হুমায়ূন আহমেদ : হুমায়ূন আহমেদ এর বাণী , হুমায়ূন আহমেদ এর উক্তি , হুমায়ূন আহমেদের বাণী, হুমায়ূন আহমেদের উক্তি: হুমায়ূন আহমেদ বাংলা সাহিত্যের এক কিংবদন্তী লেখক। তিনি ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া থানার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। একাধারে তিনি ছিলেন একজন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার এবং গীতিকার, ছোটগল্পকার, চিত্রনাট্যকার এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা। বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে জনপ্রিয় বাঙালি কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। তাকে বাংলা সাহিত্যে গল্পের জাদুকর বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক ছিলেন হুমায়ূন আহমেদ । নাটক এবং চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও হুমায়ূন আহমেদ এর জনপ্রিয়তা কম নয়। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় তিন শতাধিক। নন্দিত নরকে হুমায়ূন আহমেদ রচিত প্রথম উপন্যাস । এটি প্রকাশিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে। হুমায়ূন আহমেদ ২০১২ সালের ১৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন। তিনি মারা গেলেও লক্ষ লক্ষ পাঠকের মাঝে বেঁচে আছেন শ্রদ্ধার সঙ্গে। হুমায়ূন আহমেদের উক্তি বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আজকাল ফেসবুক খুললেই চোখের সামনে ভেসে আসে হুমায়ূন আহমেদের বাণী :
হুমায়ূন আহমেদের বাণী, হুমায়ূন আহমেদের উক্তি:
১. প্রত্যেক ভালবাসায় দুইজন সুখী হলেও তৃতীয় একজন অবশ্যই কষ্ট পাবেই, এটাই হয়তো প্রকৃতির নিয়ম।
– হুমায়ূন আহমেদ
২. নোংরা কথা শুনতে নিষিদ্ধ আনন্দ আছে, কথা যত নোংরা তত মজা। – হুমায়ূন আহমেদ
৩. যে ভালবাসা যত গোপন,সেই ভালবাসা তত গভীর।
– হুমায়ুন আহমেদ
৪. এই পৃথিবীতে চোখের জলের মতো পবিত্রতো আর কিছু নেই । এই পবিত্র জলের স্পর্শে সব গ্লানি- সব মালিন্য কেটে যায় ।
– হুমায়ূন আহমেদ
৫. পালে একটা নেকড়ে ঢুকে পড়ার মত। এক হাজার সত্যির মধ্যে একটা মিথ্যা। ভয়ংকর মিথ্যা।
— হুমায়ূন আহমেদ
৬. বেশি সুন্দরী মেয়েদের রাগও বেশি থাকে।
-হুমায়ুন আহমেদ
৭. বাস্তবতা এতই কঠিন যে কখনও কখনও বুকের ভিতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু ভালবাসাও অসহায় হয়ে পড়ে।
-হুমায়ুন আহমেদ
৮. হাসি সবসময় যে সুখের প্রকাশতা নয়, আপনি কতটা দু:খ লুকাতে পারেন তাও বুঝায়।
-হুমায়ূন আহমেদ
৯. ভালো মানুষের রাগ থাকে বেশি। যারা মিচকা শয়তান তারা রাগে না। পাছায় লাথি মারলেও লাথি খেয়ে হাসবে।
-হুমায়ূন আহমেদ
১০. মানুষের যা করতে ইচ্ছা হয় তা করা উচিত,মানুষ আর বাঁচে কত দিন ???
– হুমায়ূন আহমেদ
১১. প্রেমের ক্ষমতা যে কি প্রচন্ড হতে পারে প্রেমে না পড়লে তা বুঝা যায় না।
– হুমায়ূন আহমেদ
১২. যে একদিন পড়িয়েছে সে শিক্ষক। সারাজীবনই শিক্ষক…. আবার যে একদিন চুরি করেছে সে কিন্তু সারাজীবনই চোর না। তাহলে পৃথিবীর সব মানুষই চোর হত…!
– হুমায়ুন আহমেদ
১৩. মনে রেখো, আজকের দিনটিই তোমার সেই ভবিষ্যৎ যা নিয়ে তুমি গতকাল চিন্তিত ছিলে।
– হুমায়ুন আহমেদ
১৪. সাহসী মানে সবসময় গর্জে উঠা নয়। অনেক সময় সাহসী তারাই যারা দিন শেষে শান্ত গলায় বলে আমি আবার কালকে চেষ্টা করবো।
– হুমায়ূন আহমেদ
১৫. যার ওপর মায়া পড়েছে তার সঙ্গে শুধু কথা বলতে ইচ্ছে করে এই ইচ্ছেটিই বিপজ্জনক, কথা বলা মানেই মায়া বাড়ানো।
– হুমায়ূন আহমেদ
১৬. প্রতিটা মানুষের জীবনে কষ্ট আছে শুধুতা প্রকাশ করারপদ্ধতি ভিন্ন।নির্বোধরা প্রকাশকরে চোখের পানি দিয়ে আর বুদ্ধিমানরা প্রকাশ করে মৃদু হাসি দিয়ে।
– হুমায়ূন আহমেদ
১৭. মেয়েদের মন পৃথিবীর সবচেয়ে স্পর্শকাতর জায়গা।এই মন অনেক কঠিন বিষয় সহজে মেনে নেয়,আবার অনেক সহজ বিষয় সহজে মেনে নিতে পারে না।
– হুমায়ূন আহমেদ
১৮. অপেক্ষা হলো শুদ্ধতম ভালোবাসার একটি চিহ্ন। সবাই ভালোবাসি বলতে পারে। কিন্তু সবাই অপেক্ষা করে সেই ভালোবাসা প্রমাণ করতে পারে না !!
– হুমায়ূন আহমেদ
১৯. প্রতিটি মেয়েই নিষ্ঠুর হবারঅসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়।
-হুমায়ুন আহমেদ
২০. যার রাগ বেশি সে নিরবে অনেক ভালোবাসতে জানে, যে নিরবে ভালোবাসতে জানে তার ভালোবাসার গভীরতা বেশি, আর যার ভালোবাসার গভীরতা বেশি তার কষ্টও অনেকবেশি l
-হুমায়ূন আহমেদ
২১. ভাঙা মন নিয়ে যে হাসতে জানে, তার মত শক্তিশালী মানুষ খুঁজে পাওয়া কষ্টকর।
-হুমায়ূন আহমেদ
২২.শহরের সাথে গ্রামের এই বুঝি পার্থক্য। শহরে দৃষ্টি আটকে যায়। গ্রামে যায় না।
-হুমায়ূন আহমেদ
২৩. পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ সম্ভবত কষ্ট পাবার জন্যই জন্মায়। টাকা পয়সার কষ্ট নয় মানসিক কষ্ট।
-হুমায়ূন আহমেদ
২৪. পৃথিবীতে কিছু কিছু খুব দুর্ভাগা মানুষ জন্মগ্রহণ করে, তারা কাউকে ভালোবাসতে পারে না।
-হুমায়ূন আহমেদ
২৫. পুরুষ মানুষকে চোখে চোখে রাখতে হয়। চোখের আড়াল হলেই এরা অন্য জিনিস।
-হুমায়ূন আহমেদ
২৬. প্রেম আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সেটা যদি One sided হয় তাহলে তার গুরুত্ব আরো বেশি।
-হুমায়ূন আহমেদ
২৭. জোছনা আমার অতি প্রিয় বিষয়, প্রবল জোছনা আমার মধ্যে এক ধরনের হাহাকার তৈরি করে, সেই হাহাকারের উৎস অনুসন্ধান করে জীবন পার করে দিলাম।
-হুমায়ূন আহমেদ
২৮. অধিকাংশ মানুষ কল্পনায় সুন্দর, অথবা সুন্দর দূর থেকে। কাছে এলেই আকর্ষণ কমে যায়। কারো সম্পর্কে যত কম জানা যায়, সে তত ভাল মানুষ।
-হুমায়ূন আহমেদ
২৯. মেয়েদের দুটি জিনিস খুব খারাপ, একটি হচ্ছে সাহস অন্যটি গোয়ার্তূমি।
-হুমায়ূন আহমেদ
৩০. সন্ধ্যাবেলার এই সময়টা ভালো না। এই সময় মানুষ বড় একাকী বোধ করে। তাদের বুক হু হু করে। অকারণেই তাদের চোখ ভিজে উঠে।
-হুমায়ূন আহমেদ
৩১. পৃথিবীতে নিজে ভালো থাকতে চাইলে স্বার্থপর হয়ে যাও, আর মানুষের কাছে ভালো হয়ে থাকতে চাইলে নিঃস্বার্থ হও।
-হুমায়ূন আহমেদ
৩২. আমার হারিয়ে ফেলার কেউ নেই, কাজেই খুঁজে পাওয়ারও কেউ নেই, আমি মাঝে মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলি, আবার খুঁজে পাই।
-হুমায়ূন আহমেদ
৩৩. মানুষ হবার অনেক যন্ত্রণার একটি হচ্ছে, যা বলতে প্রাণ কাঁদে তা কখনো বলা হয় না।
-হুমায়ূন আহমেদ
৩৪. সাধারন হওয়াটা একটা অসাধারন বিষয়, সবাই সাধারন হতে পারে না।
-হুমায়ূন আহমেদ
৩৫. স্বপ্ন টা কেমন ছিল, তা ঘুম ভাঙ্গার পরবুঝা যায়। ঠিক তেমনি কাছের মানুষ কেমন ছিল, তা শুধু হারিয়ে যাবার পর বুঝা যায়।
-হুমায়ূন আহমেদ
৩৬. কাউকে প্রচন্ডভাবে ভালোবাসার মধ্যে এক ধরনের দুর্বলতা আছে। নিজেকে তখন তুচ্ছ এবং সামান্য মনে হয়। এই ব্যাপারটা নিজেকে ছোট করে দেয়।
-হুমায়ূন আহমেদ
৩৭. ভয়ংকর ভয়ের স্বপ্নে মানুষের ঘুম ভাঙে আবার অস্বাভাবিক আনন্দের স্বপ্নেও মানুষের ঘুম ভাঙে।
-হুমায়ূন আহমেদ
৩৮. পৃথিবীতে ফিনিক ফোটা জোছনা আসবে। শ্রাবন মাসে টিনের চালে বৃষ্টির সেতার বাজবে। সেই অলৌকিক সঙ্গীত শোনার জন্য আমি থাকব না। কোনো মানে হয়!
-হুমায়ূন আহমেদ
৩৯. ভালোবাসার মানুষদের খুব কাছে কখনো যেতে নেই!
-হুমায়ূন আহমেদ
৪০. যদি আপনি অন্তর থেকে কাউকে চান, জেনে রাখুন সেই মানুষটিও আপনাকে ভেবেই ঘুমাতে যায়।
-হুমায়ূন আহমেদ
৪১. খুব বুদ্ধিমান মানুষদের এটা একটা সমস্যা। নিজেদের তৈরি কথা ছোট ছোট ফাঁদে তারা নিজেরা ধরা পড়ে।
-হুমায়ূন আহমেদ
৪২. লাজুক ধরনের মানুষ বেশির ভাগ সময়ই মনের কথা বলতে পারে না। মনের কথা হড়বড় করে বলতে পারে শুধু মাত্র পাগলরাই। পাগলরা মনে হয় সে কারণেই সুখি।
-হুমায়ূন আহমেদ
৪৩. আবেগ লুকাতে হয়, অতি আবেগ মানুষকে সামনে এগোতে দেয় না।
-হুমায়ূন আহমেদ
৪৪. মেয়ে মানুষ চিনেছেন বলে অহংকার করবেন না, কেননা আপনি জানেন না অন্য আর একটি মেয়ে আপনাকে কি শিক্ষা দেবে।
-হুমায়ূন আহমেদ
৪৫. মেয়েদের তৃতীয় নয়ন থাকে। এই নয়নে সে প্রেমে পড়া বিষয়টি চট করে বুঝে ফেলে।
-হুমায়ূন আহমেদ
৪৬. মেয়েরা এমনিতেই সন্দেহ বাতিকগ্রস্ত হয়। পেটে সন্তান থাকা অবস্থায় সন্দেহ রোগ অনেকগুনে বেড়ে যায়।
-হুমায়ূন আহমেদ
৪৭. পিথাগোরাস বলে গেছেন, তিন খুব শক্তিশালী সংখ্যা। তিনে-এ আছে আমি, তুমি এবং সর্বশক্তিমান তিনি। সেজন্যই ত্রিভুবন, ত্রিকাল এবং ত্রিসত্যি। কবুল বলতে হয় তিনবার। তালাক বলতে হয় তিনবার। পৃথিবীতে রঙও মাত্র তিনটা। লাল, নীল এবং হলুদ। বাকি সব রং এই তিনের মিশ্রণ।
-হুমায়ূন আহমেদ
৪৮. তুমি একটা খারাপ কাজ করেছো তার মানে তুমি একজন মানুষ, তুমি সেই খারাপ কাজটার জন্য অনুতপ্ত তার মানে তুমি একজন ভাল মানুষ।
-হুমায়ূন আহমেদ
৪৯.মানুষ হয়ে জন্মানোর সবচেয়ে বড় কষ্ট হচ্ছে মাঝে মাঝে তার সবকিছু পেছনে ফেলে চলে যেতে ইচ্ছা করে, কিন্তু সে যেতে পারে না। তাকে অপেক্ষা করতে হয়। কিসের অপেক্ষা তাও সে ভালমত জানে না। -হুমায়ূন আহমেদ
৫০. মানুষের হাসি খুব অদ্ভূত জিনিস। জন্তু জানোয়ার হাসতে পারে না মানুষ হাসে। একজন ‘হাসন্ত’ মানুষের উপর এজন্য রাগ থাকে না।
-হুমায়ূন আহমেদ
৫১.জীবনটা আসলেই অনেক সুন্দর, এতো বেশি সুন্দর যে, মাঝে মাঝে অসহ্য লাগে।
-হুমায়ূন আহমেদ
৫২. ভালবাসার মানুষের সাথে বিয়ে না হওয়াটাই বোধ হয় ভাল। বিয়ে হলে মানুষটা থাকে, ভালবাসা থাকে না। আর যদি বিয়ে না হয় তাহলে হয়ত’বা ভালবাসাটা থাকে, শুধু মানুষটাই থাকে না। মানুষ এবং ভালবাসা এই দুয়ের মধ্যে ভালবাসাই হয়ত বেশি প্রিয়।
-হুমায়ূন আহমেদ
৫৩. মদ না খেয়েও মানুষ মাতাল হতে পারে। একটি ভালো কবিতা পড়ে মাতাল হতে পারে, একটি সুন্দর সুর শুনে মাতাল হতে পারে, প্রেমে পড়েও মাতাল হতে পারে।
-হুমায়ূন আহমেদ
৫৪. মধ্যবিত্ত হওয়ার চেয়ে ফকির হওয়া ভালো। ফকিরদের অভিনয় করতে হয় না। কিন্তু মধ্যবিত্তদের প্রতিনিয়ত সুখ আর সচ্ছলতার অভিনয় করে যেতে হয়। তথাকথিত সামাজিক সম্মান রক্ষার্থে।
-হুমায়ূন আহমেদ
৫৫. কল্পনা শক্তি আছে বলেই, সে মিথ্যা বলতে পারে। যে মানুষ মিথ্যা বলতে পারে না, সে সৃষ্টিশীল মানুষ না, রোবট টাইপ মানুষ।
-হুমায়ূন আহমেদ
৫৬. যারা সুখী হয় তাদের মধ্যে সুখী হবার বীজ থাকে। জল, হাওয়া এবং ভালোবাসায় সেই বীজ থেকে গাছ হয়।
-হুমায়ূন আহমেদ
৫৭. সেই বেশী হাসে, যে গোপনে কাঁদে । সেই বেশী নিজেকে হ্যাপি দেখায়, যে নিরবে একা থাকে। সেই বলে সুখের কোন অভাব নেই, যার জীবনে কষ্ট ছাড়া আর কিছু নাই।
-হুমায়ূন আহমেদ
৫৮. সন্দেহভাজন একজন মানুষ যত ভালো কাজই করুক তার কাজকে দেখা হয় সন্দেহের চোখে।
-হুমায়ূন আহমেদ
৬০. একটা বড় ধরনের ভুলের জন্য মানুষের সারা জীবনের সঞ্চিত ‘শুদ্ধ’ কাজ গুলিও ভুল হয়ে যায়।
-হুমায়ূন আহমেদ
৬১. স্বপ্ন স্বপ্নই। স্বপ্ন নিয়ে মাথা ঘামাতে নেই। মানুষ তার এক জীবনে কত বিচিত্র স্বপ্নই না দেখে।
-হুমায়ূন আহমেদ
৬২. সব সৌন্দর্যে ব্যাখ্যাতীত কিছু ব্যাপার থাকে। রবীন্দ্রনাথ ব্যাপারটা বুঝেছিলেন বলেই ব্যাখ্যায় না গিয়ে বলেছেন- বাজিল বুকে সুখের মতো ব্যথা।
-হুমায়ূন আহমেদ
৬৩. রাত্রি কখনও সূর্যকে পায় না, তাতে ক্ষতি নেই। কারণ সে পেয়েছে অনন্ত নক্ষত্রবীথি।
-হুমায়ূন আহমেদ
৬৪. ট্রাফিক জ্যামেরও একটা ভাল দিক আছে। এই সময়ে রাস্তা পারাপার করতে পারা যায় !!
-হুমায়ূন আহমেদ
৬৫. প্রেমের ক্ষমতা যে কি প্রচন্ড হতে পারে প্রেমে না পড়লে তা বুঝা যায় না।
-হুমায়ূন আহমেদ
৬৬. কখনো কাউকে অযোগ্য বলে অবহেলা করো না। ভেবে দেখো তুমিও কারো না কারো কাছে অযোগ্য। কেউ কারো যোগ্য নয়, যোগ্য বিবেচনা করে নিতে হয় !!
-হুমায়ূন আহমেদ
৬৭. জীবনে কুসিৎত সব ব্যাপারগুলি সহজভাবে ঘটে যায়। অপরূপ রূপবতী একটা মেয়ে হাসতে হাসতে কঠিন কঠিন কথা বলে !!
-হুমায়ূন আহমেদ
৬৮. বাঙালি গরমের ভক্ত নরমের যম। একটু নরম দেখলেই উপায় নেই- ঝাঁপ দিয়ে পড়বে। তারা যত ঝাঁপ দেবে পুলিশ তত বিপদে পড়বে। বাঙালি জাতির যত রাগ খাকি পোশাকের দিকে। পুলিশের দিকে ঢিল মারতে পারলে তারা আর কিছু চায় না !!
-হুমায়ূন আহমেদ
৬৯. মেয়েরা ব্যাক্তিগত চাহিদার কাছে কখনো পরাজিত হয় না !!
-হুমায়ূন আহমেদ
৭০. মানুষের কষ্ট দেখাও কষ্টের কাজ !!
-হুমায়ূন আহমেদ
৭১. মানব জাতির স্বভাব হচ্ছে সে সত্যের চেয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিরাপদ মনে করা।
-হুমায়ূন আহমেদ
৭২. মানব জীবন হলো অপেক্ষার জীবন!
-হুমায়ূন আহমেদ
৭৩. যুদ্ধ এবং প্রেমে কোনো কিছু পরিকল্পনা মতো হয় না।
-হুমায়ূন আহমেদ
৭৪. দুঃসময়ে কোনো অপমান গায়ে মাখতে হয় না।
-হুমায়ূন আহমেদ
৭৫. ভালো মানুষের রাগ থাকে বেশি। যারা মিচকা শয়তান তারা রাগে না। পাছায় লাথি মারলেও লাথি খেয়ে হাসবে।
-হুমায়ূন আহমেদ
৭৬. পৃথিবীতে আনন্দ এবং দুঃখ সব সময় থাকবে সমান সমান। বিজ্ঞানের ভাষায় আনন্দের সংরক্ষণশীলতা। একজন কেউ চরম আনন্দ পেলে, অন্য জনকে চরম দুঃখ পেতে হবে ।
-হুমায়ূন আহমেদ
৭৭. যে মানব সন্তান ক্ষুদ্র কামনা জয় করতে পারে সে বৃহৎ কামনাও জয় করতে পারে !! -হুমায়ূন আহমেদ
৭৮.সব মানুষের জীবনেই অপূর্ণতা থাকবে। অতি পরিপূর্ণ যে মানুষ তাকে জিজ্ঞেস করলে সে ও অতি দুঃখের সঙ্গে তার অপূর্ণতার কথা বলবে। অপূর্ণতা থাকে না শুধু বড় বড় সাধক ও মহা পুরুষদের।
-হুমায়ূন আহমেদ
৭৯. ভালোবাসা ও ঘৃনা দুটাই মানুষের চোখে লিখা থাকে ।
-হুমায়ূন আহমেদ
৮০. বাবা-মা’র প্রথম সন্তান হচ্ছে চমৎকার একটি জীবন্ত খেলনা। এই খেলনার সবই ভালো। খেলনা যখন হাসে, বা-মা হাসে। খেলনা যখন কাঁদে বাবা-মা’র মুখ অন্ধকার হয়ে যায়।
-হুমায়ূন আহমেদ
৮১. একজন বিবাহিত মেয়ে কোন দিনই কুমারী জীবনে ফিরে যেতে পারে না। কিন্ত কাছাকাছি হয়ত যাওয়া যায়। চেস্টা করলেই যাওয়া যায়।
-হুমায়ূন আহমেদ
৮২. গল্প উপন্যাস হল অল্প বয়সী মেয়েদের মাথা খারাপের মন্ত্র।
-হুমায়ূন আহমেদ
৮৩. সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কেউ মিথ্যা বলতে পারে না। মিথ্যা বলতে হয় অন্যদিকে তাকিয়ে।
-হুমায়ূন আহমেদ
৮৪. এই পৃথিবীতে প্রায় সবাই, তার থেকে বিপরীত স্বভাবের মানুষের সাথে প্রেমে পড়ে।
-হুমায়ূন আহমেদ
৮৫. ভদ্র ছেলেদের জন্য মেয়েদের মনে কখনও প্রেম জাগে না। যা জাগে সেটা হল সহানুভূতি।
-হুমায়ূন আহমেদ
৮৬. গল্প উপন্যাস হল অল্প বয়সী মেয়েদের মাথা খারাপের মন্ত্র।
-হুমায়ূন আহমেদ
৮৭. একজন বিবাহিত মেয়ে কোন দিনই কুমারী জীবনে ফিরে যেতে পারে না। কিন্ত কাছাকাছি হয়ত যাওয়া যায়। চেস্টা করলেই যাওয়া যায়।
-হুমায়ূন আহমেদ
৮৮. মেয়েরা গোছানো মানুষ পছন্দ করে না। মেয়েরা পছন্দ করে অগোছালো মানুষ।
-হুমায়ূন আহমেদ
৮৯. মেয়েদের স্বভাবই হচ্ছে হালকা জিনিস নিয়ে মাতামাতি করা।
-হুমায়ূন আহমেদ
৯০. একজন মানুষকে সত্যিকারভাবে জানার উপায় হচ্ছে তার স্বপ্নটা জানা।
-হুমায়ূন আহমেদ
৯১. সমুদ্রের জীবনে যেমন জোয়ার-ভাটা আছে, মানুষের জীবনেও আছে। মানুষের সঙ্গে এই জায়গাতেই সমুদ্রের মিল।
-হুমায়ূন আহমেদ
৯২. যে সব মানুষের নাক সেনসেটিভ হয় তাদের কান কম সেনসেটিভ হয়। প্রকৃতি একটা বেশী দিলে অন্যটা কমিয়ে দেয়।
-হুমায়ূন আহমেদ
৯৩. মাঝে মাঝে আত্মার সম্পর্ক রক্তের সম্পর্ককেও অতিক্রম করে যায়।
-হুমায়ূন আহমেদ
৯৪. ভাল লাগা এমন এক জিনিস যা একবার শুরু হলে সব কিছুই ভালো লাগতে থাকে।
-হুমায়ূন আহমেদ
৯৫.মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোই ধরণীর আসল রূপ দেখতে পায়।
-হুমায়ূন আহমেদ
৯৬. ভালবাসাবাসির জন্যে অনন্তকালের প্রয়োজন নেই, একটি মুহূর্তই যথেষ্ট।
-হুমায়ূন আহমেদ
৯৭. জীবন সহজ নয়, জটিলও নয়-জীবন জীবনের মতো। আমরাই একে সহজ করি জটিল করি।
-হুমায়ূন আহমেদ
৯৮. দিতে পারো একশ ফানুশ এনে? আজন্ম সলজ্জ সাধ একদিন আকাশে কিছু ফানুশ উড়াই।
-হুমায়ূন আহমেদ
৯৯. একজন কাছের মানুষ আরেকজন কাছের মানুষকে তখনি ভয় করে যখন সে তাকে বুঝতে পারে না।
-হুমায়ূন আহমেদ
১০০. মা হল পৃথিবীর একমাত্র ব্যাংক, যেখানে আমরা আমাদের সব দুঃখ, কষ্ট জমা রাখি এবং বিনিময়ে নেই বিনাসূদে অকৃত্রিম ভালোবাসা।
-হুমায়ূন আহমেদ
১০১. মানুষ নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করে। সে চায় তাঁকে খুঁজে বের করুক।
-হুমায়ূন আহমেদ
১০২. ছেলেদের জন্য পৃথিবীতে সব চাইতে মূল্যবান হল মেয়েদের হাসি।
-হুমায়ূন আহমেদ
১০৩. পৃথিবীতে এমন কোনো কাজ নেই যা করলে জীবন ব্যার্থ হয়। জীবন এতই বড় ব্যাপার যে একে ব্যার্থ করা খুবই কঠিন।
-হুমায়ূন আহমেদ
১০৪. মানুষের পুরো জীবনটা হচ্ছে একটা সরল অংক। যতই দিন যাচ্ছে, ততই আমরা তার সমাধানের দিকে যাচ্ছি।
-হুমায়ূন আহমেদ
১০৫. ভাসিয়ে দেবার প্রবণতা প্রকৃতির ভেতর আছে। সে জোছনা দিয়ে ভাসিয়ে দেয়, বৃষ্টি দিয়ে ভাসিয়ে দেয়, তুষারপাত দিয়ে ভাসিয়ে দেয়। আবার প্রবল প্রেম, প্রবল বেদনা দিয়েও তার সৃষ্টজগৎকে ভাসিয়ে দেয়।
-হুমায়ূন আহমেদ
১০৬. যারা সিগারেট খায় তারা যখন অস্বস্তিকর পরিবেশে পড়ে তখন তাদের সিগারেট ধরাতে ইচ্ছা করে।
-হুমায়ূন আহমেদ
১০৭. সব পাখি জোড়ায় জোড়ায় ওড়ে। পক্ষীকুলে শুধুমাত্র চিলকেই নিঃসঙ্গ উড়তে দেখা যায়। নিঃসঙ্গতার আনন্দের সাথে এই পাখিটার হয়তো বা পরিচয় আছে।
-হুমায়ূন আহমেদ
১০৮. চমৎকার মেয়েগুলি এমন-এমন জায়গায় থাকে যে ইচ্ছা করলেই হুট করে এদের কাছে যাওয়া যায় না। দূর থেকে এদের দেখে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলতে হয় এবং মনে মনে বলতে হয়, আহা, এরা কী সুখেই না আছে।
-হুমায়ূন আহমেদ
১০৯. মানুষের সমগ্র অতীত তার চেহারায় লেখা থাকে। যারা সেই লেখা পড়তে পারে তারা মানুষকে দেখেই হুড়হুড় করে অতীত বলে দিতে পারে।
-হুমায়ূন আহমেদ
১১০. হুট করে প্রেম হয় কনজারভেটিভ ফ্যামিলিগুলোতে। ঐ সব ফ্যামিলির মেয়েরা পুরুষদের সঙ্গে মিশতে পারে না, হঠাৎ যদি সুযোগ ঘটে যায়- তাহলেই বড়শিতে আটকে গেল।
-হুমায়ূন আহমেদ
১১১. সমস্ত জীব-জন্তু ও পশু-পাখির জীবনের বেশীর ভাগ সময় কেটে যায় নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করতে গিয়ে। মানুষের জন্যও এটা সত্যি। আমরাও নিরাপদ আশ্রয় খুঁজি।
-হুমায়ূন আহমেদ
১১২. মেয়ে জাতটাই হচ্ছে মায়াবতীর জাত। কখন যে এই মেয়েটি মায়ায় জড়িয়ে ফেলেছে, নিজেই বুঝতে পারেন নি।
-হুমায়ূন আহমেদ
১১৩.মায়ের সঙ্গে মিল আছে এই জাতীয় মেয়ের প্রতি পুরুষেরা প্রচন্ড আকর্ষন বোধ করে।
-হুমায়ূন আহমেদ
১১৪. বিলাই আর পুরুষ মানুষ এই দুই জাতের কোন বিশ্বাস নাই। দুইটাই ছোকছুকানি জাত।
-হুমায়ূন আহমেদ
১১৫. সারা জীবন পাশাপাশি থেকেও এক সময় একজন অন্যজনকে চিনতে পারে না। আবার এমনও হয়, এক পলকের দেখায় একে অন্যকে চিনে ফেলে।
-হুমায়ূন আহমেদ
১১৬. যে নারীকে ঘুমন্ত অবস্থায় সুন্দর দেখায় সেই প্রকৃত রূপবতী ।
-হুমায়ূন আহমেদ
১১৭. যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো, চলে এসো এক বরষায়।
-হুমায়ূন আহমেদ
১১৮. মানুষ হয়ে জন্মানোর সবচে বড় সমস্যা হলো,যে টপিকটি সে পছন্দ করে না তাকেই সেই টপিকটি সবচে বেশি শুনতে হয়।
– হুমায়ূন আহমেদ
আরও পড়ুন… হুমায়ূন আহমেদ এর কবিতা
হুমায়ূন আহমেদ এর বাণী বা হুমায়ূন আহমেদ এর উক্তি পড়ে ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে ছড়িয়ে দিতে পারেন।