Category: পূর্ণেন্দু পত্রী

কালকে তোমার ডাল ভেঙেছি, ফুল ছিঁড়েছি। অপরাধের হাওয়ায় ছিল ত্বরিৎগতি সেই কাঁপুনি ঝাউ পাতাতে, ক্ষয়ক্ষতি যার গায়ের ধুলো এমন মাদল, যার ডাকে বন আপনি দোলে পাহাড় ঠেলে পরাণ-সখা বন্ধু আসে আলিঙ্গনে সমস্ত…

কাল রাত্তিরে সূর্যের মুখে ফুটে উঠেছিল হো চি-মিনের হাসি। অথচ কাল রাত্তিরে সূর্য ওঠার কথা ছিল না। পরশু বিকেলে সাত বছরের কালো গোলাপটা থেতলে গেল ইস্পাতের লরীতে। অথচ কালো গোলাপটার ফুটপাথে ফোটার…

তোমার মধ্যে নিষ্ঠুরতা ছিল এনভেলাপে ভূল ঠিকানা তাই তোমার মধ্যে ভালোবাসাও ছিল তারই আগুন জ্বালাচ্ছে দেশলাই। তোমর মধ্যে ভালোবাসাও ছিল লাল হয়েছে ছুরির নীল ধার তোমার মধ্যে নিষ্ঠুরতাও ছিল উপড়ে দিলে টেলিফোনের…

বাবুমশাইরা গাঁগেরাম থেকে ধুলোমাটি ঘসটে ঘসটে আপনাদের কাছে এয়েচি। কি চাকচিকন শহর বানিয়েছেন গো বাবুরা রোদ পড়লে জোছনা লাগলে মনে হয় কাল-কেউটের গা থেকে খসেপড়া রুপোর তৈরি একখান্ লম্বা খোলস। মনের উনোনে…

একমুঠো জোনাকীর আলো নিয়ে ফাঁকা মাঠে ম্যাজিক দেখাচ্ছে অন্ধকার। একমুঠো জোনাকীর আলো পেয়ে এক একটা যুবক হয়ে যাচ্ছে জলটুঙি পাহাড় যুবতীরা সুবর্ণরেখা। সাপুড়ের ঝাঁপি খুলতেই বেরিয়ে পড়ল একমুঠো জোনাকী পুজো সংখ্যা খুলতেই…

একালের কোনো কোনো যুবক বা যুবতীর মুখে সেকালের মোমমাখা ঝাড়লন্ঠন স্তম্ভ ও গম্বুজ দেখা যায়। দেখে হিংসা জাগে। মানুষ এখন যেন কোনো এক বড় উনোনের ভাত-ডাল-তরকারির তলপেটে ডাইনীর চুলের আগুনকে অহরহ জ্বালিয়ে…

তোমাকে যেন কিসের গল্প বলবো বলেছিলাম? গাছের, না মানুষের? মানুষের, না সাপের? ওঃ, হ্যাঁ মনে পড়েছে। গাছের মতো একটা মানুষ। আর সাপের মতো একটা নারী কুয়াশা যেমন খামচা মেরে জড়িয়ে ধরে কখনো…

জলের মাছের মতো অনায়াস হবে ভেবেছিলে সব হাঁটাহাঁটি? ভেবেছিলে ধোঁয়া, ধুলো, থুতু, কফ পেঁজা তুলো হয়ে উড়ে যাবে অন্য দিকে, তোমাকে ছাড়িয়ে? ভেবেছিলে পাট-ভাঙা জামায় লাগবে না পেট্রোলের, পাঁঠা-কাটা রক্তের বা নর্দমার…

স্মৃতিতে সর্বাঙ্গ জ্বলে একশ পাঁচ ডিগ্রী ঘোর জ্বর। টালমাটাল ঝড় ঘুষি মারে হাড়ে মাসে ব্রক্ষ্মতালু রক্তকণিকায় যেন তাকে ছিড়েখুড়ে অন্য কিছু বানাবে এখুনি। হঠাৎ হরিণ হয়ে হয়তো সে ছুটে যাবে বহুদূর বাঘ-ডোরা…

সেই কবে বাল্যকালে বৃষ্টি হয়েছিল সেই কবে বৃষ্টিজলে ভিজেছিল লাজুক কদম সেই কবে কদমের ডালে এক পাখি বসেছিল সেই পাখি বলেছিলপৃথিবীর ভিতরে আরেক গর্ভকেশরের মতো গোপনীর পৃথিবী রয়েছে সেই পৃথিবীর খোঁজে চাঁদ…