অনুবাদ: রহমান হেনরী
তোমার প্রসঙ্গ উঠে আসে, পুষ্প-ফোটা উদ্যানে উদ্যানে
আমি তো আহত হই, বসন্তের সুমিষ্ট সুবাসে।
আমি তো গিয়েছি ভুলে ওই মুখ, আজ আর স্মরণে আসে না
সেই হাত দুটি; কীভাবে ও দুটি ঠোঁট
আমাকে গিলেছে, নেই মনে।
মন গেছে তোমারই তো দিকে, ভালোবাসি শাদা শাদা পাষাণ মূর্তিকে
উদ্যানে মলিন হয়ে আছে যারা, ওইসব শাদামূর্তি
যাদের দৃষ্টিও নেই, বাকশক্তি নেই।
ভুলে গেছি তোমার ও কণ্ঠস্বর, আনন্দিত সেই সব ধ্বনি;
ভুলে গেছি ওই দুটি চোখ।
পুষ্প যেমন বাঁধা আঘ্রাণের সাথে,বাঁধা পড়ে আছি আমি
তোমারই তো অস্পষ্ট স্মৃতির ভেতরে। শুধু এক জখমের
যন্ত্রণাকে সঙ্গী করে বাঁচি; স্পর্শ করো না এতো তাড়াতাড়ি,
অনারোগ্য হতে পারে এই টাটকা ক্ষতটি আমার।
তোমার সুশ্রুষাগুলো আমার সমগ্র দেবে মেলে, যেরকম
মলিন করুণ সব দেয়ালে দেয়ালে, বেয়ে ওঠে দ্রাক্ষালতাগুলি।
তোমার প্রণয় আমি বিস্মৃত হয়েছি, আজও তবু
প্রতিটি জানালাজুড়ে চোখে ভাসে তোমারই তো সেই প্রিয় মুখ।
তোমারই কারণে, এই আসন্ন গ্রীষ্মের যত সুবাস মদিরা
আমাকে যন্ত্রণা দেয়; তোমারই কারণে আমি পুনরায়
পতিত প্রত্যাশা-চিহ্নে খুঁজে ফিরে আশার আলোক :
নিক্ষিপ্ত তারকারাজি, বিক্ষিপ্তও পতন্মোখ যত বস্তুনিচয়
সব ঘেঁটে, তোমারই অস্তিত্ব খুঁজেফিরি।