২৭১৮ সাল।
পৃথিবীর উপরিপৃষ্ঠের অনেক নিচে ভূ-গর্ভের অভ্যন্তরে হিমিস নামের এক রোবট ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সৃষ্টি করে লাল মানবদের। মানুষের মতো দেখতে লাল মানবদের অল্পদিনে সে পৃথিবীর উপরিপৃষ্ঠে বসবাসরত সত্যিকারের মানুষদের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুলে। শুরু হয় লাল মানব আর মানুষের মধ্যেকার বিভীষিকাময় যুদ্ধ। একে একে ধ্বংস হতে থাকে মানব সমাজ, নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে থাকে মানব সভ্যতা। মানব জাতির এরকম বিপর্যয় দেখে কুটিল হাসি হাসে রোবট হিমিস। সে তো এরকমই চাচ্ছিল! পৃথিবীর প্রায় সবকিছু এখন তার হাতের মুঠোয়। সে হতে চলেছে পৃথিবীর হতাকর্তা, মানুষের নিয়ন্ত্রক!
এদিকে পৃথিবীর বিজ্ঞানীরাও বসে নেই। তারা একটার পর একটা পরিকল্পনা করতে থাকে হিমিসকে ধ্বংসের জন্য। কিন্তু প্রত্যেকবারই ব্যর্থ হতে থাকে। একসময় বুঝতে পারে অতি ধূর্ত আর চালাক রোবট হিমিসকে এত সহজে ধ্বংস করা যাবে না। হিমিসকে ধ্বংস করতে হলে তাদের প্রয়োজন হবে লাল মানবদের। কিন্তু লাল মানবেরা কি পৃথিবীর মানুষকে সাহায্য করবে? না করবে না। কারণ লাল মানবেরা তো হিমিসের পক্ষের, হিমিসের হুকুমের দাস।
সেক্ষেত্রে কি হিমিস সত্যি পৃথিবী দখল করে নেবে? আধিপত্য বিস্তার করবে মানুষের উপর? আর মানুষ হয়ে পড়বে রোবটের দাস।