পিয়াকে দেখে মুগ্ধ হয়েছিল লিমন। একজন নারী এতটা সুন্দরী কীভাবে হতে পারে? অথচ সে ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি পিয়ার মধ্যে কী ভয়ংকর নিষ্ঠুরতা লুকিয়ে আছে। যখন বুঝতে পারে তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। পিয়া তাকে বশ করে ফেলেছে। বার বার চেষ্টা করেও এড়িয়ে যেতে পারছে না তাকে। বরং তাকে রক্তসাধনায় অভ্যস্ত হতে বাধ্য করে ফেলেছে। শুধু কী তাই? দূরে সরিয়ে নিয়ে যেতে থাকে ভালোবাসার ইমার কাছ থেকে। একসময় পিয়া তাকে বিয়ে করবে বলে প্রস্তাবও দেয়। তাও আবার অমাবস্যার রাতে। রাজি হয় না লিমন। কিন্তু পিয়া নাছোড়বান্দা। লিমনকে বিয়ে করে সে রক্তসাধনা করবে, উৎসব করবে রক্তপানের। তারপর তারা দুজনে হবে সুখী, পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী। লিমন সবকিছু বুঝতে পেরে পিয়াকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু পারে না। কারণ পিয়াকে স্বাভাবিকভাবে হত্যা করা সম্ভব নয়। পিয়াকে হত্যা করতে হলে তার নিজেরও মৃত্যু হবে। কী করবে সে এখন? এদিকে অমবস্যার রাত চলে এসেছে। বিয়ের দিন ক্ষণ সব প্রস্তুত। প্রস্তুত রক্তপানের জন্য বন্দি করে রাখা অজানা এক নারী।
শেষ পর্যন্ত কী ঘটেছিল লিমনের জীবনে? সত্যি কী সে মুক্ত হতে পেরেছিল রক্তপিপাসু পিয়ার কাছ থেকে? নাকি সারাটা জীবন রক্তপানে মগ্ন থাকতে হয়েছিল?