যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো চলে এসো এক বরষায় এসো ঝরো ঝরো বৃষ্টিতে জল ভরা দৃষ্টিতে এসো কমলো শ্যামলো ছায় চলে এসো এক বরষায় যদিও তখনো আকাশ থাকবে বৈরি কদমও গুচ্ছ হাতে নিয়ে আমি তৈরী উতলা আকাশ মেঘে মেঘে হবে কালো ঝলকে ঝলকে নাচিবে বজলি আলো তুমি চলে এসো ...
Read More »আমি খুব অল্প কিছু চাই – হুমায়ুন আহমেদ
আমাকে ভালবাসতে হবে না, ভালবাসি বলতে হবে না. মাঝে মাঝে গভীর আবেগ নিয়ে আমার ঠোঁট দুটো ছুয়ে দিতে হবে না. কিংবা আমার জন্য রাত জাগা পাখিও হতে হবে না. অন্য সবার মত আমার সাথে রুটিন মেনে দেখা করতে হবে না. কিংবা বিকেল বেলায় ফুচকাও খেতে হবে না. এত অসীম সংখ্যক ...
Read More »গৃহত্যাগী জ্যোৎস্না – হুমায়ূন আহমেদ
প্রতি পূর্নিমার মধ্যরাতে একবার আকাশের দিকে তাকাই গৃহত্যাগী হবার মত জ্যোৎস্না কি উঠেছে ? বালিকা ভুলানো জ্যোৎস্না নয়। যে জ্যোৎস্নায় বালিকারা ছাদের রেলিং ধরে ছুটাছুটি করতে করতে বলবে- ও মাগো, কি সুন্দর চাঁদ ! নবদম্পতির জ্যোৎস্নাও নয়। যে জ্যোৎস্না দেখে স্বামী গাঢ় স্বরে স্ত্রীকে বলবেন- দেখ দেখ নীতু চাঁদটা তোমার ...
Read More »অশ্রু __হুমায়ূন আহমেদ
আমার বন্ধুর বিয়ে উপহার বগলে নিয়ে আমি আর আতাহার, মৌচাক মোড়ে এসে বাস থেকে নামলাম দু’সেকেন্ড থামলাম।। টিপটিপ ঝিপঝিপ বৃষ্টি কি পড়ছে? আকাশের অশ্রু ফোঁটা ফোঁটা ঝরছে? আমি আর আতাহার বলুন কি করি আর? উপহার বগলে নিয়ে আকাশের অশ্রু সারা গায়ে মাখলাম।। হি হি করে হাসলাম।।
Read More »সংসার __হুমায়ূন আহমেদ
শোন মিলি। দুঃখ তার বিষমাখা তীরে তোকে বিঁধে বারংবার। তবুও নিশ্চিত জানি,একদিন হবে তোর সোনার সংসার ।। উঠোনে পড়বে এসে একফালি রোদ তার পাশে শিশু গুটিকয় তাহাদের ধুলোমাখা হাতে – ধরা দেবে পৃথিবীর সকল বিস্ময়।
Read More »কব্বর __হুমায়ূন আহমেদ
তিনি শায়িত ছিলেন গাঢ় কব্বরে যার দৈর্ঘ্য-প্রস্থ বেঁধে দেয়া, গভীরতা নয়। কব্বরে শুয়ে তাঁর হাত কাঁপে পা কাঁপে গভীর বিস্ময়বোধ হয়। মনে জাগে নানা সংশয়। মৃত্যু তো এসে গেছে, শুয়ে আছে পাশে তবু কেন কাটে না এ বেহুদা সংশয়?
Read More »তিনি __হুমায়ূন আহমেদ
এক জরাগ্রস্থ বৃদ্ধ ছিলেন নিজ মনে আপন ভুবনে। জরার কারণে তিনি পুরোপুরি বৃক্ষ এক। বাতাসে বৃক্ষের পাতা কাঁপে তাঁর কাঁপে হাতের আঙ্গুল। বৃদ্ধের সহযাত্রী জবুথবু- পা নেই,শুধু পায়ের স্মৃতি পড়ে আছে। সেই স্মৃতি ঢাকা থাকে খয়েরি চাদরে। জরাগ্রস্থ বৃদ্ধ ভাবে চাদরের রঙটা নীল হলে ভাল ছিল। স্মৃতির রং সব সময় ...
Read More »কাচপোকা __হুমায়ূন আহমেদ
একটা ঝকঝকে রঙিন কাচপোকা হাঁটতে হাঁটতে এক ঝলক রোদের মধ্যে পড়ে গেল। ঝিকমিকিয়ে উঠল তার নকশাকাটা লাল নীল সবুজ শরীর। বিরক্ত হয়ে বলল,রোদ কেন? আমি চাই অন্ধকার ।চির অন্ধকার আমার ষোলটা পায়ে একটা ভারি শরীর বয়ে নিয়ে যাচ্ছি- অন্ধকার দেখব বলে। আমি চাই অন্ধকার ।চির অন্ধকার একটা সময়ে এসে রোদ ...
Read More »বাবার চিঠি __হুমায়ূন আহমেদ
আমি যাচ্ছি নাখালপাড়ায়। আমার বৃদ্ধ পিতা আমাকে পাঠাচ্ছেন তাঁর প্রথম প্রেমিকার কাছে। আমার প্যান্টের পকেটে সাদা খামে মোড়া বাবার লেখা দীর্ঘ পত্র। খুব যত্নে খামের উপর তিনি তাঁর প্রণয়িনীর নাম লিখেছেন। কে জানে চিঠিতে কি লেখা – ? তাঁর শরীরের সাম্প্রতিক অবস্থার বিস্তারিত বর্ণনা ? রাতে ঘুম হচ্ছেনা, রক্তে সুগার ...
Read More »রাশান রোলেট __হুমায়ূন আহমেদ
টেবিলের চারপাশে আমরা ছ’জন চারজন চারদিকে ; দু’জন কোনাকুনি দাবার বোড়ের মত খেলা শুরু হলেই একজন আরেকজনকে খেয়ে ফেলতে উদ্যত । আমরা চারজন শান্ত, শুধু দু’জন নিঃশ্বাস বন্ধ করে বসে আছে । তাদের স্নায়ু টানটান। বেড়ালের নখের মত তাদের হৃদয় থেকে বেরিয়ে আসবে তীক্ষ্ম নখ । খেলা শুরু হতে দেরি ...
Read More »