আমি আর আহত হবো না, কোনো কিছুতেই আমি শুধু আর আহত হবো না। যে নদী জলের ভারে হারাতো প্লাবনে এখন শ্রাবণে সেই জলের নদীর বুকে জলাভাবে হাহাকার দেখে আমি আহত হবো না।…
Category: বাংলা কবিতা (কবিদের তালিকা অনুযায়ী)
বাংলা কবিতা
কবুতর __হেলাল হাফিজ
প্রতীক্ষায় থেকো না আমার আমি আসবো না, থাকলো কথার কবুতর কখনো বাইষ্যা মাসে পেয়ে অবসর নিতান্তই জানতে ইচ্ছে হলে আমার খবর পাখিকে জিজ্ঞেস করো নিরিবিলি, পক্ষপাতহীন পাখি বিস্তারিত সংবাদ জানাবে কী কী…
কে __হেলাল হাফিজ
বেরিয়ে যে আসে সে তো এভাবেই আসে, দুর্বিনীত ধ্রুপদী টংকার তুলে লন্ডভন্ড করে চলে আসে মৌলিক ভ্রমণে, পথে প্রচলিত রীতি-নীতি কিচ্ছু মানে না। আমি এক সেরকম উত্থানের অনুপম কাহিনী শুনেছি। এমন অনমনীয়…
কোমল কংক্রিট __হেলাল হাফিজ
জলের আগুনে পুড়ে হয়েছি কমল, কী দিয়ে মুছবে বলো আগুনের জল।
ক্যাকটাস __হেলাল হাফিজ
দারুন আলাদা একা অভিমানী এই ক্যাকটাস। যেন কোন বোবা রমণীর সখী ছিলো দীর্ঘকাল কিংবা আজন্ম শুধু দেখেছে আকাল এরকম ভাব-ভঙ্গি তার। ধ্রুপদী আঙিনা ব্যাপী কন্টকিত হাহাকার আর অবহেলা, যেন সে উদ্ভিদ নয়…
ঘরোয়া রাজনীতি __হেলাল হাফিজ
ব্যর্থ হয়ে থাকে যদি প্রণয়ের এতো আয়োজন, আগামী মিছিলে এসো স্লোগানে স্লোগানে হবে কথোপকথন। আকালের এই কালে সাধ হলে পথে ভালোবেসো, ধ্রুপদী পিপাসা নিয়ে আসো যদি লাল শাড়িটা তোমার পড়ে এসো।
ডাকাত __হেলাল হাফিজ
তুমি কে হ? সোনালী ছনের বাড়ি তছনছ করে রাতে নির্বিচারে ঢুকে গেলে অন্দর-মহলে বেগানা পুরুষ, লাজ-শরমের মাথা খেয়ে তুমি কে হে? তোমাকে তো কখনো দেখিনি আগে এ তল্লাটে মারী ও মড়কে, ঝড়ে,…
তীর্থ __হেলাল হাফিজ
কেন নাড়া দিলে? নাড়ালেই নড়ে না অনেক কিছু তবু কেন এমন নাড়ালে? পৃথিবীর তিন ভাগ সমান দু’চোখ যার তাকে কেন একমাস শ্রাবণ দেখালে! এক ওভাবে নাড়ালে? যেটুকু নড়ে না তুমুলভাবে ভেতরে বাহিরে…
তুমি ডাক দিলে – হেলাল হাফিজ
একবার ডাক দিয়ে দেখো আমি কতোটা কাঙাল, কতো হুলুস্থূল অনটন আজম্ন ভেতরে আমার। তুমি ডাক দিলে নষ্ঠ কষ্ঠ সব নিমিষেই ঝেড়ে মুছে শব্দের অধিক দ্রুত গতিতে পৌছুবো পরিণত প্রণয়ের উৎসমূল ছোঁব পথে…
তৃষ্ণা __হেলাল হাফিজ
কোনো প্রাপ্তিই পূর্ণ প্রাপ্তি নয় কোনো প্রাপ্তির দেয় না পূর্ণ তৃপ্তি সব প্রাপ্তি ও তৃপ্তি লালন করে গোপনে গহীনে তৃষ্ণা তৃষ্ণা তৃষ্ণা। আমার তো ছিলো কিছু না কিছু যে প্রাপ্য আমার তো…