আহারে বৃষ্টির রা, সোহাগি লো, আমি থাকি দূর পরবাসে। কান্দে না তোমার বুকে একঝাঁক বুনোপাখি অবুঝ কৈতর? কেমনে ফুরায় নিশি? বলো সই, কেমনে- বা কাটাও প্রহর? পরাণ ছাপায়ে নামে বাউরি বাতাস, দারুণ…
Category: বাংলা কবিতা (কবিদের তালিকা অনুযায়ী)
বাংলা কবিতা
ভালবাসার সময় তো নেই – রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
ভালবাসার সময় তো নেই ব্যস্ত ভীষন কাজে, হাত রেখো না বুকের গাড় ভাজে। ঘামের জলে ভিজে সাবাড় করাল রৌদ্দুরে, কাছএ পাই না, হৃদয়- রোদ দূরে। কাজের মাঝে দিন কেটে যায় কাজের কোলাহল…
আফিম তবুও ভালো, ধর্ম সে তো হেমলক বিষ __রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা। জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে ক্রমশঃ উঠছে ফুটে ক্ষয়রোগ, রোগেরপ্রকোপ…
চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয় – রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়- বিচ্ছেদ নয় চলে যাওয়া মানে নয় বন্ধন ছিন্ন-করা আর্দ্র রজনী চলে গেলে আমারও অধিক কিছু থেকে যাবে আমার না-থাকা জুড়ে। জানি চরম সত্যের কাছে নত হতে হয়…
তুমি __সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
আমার যৌবনে তুমি স্পর্ধা এনে দিলে তোমার দু’চোখে তবু ভূরুতার হিম। রাত্রিময় আকাশের মিলনান্ত নীলে ছোট এই পৃথিবীকে করোছো অসীম। বেদনা মাধুর্যে গড়া তোমার শরীর অনুভবে মনে হয় এখনও চিনি না তুমিই…
অন্তত একবার এ-জীবনে __সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সুখের তৃতীয় সিঁড়ি ডানপাশে তার ওপাশে মাধুর্যের ঘোরানো বারান্দা স্পষ্ট দেখা যায়, এই তো কতটুকুই বা দূরত্ব যাও, চলে যাও সোজা! সামনের চাতালটি বড় মনোরম, যেন খুব চেনা পিতৃপরিচয় নেই, তবু বংশ-মহিমায়…
আমাকে জড়িয়ে __সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
হে মৃত্যুর মায়াময় দেশ, হে তৃতীয় যামের অদৃশ্য আলো তোমাদের অসম্পূর্ণতা দেখে, স্মৃতির কুয়াশা দেখে আমার মন কেমন করে সারা আকাশ জুড়ে দাঁড়িয়ে আছে এক পরম কারুণিক নিষাদ তার চোখ মেটে সিঁদুরের…
একটি স্তব্ধতা চেয়েছিল __সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
একটি স্তব্ধতা চেয়েছিল আর এর এক নৈঃশব্দকে ছুঁতে তারা বিপরীত দিকে চলে গেল, এ জীবনে দেখাই হলো না। জীবন রইলো পড়ে বৃষ্টিতে রোদ্দুরে ভেজা ভূমি তার কিছু দূরে নদী- জল নিতে এসে…
পাওয়া __সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
অন্ধকারে তোমার হাত ছুঁয়ে যা পেয়েছি, সেইটুকুই তো পাওয়া যেন হঠাৎ নদীর প্রান্তে এসে এক আঁজলা জল মাথায় ছুঁইয়ে যাওয়া।
সত্যবদ্ধ অভিমান __সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
এই হাত ছুঁয়েছে নীরার মুখ আমি কি এ হাতে কোনো পাপ করতে পারি ? শেষ বিকেলের সেই ঝুল বারান্দায় তার মুখে পড়েছিল দুর্দান্ত সাহসী এক আলো যেন এক টেলিগ্রাম, মুহূর্তে উন্মুক্ত করে…