবসের কবিতা
  • যুদ্ধের কবিতা
  • রম্য কবিতা
  • রাজনৈতিক কবিতা
  • রূপক কবিতা
  • রোমান্টিক কবিতা
  • শীতের কবিতা
  • শুভ নববর্ষের কবিতা
  • ভবানীপ্রসাদ মজুমদার
  • ভাস্কর চক্রবর্তী
  • মদনমোহন তর্কালঙ্কার
  • মল্লিকা সেনগুপ্ত
  • মহাদেব সাহা
  • মাইকেল মধুসূদন দত্ত
  • মাহবুবুল আলম চৌধুরী
  • মুকুন্দরাম চক্রবর্তী , কবিকঙ্কণ
  • মুহম্মদ জাফর ইকবাল
  • যতীন্দ্রমোহন বাগচী
  • যোগীন্দ্রনাথ সরকার
  • রজনীকান্ত সেন
  • রফিক আজাদ
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
  • রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী
  • রামনিধি গুপ্ত (নিধু বাবু)
  • রুদ্র গোস্বামী
  • রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
  • রোকনুজ্জামান খান
  • লালন ফকির
  • শক্তি চট্টোপাধ্যায়
  • শঙ্খ ঘোষ
  • শহীদ কাদরী
  • শামসুর রাহমান
  • শাহ মুহম্মদ সগীর
  • শিবরাম চক্রবর্তী
  • শুভ দাশগুপ্ত
  • শেখ ফজলল করীম
  • শ্রীজাত
  • সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
  • সলিল চৌধুরী
  • ভালোবাসার গল্প
  • মোশতাক আহমেদ
  • রেদোয়ান মাসুদ
  • শেখ সাদী
  • সিকান্দার আবু জাফর
  • সুকান্ত ভট্টাচার্য
  • সুকুমার বড়ুয়া
  • সুকুমার রায়
  • সুনির্মল বসু
  • সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
  • সুফিয়া কামাল
  • সুবোধ সরকার
  • সুভাষ মুখোপাধ্যায়
  • সৈয়দ শামসুল হক
  • হাসন রাজা
  • হুমায়ুন আজাদ
  • হুমায়ুন কবির
  • হুমায়ূন আহমেদ
  • হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
  • হেলাল হাফিজ
  • স্বাধীনতার কবিতা
©2025 বাংলা কবিতা | Design: Newspaperly WordPress Theme