ওগো সুন্দরী !মনে আছে কাল তেসরা জুন ? সেকি! ভুলে গেছো?তুমি তো দেখছি সাংঘাতিক! ভুলে গেলে তিথি প্রথম বিবাহ বার্ষিকীর? আজ্ঞে না এটা ঠাট্টা নয় বা ইয়ার্কি । ফিচেল হাওয়ারা যে ভাবে সজনে গাছের চুল চুলের বিনুনি ঘেঁটে দিয়ে করে মশকরা তুমি কি ভাবছো এটাও তেমনি খেলাচ্ছল? তুমি যা বলছো ...
Read More »কথোপকথন – ১৫ -পূর্ণেন্দু পত্রী
তরমুজের বাইরে টা সবুজ ভিতরটা লাল আচ্ছা বলোতো, কেন মনে পড়লো কথাটা? পারলে না? তোমার সবুজ শাড়ির দিকে তাকিয়ে।
Read More »কথোপকথন – ১৪ -পূর্ণেন্দু পত্রী
-দেখো অনন্তকাল ঝিঁ ঝিঁ পোকার মত আমরা কথা বলছি অথচ কোন কথাই শেষ হয় না এখনও। একটা লাল গোলাপের কান্নার গল্প শোনাবে বলেছিলে কবে বলবে? -চলো উঠি। বড্ড গরম এখানে। -দেখ, অনন্তকাল শুকনো বাঁশপাতার মতো আমরা ঘুরছি অখচ কেউ কাউকে ছুঁতে পারলাম না এখনও একটা কালো হরিণকে কোজাগরী উপহার দেওয়ার ...
Read More »কথোপকথন -১৩ – পুর্ণেন্দু পত্রী
-তোমার মধ্যে অনন্তকাল বসবাসের ইচ্ছে তোমার মধ্যেই জমিজমা ঘরবাড়ি, আপাতত একতলা হাসছো কেন? বলো হাসছো কেন? -একতলা আমার এক বিন্দু পছন্দ নয় সকাল সন্ধে চাঁদের সাথে গপ্পো গুজব হবে তেমন উচু নাহলে আবার বাড়ি নাকি? -আচ্ছা তাই হবে চাঁদের গা ছুঁয়ে বাড়ি, রহস্য উপন্যাসের মতো ঘোরানো প্যাচানো সিড়ি বাঁকে বাঁকে ...
Read More »কথোপকথন – ১২ – পুর্ণেন্দু পত্রী
কাল বিকেলে তোমার ঘাড়ে চিবুক রেখে প্রকাণ্ড বাঘ কি খুঁজছিল দেখতে পেলে? -জানি জানি খুঁজছিল তার সুখের নদীর উৎস এবং পারাপারের শেষ পারানি -সমস্ত রাত নিজের বুকের পাথর খুড়ে বইয়েছে কাল ক্ষতিকারক জলপ্রপাত। -লক্ষী সোনা, আমি তোমার রৌদ্র ছায়ায় সর্বক্ষনই সংগে হাটি সমুদ্র তীর কষ্ট দিলে বিছোই বালির শীতল পাটি ...
Read More »কথোপকথন -১১ -পুর্ণেন্দু পত্রী
– তুমি আজকাল বড্ড সিগারেট খাচ্ছ শুভন্কর। – এখুনি ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছি… কিন্তু তার বদলে?? –বড্ড হ্যাংলা। যেন খাওনি কখনো? – খেয়েছি। কিন্তু আমার খিদের কাছে সে সব নস্যি। কলকাতাকে এক খাবলায় চিবিয়ে খেতে পারি আমি, আকাশটাকে ওমলেটের মতো চিরে চিরে, নক্ষত্রগুলোকে চিনেবাদামের মতো টুকটাক করে, পাহাড়গুলোকে পাঁপর ভাজার মতো ...
Read More »কথোপকথন -১০ – পুর্ণেন্দু পত্রী
-কাল বাড়ি ফিরে কি করলে? -কাঁদলাম। তুমি? -লিখলাম। -কবিতা? কই দেখাও। -লিখেই কুচিকুচি। -কেন? -আমার আনন্দের ভিতরে অনর্গল কথা বলছিল আর্তনাদ। আর্তনাদের ভিতরে গুনগুন ভাঝছিল অদ্ভুত এক শান্তি আর শান্তির ভিতরে সমুদ্রের সাঁইসাঁই ঝড় যে সব অক্ষর লিখলেই লাল হওয়ার কথা তারা হয়ে যাচ্ছিল সাদা। যে সব শব্দ সাদা কাশবন ...
Read More »কথোপকথন -৯ – পুর্ণেন্দু পত্রী
আজ তোমাকে অনেক নামে ডাকতে ইচ্ছে করছে ডাকবো? আজকে তুমি প্রথম শ্রাবণ সঙ্গে চাপার গন্ধ মাখবে? গভীরতর গানের ভিতর খেয়া দেয়া নৌকা চলছে। একটু আগে হাসলে যেন আকাশ সোনার আঙটি গলছে। এখন তোমায় ‘কুরুস কাঠি’ এই নামেতে ডাকবো শুনছো? ছিলাম সুতো, তাকে হাজার চৌকো গোল নকশায় বুনছো।
Read More »কথোপকথন-৮-পূর্ণেন্দু পত্রী
উত্তরোত্তর অত্যন্ত বাজে হয়ে উঠছো তুমি। আজ থেকে তোমাকে ডাকবো চুল্লী। কেন জানো? কেবল পোড়াচ্ছ বলে। সুখের জন্যে হাত পাতলে যা দাও সে তো আগুনই। উত্তরোত্তর অত্যন্ত যা-তা হয়ে উঠছো তুমি। আজ থেকে আমিও তোমাকে ডাকবো জল্লাদ। কেন জান? কেবল হত্যা করছো বলে। তোমাকে যা দিতে পারি না, তার দুঃখ ...
Read More »কথোপকথন-৭-পূর্ণেন্দু পত্রী
তোমার চিঠি আজ বিকেলের চারটে নাগাদ পেলাম। দেরী হলেও জবাব দিলে সপ্তকোটি সেলাম। আমার জন্যে কান্নাকাটি? মনকে পাথর বানাও। চারুলতা আসছে আবার। দেখবে কিনা জানাও। কখন কোথায় দেখা হচ্ছে লেখোনি এক ফোঁটাও। পিঠে পরীর ডানা দিলে এবার হাওয়ায় ছোটাও। আসবে কি সেই রেস্টুরেন্টে সিতাংসু যার মালিক? রুপোলী ধান খুঁটবে বলে ...
Read More »