খাঁচার ভিতর অচিন পাখি
কেমনে আসে যায়।
ধরতে পারলে মনবেড়ি
দিতাম পাখির পায়।
আট কুঠুরী নয় দরজা আঁটা
মধ্যে মধ্যে ঝরকা কাঁটা।
তার উপরে সদর কোঠা
আয়নামহল তায়।
খাঁচার ভিতর অচিন পাখি
কেমনে আসে যায়।
কপালের ফ্যার নইলে কি আর
পাখিটির এমন ব্যবহার।
খাঁচা ভেঙ্গে পাখি আমার
কোন বনে পালায়।
খাঁচার ভিতর অচিন পাখি
কেমনে আসে যায়।
মন তুই রইলি খাঁচার আশে
খাঁচা যে তোর কাঁচা বাঁশে।
কোন দিন খাঁচা পড়বে খসে
ফকির লালন কেঁদে কয়।
খাঁচার ভিতর অচিন পাখি
কেমনে আসে যায়।
আরও পড়ুন… বাড়ির কাছে আরশিনগর – লালন শাহ