৪১। কাউকে কটু কথা বলবে না। কারণ সে-ও কটু প্রতু্ত্তর দিতে পারে। উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় তোমার জন্যেও কষ্টদায়ক হবে। দন্ডের প্রতিদন্ড তোমাকেও স্পর্শ করবে।
-মুহম্মদ জাফর ইকবাল
৪২। মূর্খরা ‘আমার পুত্র, আমার অর্থ, আমার ধন’ এই চিন্তায় যন্ত্রণা ভোগ করে। যখন সে নিজেই নিজের না তখন পুত্র বা ধন তার হয় কিভাবে?
-মুহম্মদ জাফর ইকবাল
৪৩। যদি কেউ তোমাকে মূল্যায়ন না করে, তাহলে তার কাছে ছোট হওয়ার চেয়ে নিজেকে তার কাছ থেকে আড়াল করে নেওয়ায় ভালো।
-মুহম্মদ জাফর ইকবাল
৪৪। মা যেমন তাঁর নিজ পুত্রকে নিজের জীবন দিয়ে রক্ষা করে তেমনি সকল প্রাণীর প্রতি অপরিমেয় মৈত্রীভাব পোষণ করবে।
-মুহম্মদ জাফর ইকবাল
৪৫। আমার কাছে ঈশ্বর-চিন্তা আর মানুষের অমরতার চিন্তা সমার্থক। কেউ যদি আমাকে আস্তিক বলেন বিনা বাক্যে মেনে নেব। আমি আস্তিক। যদি কেউ বলেন নাস্তিক আপত্তি করব না। আস্তিক হোন, নাস্তিক হোন, ধর্মে বিশ্বাসকরুন আর নাই করুন, আমি কোন বিবাদের হেতু দেখতে পাইনে। আমার অভীষ্ট বিষয় মানুষ, শুধু মানুষ। মানুষই সমস্ত বিশ্বাস, সমস্ত মূল্যচিন্তা, সমস্ত বিজ্ঞানবুদ্ধির উৎস।
-মুহম্মদ জাফর ইকবাল
৪৬। অন্ধকার ঘরে থাকিলে, তোকে যদি কেহ জিজ্ঞাস করে ‘তুই কে?’ তুই বলিস ‘আমি’। আমাকে যদি কেহ জিজ্ঞাস করে আমিও বলি ‘আমি’। নামে নামে এত মিত্রতা হয় আর ‘আমি’তে ‘আমি’তে কি কোনো মিত্রতা হইতে পারে না?
-মুহম্মদ জাফর ইকবাল
৪৭। ক্ষমাশীলতার নীতি অবলম্বন করো,সত্য-সঠিক কাজের আদেশ দাওআর অজ্ঞদেরকে এড়িয়ে চলো।
-মুহম্মদ জাফর ইকবাল
৪৮। গতকাল চালাক ছিলাম, তাই পৃথিবীকে বদলাতে চেয়েছিলাম… আজ আমি বিজ্ঞ, তাই নিজেকে বদলাতে চাই।
-মুহম্মদ জাফর ইকবাল