১। মন ধর্মের পূর্বগামী, মনই শ্রেষ্ঠ, সকলই মনোময়।
২। জগতে শত্রুতার দ্বারা কখনো শত্রুতার উপশম হয় না, মিত্রতার দ্বারাই শত্রুতার উপশম হয়।
৩। আত্ননির্ভরশীল হও। আত্নপ্রত্যয়ী হও। আত্নশরণই শ্রেষ্ট শরণ।
৪। দুষ্কর্ম পরিত্যাগ করে সৎ কর্ম সম্পাদন কর। কায়, বাক্য ও মনেসংযম হও। মন থেকেই সৎ কর্ম ও দুষ্কর্মের ইচ্ছশক্তি উতপন্ন হয়। প্রসন্নমনে কথা বললে ছায়ায় ন্যায় সুখ প্রদান করে। দুষ্ট মনে কাজ করলেদুঃখ ভোগ করতে হয়।
৫। জীবে দয়া ও মহামৈত্রীই বুদ্ধদেশনার বৈশিষ্ট্য। মা যেমন তাঁরএকমাত্র ছেলেকে প্রাণ দিয়ে রক্ষা করে। সেরুপ সকল প্রাণীর প্রতিঅপ্রমেয় মৈত্রী পোষণ করবে। এটি মানসিক সৎ কর্ম।
৬। মিথ্যা, লাগানো কথ, কটুক্তি, ব্রিথাবাক্য বলা থেকে বিরত হও।সত্য, প্রিয়, মিষ্টি ও অর্থপূর্ণ বাক্য বল। এগুলো স্ম্যক বাক্যের অন্তর্গত।
৭। অস্ত্র, প্রাণী, মাংস, নেশা, বিষ- বাণিজ্য করবে না। এগুলোমিথ্যাজীবিকা। ধর্মের পরিপন্থী।
৮। হিংসা ত্যাগ করে সকলের প্রতি মমতাশীল হও। পরের দুঃখে দঃখীহও। পরের সুখে সুখী হও। দুঃখকে সমভাবে দেখ। এ চারটি যথাক্রমেমৈত্রী, করুণা, মুদিতা ও উপেক্ষা ভাবনা। যার নাম ব্রহ্মবিহার।
৯। মূর্খের সেবা করবে না। পণ্ডিতের সান্নিধ্যে যাবে। পূজনীয় ব্যক্তিকেপূজা করবে।
১০। মাতা পিতা, স্ত্রী পুত্রের ভরণপোষন করবে। সত্য বিষয়ে জ্ঞান লাভকরবে। বিবিধ শিল্প শিক্ষা করবে।
১১। ক্ষমাশীল, গুরুজনের আদেশ পালনে সুবাধ্যতা, শীলগুণসম্পন্ন ভিক্ষু- শ্রামণদের দর্শন ও ধর্মালোচনা করবে।
১২। পাপী বন্ধু ও নিক্রিষ্ট ব্যক্তির সংসর্গে থাকবে না। কল্যাণমিত্র ওপ্রজ্ঞাবান ব্যক্তিরদের সান্নিধ্যে থাকবে।
১৩। দুশ্চরিত্র ও অসমাহিত চিত্তে শত বছর বেঁচে থাকার চেয়ে সতচরিত্রও ধ্যানী ব্যক্তির একদিনের জীবনও শ্রেয়।
১৪। বর্ষাকালে এখানে, শীত-গ্রীষ্মে ওখানে বাস করবো – মূর্খরাএভাবেই চিন্তা করে। শুধু জানে না জীবন কখন কোথায় শেষ হয়েযাবে।
১৫। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ কর। তারপর অন্যকে অনুশাসন কর। নিজেনিয়ন্ত্রিত হলে অন্যকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করাইকঠিন।
১৬। চিন্তার প্রতিফলন ঘটে স্বভাব বা প্রকৃতিতে। যদি কেউ মন্দঅভিপ্রায় নিয়ে কথা বলে বা কাজ করে দুঃখ তাকে অনুগমন করে।আর কেউ যদি সুচিন্তা নিয়ে কথা বলে বা কাজ করে সুখ তাকে ছায়ারমত অনুসরন করে।
১৭। আলস্য ও অতিভোজের দরুন স্থূলকায় নিদ্রালু হয়ে বিছানায়গড়াগড়ি দেয়া স্বভাবে পরিণত হলে সেই মূর্খের জীবনে দুঃখের পুনঃপুনরাবৃত্তি ঘটবে।
১৮। যিনি অস্থিরচিত্ত, যিনি সত্যধর্ম অবগত নন, যার মানসিকপ্রসন্নতা নেই, তিনি কখনো প্রাজ্ঞ হতে পারেন না।
১৯। প্রাজ্ঞ ব্যক্তি কখনো নিন্দা বা প্রশংসায় প্রভাবিত হয় না।
২০। রণক্ষেত্রে সহস্রযোদ্ধার ওপর বিজয়ীর চেয়ে রাগ-ক্রোধ বিজয়ী বাআত্মজয়ী বীরই বীরশ্রেষ্ঠ।