১। আপনার বলা কথাগুলোই প্রকাশ দিবে আপনার অন্তরের গভীরে কী আছে।
২। যখন কোন বান্দা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, সেটা আসলে কেবল মুখে উচ্চারিত কোন বিষয় থাকে না, বরং আল্লাহর করুণা ও রাহমাত প্রাপ্তির কৃতজ্ঞতা স্বীকার অন্তর থেকেও করা হয়।
৩। নিজের কল্যাণের স্বার্থে এবং আযাব থেকে রেহাই পেতে যথাসম্ভব কম কথা বল। তুমি তোমার আমলনামার পাতাগুলো আড্ডাবাজি দিয়ে পূর্ণ করো না। কেননা, চূড়ান্ত হিসাব-নিকাশের দিনে যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে তা হল তোমার জীবনে আল্লাহকে স্মরণ করার মুহূর্তগুলো।
৪। শরীয়তে পরিপূর্ণ জ্ঞানসম্পন্ন আলেম হওয়া।
৫। ই’লমে হাকীকত সম্পর্কে পূর্ণজ্ঞান থাকা।
৬। সাক্ষাত্ প্রার্থীর সাথে স্নিগ্ধ ও মার্জিত ব্যবহার এবং প্রফুল্ল বদন ও সন্তুষ্টচিত্তে দর্শন দান করা।
৭। দীন-হীনদের সাথে কথায় ও কাজে নম্রতাপূর্ণ ব্যবহার করা।
৮। ভক্তবৃন্দের অন্তরের ব্যাধিসমূহ নির্ধারণপূর্বক তা দূরীকরণের উপায় সম্বন্ধে অভিজ্ঞ হওয়া। নিজেকে রিয়া, হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা, গর্ব-অহমিকা ইত্যাদি থেকে মুক্ত রাখা, কর্তব্যকর্মে শৈথিল্য এবং আরামপ্রিয়তা দূরীভূত করা।
৯। তোমরা সর্বাগ্রে ই’লমে শরীয়ত হাসিল কর, অতঃপর নির্জনতা অবলম্বন কর।
১০। যারা আল্লাহর প্রকৃত পরিচয় লাভে ব্যর্থ হয়েছে, কেবল এ ধরনের লোকেরাই আল্লাহ ছাড়া অন্যের নিকট তাদের প্রয়োজন পূরণের প্রার্থনায় মনোনিবেশ করে থাকে।