বিশ্বাস নিয়ে উক্তি , বিশ্বাস নিয়ে বাণী : বিশ্বাস হচ্ছে কোনো ব্যক্তি, বস্তু, জগত অথবা কোনো অদৃশ্য শক্তির উপর আস্থা। মানুষ তার উপরই আস্থা রাখে যাকে সে বিশ্বাস করে। বিশ্বাসের বিপরীত হলো অবিশ্বাস। বিশ্বাস ছাড়া কেউ চলতে পারে না। হয়তো কেউ অনুকুলকে বিশ্বাস করে না কিন্তু এই নয় যে তার বিশ্বাস নেই তার বিশ্বাস আছে প্রতিকুলে । মানে মানুষ কোনো না কোনো বস্তু বা ব্যক্তিকে ঠিকই বিশ্বাস করে। কথায় আছে কেউ মদ বেঁচে দুধ খায়, আবার কেউ দুধ বেঁচে মদ খায়। বিশ্বাসের ব্যাপারটা ঠিক এমনই। তবে বিশ্বাস ছাড়া মানুষ বড় হতে পারে না। একজন মানুষকে সর্ব প্রথম বিশ্বাস করতে হবে নিজেকে। নিজের প্রতি নিজের আস্থা বা বিশ্বাস মানুষকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যায়। আবার মানুষকেও বিশ্বাস করতে হবে। আপনাকে কারো প্রতি না কারো প্রতি বিশ্বাস বা আস্থা রাখতেই হবে। মানুষ সামাজিক জীব সে একা চলতে পারে না। চারিপাশের পারিবেশের সাথে তাকে মানিয়ে নিতে হয়। কিন্তু সবাইকে বিশ্বাস করা যাবে না। অনেক চিন্তা ও বিচার বিবেচনা করে কাউকে বিশ্বাস করতে হবে। কথায় আছে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহু দূর। তাই বিশ্বাস আমাদের জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আজকাল বিশ্বাস শব্দটি কেমন যেন বিলুপ্তির পথে, কাউকে বিশ্বাস করা খুবই কঠিন। কেউ এখন আর বিশ্বাসের মূল্য রাখতে চায় না। চারিদিকে শুধু বিশ্বাসঘাতকতা বেড়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বাসের বাণী কাঁদছে নিভৃতে। তারপরেও আমাদের বিশ্বাস করতে হবে তবে অনেক সর্তকতার সাথে। বিশ্বাস নিয়ে উক্তি বা বিশ্বাস নিয়ে বাণী পড়লে আমরা এ সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা পাবো। বিশ্বাস নিয়ে উক্তি ঃ
১। প্রত্যেককে বিশ্বাস করা বিপদজনক, কিন্তু কাউকে বিশ্বাস না করা আরো বেশী বিপদজনক। – আব্রাহাম লিংকন
২। আঁধারে প্রেতাত্মাকে তবু বিশ্বাস করা চলে; দু’নম্বর মানুষকে বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই! – এজি মাহমুদ
৩। যে বিজ্ঞানকে অল্প জানবে সে নাস্তিক হবে, আর যে ভালো ভাবে বিজ্ঞানকে জানবে সে অবশ্যই ঈশ্বরে বিশ্বাসী হবে। – ফ্রান্সিস বেকন
৪। বিশ্বাস হচ্ছে সবচেয়ে মুল্যবান আবার সবচেয়ে সস্তা সম্পদ কারন একটা বিশ্বাস তৈরি করতে সময় লাগে সারা জীবন, অথচ সেটি ভাংতে লাগে মাত্র কয়েকটি সেকেন্ড। – রেদোয়ান মাসুদ
৫। বিশ্বাস জীবনকে গতিময়তা দান করে, আর অবিশ্বাস জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। – জন মিলটন
৬। কেহ বিশ্বাস করে, কেহ করে না। যে বিশ্বাস করে সেও সত্য-মিথ্যা যাচাই করে না, যে অবিশ্বাস করে সেও না। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের প্রশ্নটা নির্ভর করে মানুষের খুশির উপর। – মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
৭। একজন ভাল মানুষ হবার জন্যে ঈশ্বরে বিশ্বাস করা আবশ্যক নয়। একদিক থেকে প্রচলিত ঈশ্বরের ধারণা পুরাতন হয়ে গেছে। একজন মানুষ ঈশ্বরে বিশ্বাস না করেও আধ্যাত্নিক হতে পারেন। কাউকে উপাসনালয়ে গিয়ে দান করেই ধর্ম পালন করতে হবে এমন কথা নেই; কারো জন্যে প্রকৃতিই হতে পারে উপাসনালয়। পৃথিবীর ইতিহাসে উৎকৃষ্ট কিছু মানুষ ছিলেন যারা ঈশ্বর বিশ্বাসী ছিলেন না; আবার কিছু নিকৃষ্টতম কাজ করা হয়েছে ঈশ্বরের নামে। – পোপ ফ্রান্সিস
৮। বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহু দূর। -প্রবাদ
৯। অন্ন! অন্ন! যে ভগবান এখানে আমাকে অন্ন দিতে পারেন না তিনি যে আমাকে স্বর্গে অনন্ত স্বুখে রাখিবেন – ইহা আমি বিশ্বাস করি না। – স্বামী বিবেকানন্দ
১০। আমি ৮২ জনকে নিয়ে বিপ্লব শুরু করি। তা যদি আমাকে আবার করতে হয়, তবে আমি ১০ বা ১৫ জনকে নিয়ে করব এবং সম্পূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে করব। সংখ্যায় আপনি কত কম, সেটা কোনো বিষয় নয়, যদি আপনার বিশ্বাস ও কর্মপরিকল্পনা থাকে। – ফিদেল কাস্ত্রো
১১। আমার যাহা ইচ্ছা তাহাই করিতে পারি, তোদের বিশ্বাস নাই, কাজেই ফলও হয় না। – লোকনাথ ব্রহ্মচারী
১২। আমরা যা শিখছি তা যদি আমাদের বিশ্বাসের উপর কোন প্রভাব ফেলতে না পারে, আমাদেরকে আল্লাহর কাছাকাছি নিয়ে যেতে না পারে, আমাদের বিশ্বাসকে আরো মজবুত করতে না পারে তাহলে এর অর্থ হচ্ছে আমাদের উদ্দেশ্যে, নিয়্যতে ভুল আছে। – ড. আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপস
১৩। বেদনার পায়ে চুমু খেয়ে বলি এইতো জীবন, এইতো মাধুরী, এইতো অধর ছুঁয়েছে সুখের সুতনু সুনীল রাত! তুমি জানো নাই__আমি তো জানি। মাটি খুঁড়ে কারা শস্য তুলেছে, মাংশের ঘরে আগুন পুষেছে, যারা কোনোদিন আকাশ চায়নি নীলিমা চেয়েছে শুধু, করতলে তারা ধ’রে আছে আজ বিশ্বাসী হাতিয়ার। – রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
১৪। কিছু কিছু সময় আসে যখন আমরা বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের সীমারেখায় অবস্থান করি। তখন আমরা একই সঙ্গে দেখতে পাই ও পাই না। বুঝতে পারি ও পারি না। অনুভব করতে পারি ও পারি না। সে বড় রহস্যময় সময়। – হুমায়ূন আহমেদ
আরও পড়ুন… বন্ধু নিয়ে উক্তি