১) প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরিত প্রতিক্রিয়া আছে।
২) চাতুর্য হচ্ছে এমন একটি গুণ যেখানে আপনি নিজের বক্তব্য সহজেই উপস্থাপন করতে পারবেন এবং তা কোন শত্রু না তৈরি করেই।
৩) প্রকৃতি সবসময় সহজ কিছুই পছন্দ করে। প্রকৃতি মেকি হতে পারে না।
৪) আমরা সাদা চোখে একটি পানির কণা সম্পর্কেই জানতে পারি কিন্তু বিশাল সমুদ্র সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান সামান্যই।
৫) মানুষ অনেক বেশি দেয়াল তৈরি করেছে কিন্তু পরস্পরের জন্য খুব বেশি সেতু তৈরি করতে পারে নি।
৬) আমি কতটুকু কি করতে পেরেছি জানি না কিন্তু পৃথিবীর এই বিপুল জ্ঞানভান্ডারের জানার ক্ষেত্রে আমি সাগরের তীরে দাঁড়িয়ে থাকা এক শিশুর মত, যে শুধু সারাজীবন নুড়িই কুড়িয়ে গেল। সমুদ্রের জলরাশির মত বিশাল এই জ্ঞান আমার অজানাই থেকে গেল।
৭) মহাকর্ষ সবসময় আমাদের এটি ব্যাখা করতে পারে যে গ্রহগুলো কিভাবে ঘুরছে। কিন্তু এটি ব্যাখা করতে পারে না যে কে গ্রহগুলোকে এই অবস্থায় রেখেছেন।
৮) আমি জানিনা বিশ্বের কাছে আমি কিভাবে উপস্থাপিত হয়েছি, কিন্তু আমার কাছে আমার নিজেকে মনে হয় এক ছোট বালক যে কেবল সমুদ্র উপত্যকায় খেলা করছে এবং একটি ক্ষুদ্র নুড়ি বা ক্ষুদ্রতর এবং খুব সাধারণ পাথর সন্ধান করছে, অথচ সত্যের মহাসমুদ্র তার সম্মুখে পড়ে রয়েছে যা অনাবিষ্কৃতই রয়ে গেল।
৯) আমি এটি এজন্য উল্লেখ করিনি যে, বিশ্ব চরাচর কখন ধ্বংস হবে তার সময় আমি সবাইকে জানাতে চাই; বরং এজন্য যে, কল্পনার রাজ্যে বসবাসকারী ব্যক্তিরা বিশ্বের ধ্বংস সম্বন্ধে যা বলছেন তার সবগুলোকে একটি সীমার মধ্যে বেঁধে দেয়া। এবং এটি করার মাধ্যমে আমি পবিত্র ভবিষ্যদ্বাণীসমূহের যেটি ব্যর্থ প্রমাণিত হবে তাকে সাথে সাথে বিফল হিসেবে চিহ্নিত করার উপায় নির্ধারণ করলাম।
১০) অভিকর্ষ গ্রহসমূহের গতির বিষয়টি ব্যাখ্যা করে, কিন্তু এটি ব্যাখ্যা করতে পারেনা, কে গ্রহগুলোকে গতিশীল হিসেবে নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করে দিলে। ঈশ্বর সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন এবং যা কিছু ঘটছে বা যা কিছু ঘটা সম্ভব তার সবই তিনি জানেন।
১১) সত্য সবসময় সহজবোধ্যতার মাঝে পাওয়া যায়। এটি কখনো জটিলতার মাঝে পাওয়া যাবে না।