২১। ঋণ, অগ্নি ও ব্যাধির শেষ রাখতে নেই, কারণ তারা আবার বেড়ে যেতে পারে। -চাণক্য
২২। একটি দোষ বহু গুণকেও গ্রাস করে। -চাণক্য
২৩। একটি কুবৃক্ষের কোটরের আগুন থেকে যেমন সমস্ত বন ভস্মীভূত হয়, তেমনি একটি কুপুত্রের দ্বারাও বংশ দগ্ধ হয়। -চাণক্য
২৪। একশত মূর্খ পুত্রের চেয়ে একটি গুণী পুত্র বরং ভাল। একটি চন্দ্রই অন্ধকার দূর করে, সকল তারা মিলেও তা পারে না। -চাণক্য
২৫। কর্কশ কথা অগ্নিদাহের চেয়েও ভয়ঙ্কর। -চাণক্য
২৬। খেয়ে যার হজম হয়, ব্যাধি তার দূরে রয়। -চাণক্য
২৭। গুরু শিষ্যকে যদি একটি অক্ষরও শিক্ষা দেন, তবে পৃথিবীতে এমন কোনও জিনিস নেই, যা দিয়ে সেই শিষ্য গুরুর ঋণ শোধ করতে পারে। -চাণক্য
২৮। গৃহে যার মা নেই, স্ত্রী যার দুর্মুখ তার বনে যাওয়াই ভাল, কারণ তার কাছে বন আর গৃহে কোনও তফাৎ নেই। -চাণক্য
২৯। দুর্জনের সংসর্গ ত্যাগ করে সজ্জনের সঙ্গ করবে। অহোরাত্র পুণ্য করবে, সর্বদা নশ্বরতার কথা মনে রাখবে। -চাণক্য
৩০। ধর্মের চেয়ে ব্যবহারই বড়। -চাণক্য
৩১। পাপীরা বিক্ষোভের ভয় করে না। -চাণক্য
৩২। পুত্র যদি হয় গুণবান, পিতামাতার কাছে তা স্বর্গ সমান। -চাণক্য
৩৩। দুর্বলের বল রাজা, শিশুর বল কান্না, মূর্খের বল নীরবতা, চোরের মিথ্যাই বল। -চাণক্য
৩৪। দুষ্টা স্ত্রী, প্রবঞ্চক বন্ধু, দুর্মুখ ভৃত্য এবং সর্প-গৃহে বাস মৃত্যুর দ্বার, এ-বিষয়ে সংশয় নেই। -চাণক্য
৩৫। বিনয়ই সকলের ভূষণ। -চাণক্য
৩৬। পুত্রকে যারা পড়ান না, সেই পিতামাতা তার শত্রু। হাঁসদের মধ্যে বক যেমন শোভা পায় না, সভার মধ্যে সেই মূর্খও তেমনি শোভা পায় না। -চাণক্য
৩৭। বিদ্যাবত্তা ও রাজপদ এ-দুটি কখনও সমান হয় না। রাজা কেবল নিজদেশেই সমাদৃত, বিদ্বান সর্বত্র সমাদৃত। -চাণক্য
৩৮। বিদ্যা ব্যতীত জীবন ব্যর্থ, কুকুরের লেজ যেমন ব্যর্থ, তা দিয়ে সে গুহ্য-অঙ্গও গোপন করতে পারে না, মশাও তাড়াতে পারে না। -চাণক্য
৩৯। বিষ থেকেও অমৃত আহরণ করা চলে, মলাদি থেকেও স্বর্ণ আহরণ করা যায়, নীচজাতি থেকেও বিদ্যা আহরণ করা যায়, নীচকুল থেকেও স্ত্রীরত্ন গ্রহণ করা যায়। -চাণক্য
৪০। ভোগবাসনায় বুদ্ধি আচ্ছন্ন হয়। -চাণক্য