২১। কাউকে কটু কথা বলবে না। কারণ সে-ও কটু প্রতু্ত্তর দিতেপারে। উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় তোমার জন্যেও কষ্টদায়ক হবে। দন্ডেরপ্রতিদন্ড তোমাকেও স্পর্শ করবে।
২২। কোনো পাপকেই ক্ষুদ্র মনে করো না। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাপই জমা হতেহতে মূর্খের পাপের ভান্ড পূর্ণ করে ফেলে।
২৩। মূর্খরা ‘আমার পুত্র, আমার অর্থ, আমার ধন’ এই চিন্তায় যন্ত্রণাভোগ করে। যখন সে নিজেই নিজের না তখন পুত্র বা ধন তার হয়কিভাবে?
২৪। ভালো কাজ সবসময় কর। বারবার কর। মনকে সবসময় ভালোকাজে নিমগ্ন রাখো। সদাচরণই স্বর্গসুখের পথ।
২৫। পরের কৃত ও অকৃত কার্যের প্রতি লক্ষ্য না রেখে নিজের কৃত ও অকৃত কার্যের প্রতি লক্ষ্য রাখবে
২৬। চিন্তার প্রতিফলন ঘটে স্বভাব বা প্রকৃতিতে। যদি কেউ মন্দ অভিপ্রায় নিয়ে কথা বলে বা কাজ করে দুঃখ তাকে অনুগমন করে। আর কেউ যদি সুচিন্তা নিয়ে কথা বলে বা কাজ করে সুখ তাকে ছায়ার মত অনুসরন করে। ”
২৭। ভালো কাজ সবসময় কর। বারবার কর। মনকে সবসময় ভালো কাজে নিমগ্ন রাখো। সদাচরণই স্বর্গসুখের পথ।
২৮। জগতে মাতা ও পিতার সেবা সুখকর। শ্রমণ ও পণ্ডিতদের পরিচর্যা জগতে সুখ দায়ক। বার্ধক্য পর্যন্ত শীল (নীতি) পালন সুখকর।শ্রদ্ধায় প্রতিষ্ঠিত হওয়াই সুখদায়ক। প্রজ্ঞালাভই সুখ জনক, পাপ না করাই সুখাবহ।
২৯। যিনি যত অধিক ভাষণ করুন না কেন তাতে তিনি ধর্মধর হতে পারেন না। যিনি অল্পমাত্র ধর্মকথা শুনে নিজের জীবনে তা আচরণ করেন এবং ধর্মে অপ্রমত্ত থাকেন তিনিই প্রকৃত ধর্মধর।
৩০। প্রাজ্ঞ ব্যক্তি কখনো নিন্দা বা প্রশংসায় প্রভাবিত হয় না।
৩১।রণক্ষেত্রে সহস্রযোদ্ধার ওপর বিজয়ীর চেয়ে রাগ-ক্রোধ বিজয়ী বা আত্মজয়ী বীরই বীরশ্রেষ্ঠ।
৩২।অর্থহীন সহস্র বাক্য অপেক্ষা একটিমাত্র সার্থক বাক্য যা শুনে লোকে শান্তি লাভ করে তাই শ্রেয়।
৩৩। সত্য বলিও, ক্রোধ করিও না;প্রার্থীত হইয়া সামান্য কিছু দান করিও। এই ত্রিবিধ উপায়ে দেবগণের সান্নিধ্যে গমন করিবে।
৩৪। বৃকী যেমন মেষ লইয়া পলায়ন করে, মৃত্যু তেমনই সঞ্চয় নিরত অতৃপ্তকাম ব্যাক্তিদদিগকে লইয়া প্রস্থান করে।
৩৫। যে ব্যাক্তি জাগিয়া থাকে তাহার রাত্রি দীর্ঘ হয় ;ক্লান্ত ব্যাক্তির পথ দীর্ঘ হয় ;সদ্ধর্মানভিজ্ঞ ব্যাক্তিগণের সংসার ভ্রমণ দীর্ঘ হয়।
৩৬। ইহ-পরকাল ও কর্মফলের প্রতি গভীর বিশ্বাস রেখে স্বধর্মের পথে চলার নাম সম্যক দৃষ্টি।
৩৭। প্রচুর সম্পদের মাঝে সুখ নেই মনের সুখই আসল সুখ।
৩৮। অলসতার ষড়বিধ লক্ষণ :
ক। অতি শীত
খ। অতি উষ্ণ
গ। অতি সকাল
ঘ। অতি বিকাল
ঙ। অতি ক্ষুধার্ত
চ। অতি ভোজন।
৩৯। নেশাপানের ষড়বিধ দোষ :
ক। অকারণে ধন নষ্ট হয়।
খ। অতিশয় কলহ বৃদ্ধি হয়।
গ। বিবিধ রোগ উৎপত্তি হয়।
ঘ। দুর্নাম বৃদ্ধি হয়।
ঙ। নির্লজ্জতা হয় এবং
চ। হিতাহিত জ্ঞান হয়।
৪০। দুঃখ উৎপত্তির মূল কারণ অবিদ্যা।
৪১। মৈত্রী ভাবনার একাদশ ফল :
১।সুখে নিদ্রা হয়।
২।ঘুম থেকে সুখে জাগ্রত হয়।
৩।দুঃস্বপ্ন দেখে না।
৪।মানুষের প্রিয় হয়।
৫।অমনুষ্যগণ প্রিয় হয়।
৬।দেবতাগণ রক্ষা করে।
৭।মৈত্রী ভাবনাককারী অগ্নি, বিষ, অস্ত্র দ্বারা দুঃখপ্রাপ্ত হয় না এবং মৃত্যু বরন করেন না।
৮।চিত্ত সমাধিস্থ হয়।
৯।মুখের বর্ণ উজ্জ্বল হয়।
১০।সজ্ঞানে মৃত্যু হয় এবং
১১।মৈত্রী ভাবনাকারীর অর্হত্ত্ব ফল লাভ না হলেও মৃত্যুর পর ব্রহ্মলোকে উৎপন্ন হয়।
৪২। সকলেই দণ্ডকে ভয় তরে, জীবন সকলের প্রিয় ;সুতরাং নিজের সহিত তুলনা করিয়া কাহাকেও প্রহার করিবেনা কিংবা আঘাত করিবেনা।