বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর : অন্ধকারে জেগে উঠে ডুমুরের গাছে চেয়ে দেখি ছাতার মতো ব্ড় পাতাটির নিচে বসে আছে ভোরের দয়েলপাখি – চারিদিকে চেয়ে…
প্রকৃতির কবিতা
প্রকৃতির কবিতা এ পৃথিবীর রূপ বৈচিত্র নিয়ে লেখা হয়। অর্থাৎ যে কবিতার মূল বিষয়বস্তু প্রকৃতির রূপ, বৈচিত্র, সৌন্দর্য তাকে প্রকৃতির কবিতা বলা হয়। আমাদের চারপাশ যেমন নদ-নদী, খাল বিল, খেত, খামার, চাদ,সুর্য, চারা আসমান, মেঘ, বৃষ্টি ইত্যাদি সবকিছু আমাদের প্রকৃতি। আর এগুলো নিয়ে লেখা কবিতাই হলো প্রকৃতির কবিতা।
গ্রাম – রেদোয়ান মাসুদ
মন টেকে না ইট পাথরের এই শহরে আর পাইনা শান্তি খুলে রেখেও অট্টালিকার দ্বার সবুজ ঘেরা গ্রামে গিয়ে শান্তি খুঁজে পাই গ্রামের সাথে শহরের যে তুলনা আর নাই। গাছের ডালে দোয়েল কোয়েল…
কানা বগীর ছা – খান মুহাম্মদ মইনুদ্দীন
ঐ দেখা যায় তাল গাছ ঐ আমাদের গাঁ। ঐ খানেতে বাস করে কানা বগীর ছা। ও বগী তুই খাস কি? পানতা ভাত চাস কি? পানতা আমি খাই না পুঁটি মাছ পাই না…
পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল – মদনমোহন তর্কালঙ্কার
পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল। কাননে কুসুমকলি সকলি ফুটিল।। শীতল বাতাস বয় জুড়ায় শরীর। পাতায়-পাতায় পড়ে নিশির শিশির।। ফুটিল মালতী ফুল সৌরভ ছুটিল। পরিমল লোভে অলি আসিয়া জুটিল ॥ গগনে উঠিল…
চিল্কায় সকাল – বুদ্ধদেব বসু
কী ভালো আমার লাগলো আজ এই সকালবেলায় কেমন করে বলি? কী নির্মল নীল এই আকাশ, কী অসহ্য সুন্দর, যেন গুণীর কণ্ঠের অবাধ উন্মুক্ত তান দিগন্ত থেকে দিগন্তে; কী ভালো আমার লাগলো এই…
আমাদের গ্রাম – বন্দে আলী মিঞা
আমাদের ছোটো গাঁয়ে ছোটো ছোটো ঘর থাকি সেথা সবে মিলে কেহ নাহি পর। পাড়ার সকল ছেলে মোরা ভাই ভাই একসাথে খেলি আর পাঠশালে যাই। হিংসা ও মারামারি কভু নাহি করি, পিতা-মাতা গুরুজনে…
পেঁচা – জীবনানন্দ দাশ
প্রথম ফসল গেছে ঘরে,- হেমন্তের মাঠে – মাঠে ঝরে শুধু শিশিরের জল; অঘ্রানের নদীটির শ্বাসে হিম হয়ে আসে বাঁশ – পাতা – মরা ঘাস- আকাশের তারা! বরফের মতো চাঁদ ঢালিছে ফোয়ারা !…
ঘাস __জীবনানন্দ দাশ
কচি লেবুপাতার মতো নরম সবুজ আলোয় পৃথিবী ভরে গিয়েছে এই ভোরের বেলা; কাঁচা বাতাবির মতো সবুজ ঘাস- তেমনি সুঘ্রাণ – হরিনেরা দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে নিচ্ছে ! আমারো ইচ্ছা করে এই ঘাসের এই…
হায় চিল __জীবনানন্দ দাশ
হায় চিল, সোনালী ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরে তুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে উড়ে ধানসিঁড়ি নদীটির পাশে! তোমার কান্নার সুরে বেতের ফলের মতো তার ম্লান চোখ মনে আসে! পৃথিবীর রাঙা রাজকন্যাদের…
বুনো হাঁস __জীবনানন্দ দাশ
পেঁচার ধূসর পাখা উড়ে যায় নক্ষত্রের পানে- জলা মাঠ ছেড়ে দিয়ে চাঁদের আহবানে বুনো হাঁস পাখা মেলে- শাঁই শাঁই শব্দ শুনি তার; এক-দুই-তিন- চার-অজস্র-অপার- রাত্রির কিনার দিয়ে তাহাদের ক্ষিপ্র ডানা ঝাড়া এঞ্জিনের…