বুকের মধ্যে বাহান্নটা মেহগনি কাঠের আলমারি। আমার যা কিছু প্রিয় জিনিস, সব সেইখানে। সেই সব হাসি, যা আকাশময় সোনালী ডানার ওড়াওড়ি সেই সব চোখ, যার নীল জলে কেবল ডুবে মরবার ঢেউ সেই…
Category: বাংলা কবিতা (কবিদের তালিকা অনুযায়ী)
বাংলা কবিতা
মাঝে মাঝে লোডশেডিং __পূর্ণেন্দু পত্রী
মাঝে মাঝে লোডশেডিং হোক। আকাশে জ্বলুক শুধু ঈশ্বরের সাতকোটি চোখ বাকী সব আলকাতরা মাখুক। আমরা নিমগ্ন হয়ে নিজস্ব চশমায় আর দেখি না কিছুই সকলে যা দেখে তাই দেখি। আকাশের রঙ তাই হয়ে…
সরোদ বাজাতে জানলে __পূর্ণেন্দু পত্রী
আমার এমন কিছু দুঃখ আছে যার নাম তিলক কামোদ এমন কিছু স্মৃতি যা সিন্ধুভৈরবী জয়জয়ন্তীর মতো বহু ক্ষত রয়ে গেছে ভিতর দেয়ালে কিছু কিচু অভিমান ইমনকল্যাণ। সরোদ বাজাতে জানলে বড় ভালো হতো।…
সেই সবও তুমি __পূর্ণেন্দু পত্রী
তোমাকেই দৃশ্য মনে হয়। তোমার ভিতরে সব দৃশ্য ঢুকে গেছে। কাচের আলমারি যেন, থাকে থাকে, পরতে পরতে শরতের, হেমন্তের, বসন্তের শাড়ি গয়না দুল, নদীর নবীন বাঁকা, বৃষ্টির নুপুর, জল, জলদ উদ্ভিদ। সাঁচীস্তুপে,…
স্রোতস্বিনী আছে, সেতু নেই __পূর্ণেন্দু পত্রী
তুমি বললে, রৌদ্র যাও, রৌদ্রে তো গেলাম তুমি বললে, অগ্নিকুণ্ড জ্বালো, জ্বালালাম। সমস্ত জমানো সুখ-তুমি বললে, বেচে দেওয়া ভালো ডেকেছি নীলাম। তবু আমি একা। আমাকে করেছ তুমি একা। একাকিত্বটুকুতেও ভেঙে চুরে শত…
হে সময়, অশ্বারোহী হও __পূর্ণেন্দু পত্রী
বিরক্ত নদীর মতো ভুরু কুঁচকে বসে আছে আমাদের কাল। যাচ্ছি যাব, যাচ্ছি যাব এই গড়িমসি করে চূড়ো ভাঙা চাকা ভাঙা রথ যে রকম ঘাড় গুজে ধুলোয় কাতর, সে রকমই শুয়ে বসে আছে।…
আকাশলীনা – জীবনানন্দ দাশ
সুরঞ্জনা, ঐখানে যেয়োনাকো তুমি, বোলোনাকো কথা অই যুবকের সাথে; ফিরে এসো সুরঞ্জনা: নক্ষত্রের রুপালি আগুন ভরা রাতে; ফিরে এসো এই মাঠে, ঢেউয়ে; ফিরে এসো হৃদয়ে আমার; দূর থেকে দূরে – আরও দূরে…
সপ্তক __জীবনানন্দ দাশ
এইখানে সরোজিনী শুয়ে আছে; – জানি না সে এইখানে শুয়ে আছে কিনা। অনেক হয়েছে শোয়া; – তারপর একদিন চ’লে গেছে কোন দূর মেঘে। অন্ধকার শেষ হ’লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে…
আজকের এক মুহূর্ত __জীবনানন্দ দাশ
হে মৃত্যু, তুমি আমাকে ছেড়ে চলছ ব’লে আমি খুব গভীর খুশি? কিন্তু আরো খানিকটা চেয়েছিলাম; চারি দিকে তুমি হাড়ের পাহাড় বানিয়ে রেখেছে;– যে ঘোড়ায় চ’ড়ে আমি অতীত ঋষিদের সঙ্গে আকাশে নক্ষত্রে উড়ে…
আট বছর আগে একদিন – জীবনানন্দ দাশ
শোনা গেল লাশকাটা ঘরে নিয়ে গেছে তারে; কাল রাতে ফাল্গুনের রাতের আধারে যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাদ মরিবার হল তার সাধ। বধু শুয়ে ছিল পাশে-শিশুটিও ছিল; প্রেম ছিল, আশা ছিল জোছনায় তবু…