Author: বাংলা কবিতা

রক্তাম্বর পর মা এবার জ্বলে পুড়ে যাক শ্বেত বসন। দেখি ঐ করে সাজে মা কেমন বাজে তরবারি ঝনন-ঝন। সিঁথির সিঁদুর মুছে ফেল মা গো জ্বাল সেথা জ্বাল কাল্-চিতা। তোমার খড়গ-রক্ত হউক স্রষ্টার…

একি রণ-বাজা বাজে ঘন ঘন– ঝন রনরন রন ঝনঝন! সেকি দমকি দমকি ধমকি ধমকি দামা-দ্রিমি-দ্রিমি গমকি গমকি ওঠে চোটে চোটে, ছোটে লোটে ফোটে বহ্নি-ফিনিকি চমকি চমকি ঢাল-তলোয়ারে খনখন! একি রণ-বাজা বাজে ঘন…

আমি যুগে যুগে আসি, আসিয়াছি পুন মহাবিপ্লব হেতু এই স্রষ্টার শনি মহাকাল ধূমকেতু! সাত— সাতশো নরক-জ্বালা জলে মম ললাটে, মম ধূম-কুণ্ডলী করেছে শিবের ত্রিনয়ন ঘন ঘোলাটে। আমি অশিব তিক্ত অভিশাপ, আমি স্রষ্টার…

[তখন শরৎ-সন্ধ্যা। আস্মানের আঙিনা তখন কার্বালা ময়দানের মতো খুনখারাবির রঙে রঙিন। সেদিনকার মহা-আহবে গ্রীক-সৈন্য সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হইহা গিয়াছে। তাহাদের অধিকাংশ সৈন্যই রণস্থলে হত অবস্থায় পড়িয়া রহিয়াছে। বাকি সব প্রাণপণে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করিতেছে।…

[গ্রীসের বিরুদ্ধে আঙ্গোরা-তুর্ক-গভর্ণমেন্ট যে যুদ্ধ চালাইতেছিলেন, সেই যুদ্ধে কামাল পাশার সাহায্যের জন্য ভারতবর্ষ হইতে দশ হাজার স্বেচ্ছা-সৈনিক প্রেরণের প্রস্তাব শুনিয়া লিখিত] ওরে আয়! ঐ মহা-সিন্ধুর পার হতে ঘন রণ-ভেরী শোনা যায়– ওরে…

যাত্রীরা রাত্তিরে হতে এল খেয়া পার, বজ্রেরি তূর্যে এ গর্জেছে কে আবার? প্রলয়েরি আহ্বান ধ্বনিল কে বিষাণে! ঝন্‌ঝা ও ঘন দেয়া স্বনিল রে ঈশানে! নাচে পাপ-সিন্ধুতে তুঙ্গ তরঙ্গ! মৃত্যুর মহানিশা রুদ্র উলঙ্গ!…

ওরে হত্যা নয় আজ ‘সত্যাগ্রহ’, শক্তির উদ্‌বোধন। দুর্বল! ভীরু! চুপ রহো, ওহো খাম্‌খা ক্ষুব্ধ মন! ধ্বনি ওঠে রণি দূর বাণীর,– আজিকার এ খুন কোর্‌বানির! দুম্বা-শির রুম্-বাসীর শহীদের শির-সেরা আজি। –রহমান কি রুদ্র…

নীল সিয়া আসমা লালে লাল দুনিয়া,– ‘আম্মা ! লাল তেরি খুন কিয়া খুনিয়া’। কাঁদে কোন্ ক্রদসী কারবালা ফোরাতে, সে কাঁদনে আঁসু আনে সীমারেরও ছোরাতে ! রুদ্র মাতম্ ওঠে দুনিয়া দামেশকে– ‘জয়নালে পরাল…