ধানের ক্ষেতে বাতাস নেচে যায়
দামাল ছেলের মতো
ডাক দে বলে, আয়রে তোরা আয়
ডাকব তোদের কত!
মুক্ত মাঠের মিষ্টি হাওয়া
জোটে না যা ভাগ্যে পাওয়া
হারাসনে ভাই অবহেলায় রে
দিন যে হলো গত।
ছোট্ট নদী কোন সুদূরে ধায়
বক্ষে রজত-ধারা
ডাক দে বলে, আয়রে ছুটে আয়
রুগ্ন সাহস-হারা।
লাগলে মাথায় বৃষ্টি-বাতাস
উলটে কি যায় সৃষ্টি আকাশ?
রোদের ভয়ে থাকলে শুয়ে রে
নৌকা বাইবে কারা?
ছোট্ট নদী কোন সুদূরে ধায়
বক্ষে রজত-ধারা।
সবুজ বনের শীতল কোলের কাছে
একটি খড়ো ঘর
ডাক দে বলে, ভুলেছো ভাই মোরে
তাই ভেবেছো পর।
ইটের পাঁজায় চক্ষু বুঁজে
নিত্য নুতন অভাব খুঁজে
শেষ হবে তোর জীবনধারা যে
থাকবে বালুচর।
সবুজ বনের শীতল কোণে রে
একটি খড়ো ঘর।
সাত-সকালে ঝাঁপি মাথায় চাষী
মাঠের দিকে যায়
ডাক দে বলে, “এই তো তোদের পথ
বাঁচতে যারা চায়।
পেটের ক্ষিদে মেটে না যার
এই রাতে ঠাঁই কোথা তার?
বাঁচতে হলে লাঙ্গল ধর রে
আবার এসে গাঁয়।”
সাত-সকালে ঝাঁপি মাথায় চাষী
মাঠের দিকে ধায়।