বারট্রান্ড রাসেল এর উক্তি, বারট্রান্ড রাসেল এর বাণী ঃ
১। কোন ব্যাপারেই পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ো না।
২। চিন্তন প্রক্রিয়ায় কখনোই ‘প্রমাণ’ গোপন করার চেষ্টা করো না, কারণ প্রমাণকে চিরদিন লুকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।
৩। ‘চিন্তা’ করার মানসিকতাকে কখনো নিরুৎসাহিত করো না, কারণ একমাত্র ‘চিন্তা’র মাধ্যমেই সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব।
৪। যখনই তুমি বিরোধিতার মুখোমুখি হবে, এমনকি বিরোধীপক্ষ যদি তোমার স্বামী বা সন্তানও হয়, যুক্তিপ্রয়োগের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার চেষ্টা কর, কতৃত্বপ্রয়োগের মাধ্যমে নয়।
৫। অন্যের ‘কতৃত্ব’-র উপর বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধাবোধ রেখো না, কারণ সবসময়ই পরস্পরবিরোধী কতৃত্বের দেখা মেলে।
৬। যেসব মতামত তোমার কাছে ক্ষতিকর বলে প্রমাণিত হয়, তাদেরকে কখনোই বলপ্রয়োগের মাধ্যমে দমন করার চেষ্টা করো না; কারণ যদি তুমি তা করো তাহলে ওই মতামতগুলোই তোমাকে দমন করে ফেলবে।
৭। তোমার চিন্তাভাবনা ‘অদ্ভূত’ বলে ভীত হয়ো না, কারণ বর্তমানে প্রচলিত সমস্ত চিন্তাভাবনাই একসময় ‘অদ্ভূত’ ছিল।
৮। অপ্রত্যক্ষভাবে মতৈক্যে না পৌছে ভিন্নমত পোষণ করো।
৯। সত্যবাদী হও, এমনকি যদি সত্যটি অপ্রীতিকর হয় তারপরও; কারণ সত্য প্রকাশ করার চেয়ে সত্য লুকিয়ে রাখার চেষ্টাটি আরো বেশি অপ্রীতিকর।
১০। বোকার স্বর্গে বাস করাদের সুখ দেখে হিংসা করো না, কারণ ওই অবস্থাকে সুখ ভাবা একমাত্র ‘বোকা’দের পক্ষেই সম্ভব।
১১। প্রায়শ বিবাহ আর পতিতাবৃত্তির মধ্যে বিশেষ পার্থক্য থাকে না, পার্থক্য কেবল এখান থেকে বের হওয়া কঠিন।
১২। বিবাহ হচ্ছে নারীর জন্য খুব সাধারণ একটি জীবিকা। সম্ভবত এক্ষেত্রে অনিচ্ছা সত্ত্বেও যৌনকর্মের পরিমাণ পতিতাবৃত্তির চেয়ে বেশি।
১৩। ঘৃণা তৈরি করলেই প্রচারণা বেশি সফল হয়।
১৪। আমি কখনো নিজের বিশ্বাসের জন্য প্রাণ দেবো না, কারণ সেটি ভুল হতে পারে।
১৫। বিশ্বের মূল সমস্যা হচ্ছে বোকা এবং গোঁড়া লোকেরা সব সময় নিশ্চিত থাকে আর জ্ঞানী লোকেরা সব সময় সংশয়ে থাকে।
১৬। খুব তুচ্ছ কারণে হত্যা করতে এবং নিহত হতে রাজি হওয়াই হচ্ছে দেশপ্রেম।
আমি কখনো নিজের বিশ্বাসের জন্য প্রাণ দেবো না, কারণ সেটি ভুল হতে পারে।
১৭। পিপড়ে আর বুনোরা আগন্তুককে অক্কা পাইয়ে ছাড়ে।
১৮। সংসারে জ্বালা-যন্ত্রণা এড়াবার প্রধান উপায় হচ্ছে, মনের ভেতর আপন ভুবন সৃষ্টি করে নেওয়া এবং বিপদকালে তার ভেতর ডুব দেওয়া। যে যত বেশি ভুবন সৃষ্টি করতে পারে, যন্ত্রণা এড়াবার ক্ষমতা তার ততই বেশি হয়
১৯। আত্নহত্যা নয় আত্নসমৃদ্ধিই জীবনের উদ্দেশ্য। আর তা কেবলমাত্র সম্ভব জীবন উপভোগের মাধ্যমে।