
ইমরান অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে পরীর দিকে। ধীরে ধীরে অপূর্ব সুন্দর পরীর চেহারাটা বিকৃত হয়ে যাচ্ছে। কাঁপতে শুরু করেছে সমস্ত শরীর। চোখের মনি দুটোও আর আগের মতো নেই, বড় হয়ে চক্রাকারে ঘুরতে শুরু করেছে চোখের ভিতর। তারপর হঠাৎই হাত-পাগুলো নিজে থেকেই বেঁকে যেতে শুরু করল। সেই সাথে মুখ দিয়ে গো গো অদ্ভুত একটা শব্দ বের হতে লাগল। মনে হলো পরী যেন কিছু বলতে চাচ্ছে, কিন্তু বলতে পারছে না। ইমরান বুঝতে পারল ভয়ানক কষ্ট হচ্ছে পরীর, কিন্তু কী করবে সে? এক সময় সামনের দিকে হাত বাড়িয়ে তার দিকে এগিয়ে আসতে শুরু করল পরী। ইমরান আপ্রাণ চেষ্টা করল পরীকে নিবৃত্ত করতে। কিন্তু পারল না। পরীর শরীরে যেন অসুরের শক্তি। ভয় পেয়ে ইমরান বাড়ির সবার সাহায্য কামনা করল। সবাই পরীকে দেখে বুঝল পরীকে ভয়ংকর জ্বীনে ধরেছে। তাকে বাঁচাতে হলে জ্বীন ছাড়াতে হবে। ডাকা হলো জব্বার ফকিরকে। পরীর উপর জব্বার ফকিরের অমানুষিক অত্যাচার কিছুতেই মেনে নিতে পারল না ইমরান। পরীকে বাঁচাতে সে পরীকে নিয়ে ঢাকায় চলে এলো। কিন্তু ঢাকার জীবন যে তার জন্য আরও কষ্টের, আরও অনিশ্চয়তার। কে সাহায্য করবে তাকে? এখানে যে তাকে সাহায্য করার মতো কেউ নেই। বরং পদে পদে বিপদ আর বাঁধা। এদিকে ইমরান জানতে পারল পরী তাকেই হত্যা করতে পারে। কী ভয়ংকর কথা! যাকে সে বাঁচানোর চেষ্টা করছে সেই কিনা তাকে হত্যা করবে! শেষ পর্যন্ত সে শরানপন্ন হলো ডাক্তার তরফদারের।
ডাক্তার তরফদার কী শেষ পর্যন্ত বাঁচাতে পেরেছিল ইমরানকে? আর কী ঘটেছিল পরীর ভাগ্যে?
Download Mon Bhanga Pori (PDF)
