৬১। কোনো ব্যক্তি অসত্যের দিকে আকৃষ্ট হয় তার প্রধান কারণ হলো, সে সত্যকে ধরতে পারছেনা | অতএব যা মিথ্যে তা দূর করার একমাত্র উপায় হলো, যা সত্য তা মানুষকে দিতে হবে |
-স্বামী বিবেকানন্দ
৬২। অজ্ঞানতাই বন্ধনের কারণ, আমরা অজ্ঞানেই বদ্ধ হয়েছি | জ্ঞানের উদয়ের দ্বারাই অজ্ঞানতার নাশ হবে, জ্ঞানই আমাদের অজ্ঞানতার পারে নিয়ে যাবে।
-স্বামী বিবেকানন্দ
৬৩। কেবল আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন করতে পারলেই সবধরনের দুঃখ-কষ্ট ঘুচবে | যতই শক্তি প্রয়োগ, শাসন প্রণালীর পরিবর্তন ও আইনের কড়াকড়ি করোনা কেন, তারফলে জাতির অবস্থার পরিবর্তন হয়না | আধ্যাত্মিক ও নৈতিক শিক্ষাই, প্রবৃত্তি পরিবর্তন করে জাতিকে সৎ পথে চালিত করে।
-স্বামী বিবেকানন্দ
৬৪। তুমি ইন্দ্রিয়ের দাস কিন্তু এই ইন্দ্রিয়ের ভোগ স্থায়ী নয়, বিনাশী এর পরিনাম | এই তিনদিনের ক্ষনস্থায়ী বিলাসের ফল সর্বনাশ | অতএব ইন্দ্রিয়ের দ্বারা সৃষ্ট সুখকে ত্যাগ করো, এটাই ধর্মলাভের উপায় | ত্যাগই আমাদের চরম লক্ষ্য ও মুক্তির পথ কিন্তু ভোগ আমাদের লক্ষ্য নয়।
-স্বামী বিবেকানন্দ
৬৫। মনে করিও না, তোমরা দরিদ্র। অর্থই বল নহে ; সাধুতাই-পবিত্রতাই বল। আপনাতে বিশ্বাস রাখো। প্রবল বিশ্বাসই বড় কাজের জনক।
-স্বামী বিবেকানন্দ
৬৬। যারা লক্ষ লক্ষ দরিদ্র ও নিষ্পেষিত নরনারীর বুকের রক্ত দিয়ে আয় করা টাকায় শিক্ষিত হয়ে এবং বিলাসিতায় আকণ্ঠ ডুবে থেকেও তাদের কথা একটিবার চিন্তা করার অবসর পায় না-তাদের আমি ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলি।
-স্বামী বিবেকানন্দ
৬৭। আত্মার মধ্যে পূর্ব হইতেই মহিমা, তেজ ও পবিত্রতা রহিয়াছে। …ব্যক্তই হউক আর অব্যক্তই হউক, যে-কোন আকারে হউক, ঐ শক্তি তোমাদের ভিতরে রহিয়াছে।
-স্বামী বিবেকানন্দ
৬৮। তোমরা সব করিতে পার।ইহা বিশ্বাস কর। মনে করিও না-তোমরা দুর্বল। অপরের সাহায্য ব্যতীতই তোমরা সব করিতে পার।
-স্বামী বিবেকানন্দ
৬৯। আমাদের জাতের কোনও ভরসা নাই। কোনও একটা স্বাধীন চিন্তা কাহারও মাথায় আসে না – সেই ছেঁড়া কাঁথা, সকলে পড়ে টানাটানি।
-স্বামী বিবেকানন্দ
৭০। আমার আদর্শ বস্ত্ততঃ অতি সংক্ষেপে প্রকাশ করা চলে, আর তা এইঃ মানুষের কাছে তার অন্তর্নিহিত দেবত্বের বাণী প্রচার করতে হবে এবং সর্বকার্যে সেই দেবত্ব-বিকাশের পন্থা নির্ধারণ করে দিতে হবে।
-স্বামী বিবেকানন্দ
৭১। আদান-প্রদানই প্রকৃতির নিয়ম; ভারতের যদি আবার উঠিতে হয়, তবে তাহাকে নিজ ঐশ্বর্য-ভান্ডার উন্মুক্ত করিয়া পৃথিবীর সমুদয় জাতির ভিতর ছড়াইয়া দিতে হইবে এবং পরিবর্তে অপরে যাহা কিছু দেয়, তাহাই গ্রহণের জন্য প্রস্তুত হইতে হইবে।
-স্বামী বিবেকানন্দ
৭২। বেদান্তে সংগ্রামের স্থান আছে, কিন্তু ভয়ের স্থান নাই। যখনই স্বরূপ সম্বন্ধে দৃঢ়ভাবে সচেতন হইতে শুরু করিবে, তখনই সব ভয় চলিয়া যাইবে। নিজেকে বদ্ধ মনে করিলে বদ্ধই থাকিবে; মুক্ত ভাবিলে মুক্তই হইবে।
-স্বামী বিবেকানন্দ
৭৩। আমাদিগকে বড়বড় কাজ করিতে হইবে, অদ্ভুত শক্তির বিকাশ দেখাইতে হইবে, অপর জাতিকে অনেক বিষয় শিখাইতে হইবে।
-স্বামী বিবেকানন্দ
৭৪। শিক্ষা হচ্ছে মানুষের মধ্যে ইতোমধ্যে থাকা উৎকর্ষের প্রকাশ।
-স্বামী বিবেকানন্দ
৭৫। জেগে ওঠো, সচেতন হও এবং লক্ষ্যে না পৌঁছা পর্যন্ত থেমো না।
-স্বামী বিবেকানন্দ
৭৬। অন্ন! অন্ন! যে ভগবান এখানে আমাকে অন্ন দিতে পারেন না তিনি যে আমাকে স্বর্গে অনন্ত স্বুখে রাখিবেন – ইহা আমি বিশ্বাস করি না।
-স্বামী বিবেকানন্দ
৭৭। আমাদের দেশের শতকরা নব্বই জনই অশিক্ষিত,অথচ কে তাহাদের বিষয় চিন্তা করে? এইসকল বাবুর দল কিংবা তথাকথিত দেশহিতৈষীর দল কি?
-স্বামী বিবেকানন্দ
৭৮। আমাদের জাতীয় জীবন অতীতকালে মহৎ ছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই, কিন্তু আমি অকপটভাবে বিশ্বাস করি যে, আমাদের ভবিষ্যত আরও গৌরবান্বিত।
-স্বামী বিবেকানন্দ
৭৯। যতক্ষণ পর্যন্ত আমার দেশের একটি কুকুরও ক্ষুধার্ত, আমার সমগ্র ধর্মকে একে খাওয়াতে হবে এবং এর সেবা করতে হবে, তা না করে অন্য যাই করা হোক না কেন তার সবই অধার্মিক -স্বামী বিবেকানন্দ
৮০। জীবন ও মৃত্যু একটা ব্যাপারেরই বিভিন্ন নাম মাত্র। একই টাকার এপিঠ ওপিঠ। উভয়েই মায়া। এ অবস্থাটাকে পরিস্কার করে বোঝাবার জো নেই। একসময় বাঁচাবার চেষ্টা হচ্ছে আবার পর মুহর্তেই বিনাশা বা মৃত্যু চেষ্টা।
-স্বামী বিবেকানন্দ
৮১। সত্যটা কি? তাকে সেটা জানিয়ে দেও | সত্যের সাথে সে নিজের ভাবের তুলনা করুক | তুমি তাকে সত্য জানিয়ে দিলেই ওখানেই তোমার কাজ শেষ হয়ে গেল।
-স্বামী বিবেকানন্দ
