রক্তচোখের আগুন মেখে ঝলসে যাওয়া আমার বছরগুলো আজকে যখন হাতের মুঠোয় কণ্ঠনালীর খুন পিয়াসী ছুরি কাজ কি তবে আগলে রেখে বুকের কাছে কেউটে সাপের ঝাপি আমার হাতেই নিলাম আমার নির্ভরতার চাবি তুমি…
স্বাধীনতার কবিতা
স্বাধীনতার কবিতা (Shadhinotar kobita) : যে কোনো দেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম, যুদ্ধ, বিজয়,
অধিকার বা পরাধীনতা ইত্যাদি নিয়ে যে কবিতা লেখা হয় তাকে স্বাধীনতার কবিতা বলে। বাংলাদেশে স্বাধীনতার কবিতা বলতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা কবিতাকে বুঝানো হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে (কাল রাত) অর্থাৎ ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
সংগ্রাম চলবেই – সিকান্দার আবু জাফর
জনতার সংগ্রাম চলবেই, আমাদের সংগ্রাম চলবেই। হতমানে অপমানে নয়, সুখ সম্মানে বাঁচবার অধিকার কাড়তে দাস্যের নির্মোক ছাড়তে অগণিত মানুষের প্রাণপণ যুদ্ধ চলবেই চলবেই, আমাদের সংগ্রাম চলবেই। প্রতারণা প্রলোভন প্রলেপে হ’ক না আঁধার…
আমি কিংবদন্তির কথা বলছি – আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি। তাঁর করতলে পলিমাটির সৌরভ ছিল তাঁর পিঠে রক্তজবার মত ক্ষত ছিল। তিনি অতিক্রান্ত পাহাড়ের কথা বলতেন অরণ্য এবং শ্বাপদের কথা বলতেন পতিত জমি আবাদের কথা বলতেন তিনি…
সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড – অ্যালেন গিন্সবার্গ
শত শত চোখ আকাশটা দেখে, শত শত শত মানুষের দল, যশোর রোডের দুধারে বসত বাঁশের ছাউনি কাদামাটি জল। কাদামাটি মাখা মানুষের দল, গাদাগাদি করে আকাশটা দেখে, আকাশে বসত মরা ইশ্বর, নালিশ জানাবে…
বাতাসে লাশের গন্ধ – রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই আজো আমি মাটিতে মৃত্যূর নগ্ননৃত্য দেখি, ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতরে… এ দেশ কি ভুলে গেছে সেই দু:স্বপ্নের রাত, সেই রক্তাক্ত সময় ?…
শহীদদের প্রতি __আসাদ চৌধুরী
তোমাদের যা বলার ছিল বলছে কি তা বাংলাদেশ ? শেষ কথাটি সুখের ছিল ? ঘৃণার ছিল ? নাকি ক্রোধের, প্রতিশোধের, কোনটা ছিল ? নাকি কোনো সুখের নাকি মনে তৃপ্তি ছিল এই যাওয়াটাই…
রিপোর্ট ১৯৭১ __আসাদ চৌধুরী
প্রাচ্যের গানের মতো শোকাহত, কম্পিত, চঞ্চল বেগবতী তটিনীর মতো স্নিগ্ধ, মনোরম আমাদের নারীদের কথা বলি, শোনো। এ-সব রহস্যময়ী রমণীরা পুরুষের কণ্ঠস্বর শুনে বৃক্ষের আড়ালে স’রে যায়- বেড়ার ফোঁকড় দিয়ে নিজের রন্ধনে তৃপ্ত…
স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো – নির্মলেন্দু গুণ
একটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছে ভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে: ‘কখন আসবে কবি?’ এই শিশু পার্ক সেদিন ছিল না,…
অভিশাপ দিচ্ছি – শামসুর রাহমান
আজ এখানে দাড়িয়ে এই রক্ত গোধূলিতে অভিশাপ দিচ্ছি। আমাদের বুকের ভেতর যারা ভয়ানক কৃষ্ঞপক্ষ দিয়েছিলো সেঁটে, মগজের কোষে কোষে যারা পুতেছিলো আমাদেরই আপনজনের লাশ দগ্ধ, রক্তাপ্লুত, যারা গনহত্যা করেছে শহরে গ্রামে টিলায়…
বন্দী শিবির থেকে __শামসুর রাহমান
ঈর্ষাতুর নই, তবু আমি তোমাদের আজ বড় ঈর্ষা করি। তোমরা সুন্দর জামা পরো, পার্কের বেঞ্চিতে বসে আলাপ জমাও, কখনো সেজন্যে নয়। ভালো খাও দাও, ফুর্তি করো সবান্ধব সেজন্যেও নয়। বন্ধুরা তোমরা যারা…