-তোমার মধ্যে অনন্তকাল বসবাসের ইচ্ছে
তোমার মধ্যেই জমিজমা ঘরবাড়ি, আপাতত একতলা
হাসছো কেন? বলো হাসছো কেন?
-একতলা আমার এক বিন্দু পছন্দ নয়
সকাল সন্ধে চাঁদের সাথে গপ্পো গুজব হবে
তেমন উচু নাহলে আবার বাড়ি নাকি?
-আচ্ছা তাই হবে
চাঁদের গা ছুঁয়ে বাড়ি,
রহস্য উপন্যাসের মতো ঘোরানো প্যাচানো সিড়ি
বাঁকে বাঁকে সোনালী সাজানো স্বপ্নদৃশ্য
শিং সমেত মায়া হরিণের মুণ্ডু
হাসছো কেন ? বলো হাসছো কেন?
-কাটা হরিণ দেয়ালে ঝুলবে অসহ্য।
হরিণ থাকবে বনে বন থাকবে আমাদের,
খাট পালংকের চারধারে
খাট পালংকের নিচে ছোট্ট একটি পাহাড়
পাহাড়ের পেটচিরে ঝর্ণা।
-আচ্ছা তাই হবে
পাহাড় চিরে ঝর্ণা, ঝর্ণার উপরে কাশ্মিরী কার্পেট
সিলিং এ রাজস্থানী-ঝাড়ঝলে ঝাঝরীর মতো উপুর করা।
জানালার গায়ে মেঘ, মেঘের গায়ে ফুরফুরে আদ্দির
পাঞ্জাবী
পাঞ্জাবীর গায়ে লক্ষ্ণই চিকনের কাজ
হাসছো কেন? বলো হাসছো কেন?
-মেঘ রোজ রোজ পাঞ্জাবী পরবে কেন?
এক একদিন পরবে বালুচরী কিংবা
খাটাও এর পাতলা প্রিন্ট
মাথায় বাগান-খোপা-খোপায় হীরের প্রজাপতি
-আচ্ছা তাই হবে।
মেঘ সাজবে জরি পাড় সাড়িতে
আর তখনই নহবতখানার সানাই এ জয়জয়ন্তী
আর তখনই অরণ্যের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বুনো জানোয়ারের হাকডাক।
খাদে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য জেগে উঠবে জলপ্রপাত
শিকারের জন্য তীর ধনুক, দামামা দুন্দুভি
হাসছো কেন? বলো হাসছো কেন?
-তুমি এমন ভাবে বলছো
যেন ভালবাসা মানে সাপে নেউলো ভয়াভহ
একটা যুদ্ধ।
ভয় লাগছে
অন্য গল্প বলো।