ফ্ল্যাপঃ অপেক্ষা ১ ( Opekkha 1)
সবেমাত্র নবম শ্রেনীতে পড়ে সাদিয়া। বড় হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলছে আপন গতিতে। হঠাৎ আবেগের বশে ভালোবাসায় হাবুডুবু খেয়ে ভুলে গেছে তার সকল স্বপ্নকে। অথচ তাকে নিয়ে তার বাবা মা’র স্বপ্নও কম নয়। প্রেমিকের সাথে এক মুহূর্ত কথা না বলেও থাকতে পারে না। বাবা-মা’রও অনেক চাপ ভালোবাসা ছেড়ে পড়ালেখায় মনোযোগ দেওয়ার জন্য। সাদিয়া কি করবে এখন? কোনটা টিকিয়ে রাখবে? ভালোবাসা না পড়ালেখা? ইতিমধ্যে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফেল করেছে। হজম করতে হচ্ছে বাবার মাইর। নিয়ে গেছে মোবাইল ফোন। তারপরও প্রেমিকের দেওয়া মোবাইল দিয়ে গোপনে যোগাযোগ করে যাচ্ছে সাদিয়া।
ভালোবাসায় দুজন যখন পরিপূর্ণ এর মাঝেই বিয়ে হয়ে যায় প্রেমিকের। নিজের সবকিছু বিসর্জন দিয়ে প্রেমিককে না পাওয়ার বেদনায় অস্থির সাদিয়া। প্রেমিককে প্রস্তাব দেয় তাকে বিয়ে করার জন্য। কিন্তু প্রেমিকের কথা সে সাদিয়াকে বিয়ে করলে তার স্ত্রীকে ঠকানো হবে। আস্তে আস্তে গলতে শুরু করল বরফ। আবারও জোড়া লাগল দুজনের ভালোবাসায়। অপরদিকে প্রেমিকের স্ত্রী স্বামীর অধিকার ছাড়া হয়েও বাস করছে স্বামীর ঘরেই। একসময় স্ত্রীর কোলে আসে একটি ফুটফুটে সন্তান।
সাদিয়া এখন ভার্সিটিতে পড়ে। পরিবারে আসছে নানা বিয়ের প্রস্তাব। প্রেমিকের আশায় ভেঙ্গে দেয় সকল বিয়ে। এর মাঝেই ক্যান্সারে মারা যায় প্রেমিকের স্ত্রী। খুশিতে আত্মহারা প্রেমিক। আর সাদিয়াও অপেক্ষায় প্রেমিকের। এবার বুজি শেষ হচ্ছে অপেক্ষা। কিন্তু বিধি বাম মা’র পছন্দে আবারও ২য় বিয়ে করতে হয় প্রেমিককে। সাদিয়ার যেন আবারও বিনা মেঘে বজ্রপাত। শেষ হয়েও শেষ হলো না অপেক্ষার। আবারও অপেক্ষা করে যাচ্ছে সাদিয়া। কিন্তু সাদিয়া জানে না কবে শেষ হবে তার অপেক্ষা। আর কবে নিজের করে পাবে তার প্রেমিককে।
ফ্ল্যাপঃ অপেক্ষা ২
সাদিয়া মনে মনে আবার নতুন করে স্বপ্ন বুনছে। হৃদয়ে আঁকছে ভালোবাসার মানুষের ছবি। চোখে দেখছে আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন। হয়তো পূরণ হতে যাচ্ছে মনের সেই আকাঙ্খা। আর সেই আশায়ই মানুষ বারবার স্বপ্ন দেখে। কারো স্বপ্ন হয়তো পূরণ হয় আবার কারো হয় না। যাদের পূরণ হয় না তারা আবার নতুন জীবন গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পরে। আবার অনেকে ব্যর্থ হয়ে হারিয়ে যায় আপন জগত থেকে। সাদিয়া বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। বারবার স্বপ্নের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে আবার হোচট খেয়ে পড়ছে। বারবার হোঁচট খেয়েও স্বপ্ন দেখে চলছে সে। প্রতীক্ষায় আছে প্রিয় মানুষের জন্য। সে নিজেও জানে না আদো তার স্বপ্ন পূরন হবে কিনা।
মনের আত্নবিশ্বাস নিয়েই এগিয়ে চলছে সেই প্রিয় মানুষের আশায়। কখনও হৃদয়ের মাঝে হয়েছে রক্তক্ষরন। কখনও চোখ ভেসে হয়েছে আবহমান নদী। আবার কখনও চোখ শুকিয়ে হয়েছে রোদে পোড়া বিশাল মরুভূমি। সেই ক্ষত বিক্ষত হৃদয় নিয়ে আজও বেঁচে আছে পৃথিবীর বুকে। কখনও আকাশ মেঘে ঢেকে সাদিয়ার স্বপ্নকে হারিয়ে ফেলে অচীন দেশে, কখনও ঝড়ো হাওয়ায় ভেঙ্গে চুড়মার করে দিচ্ছে বুকের প্রতিটি হাড়গোড়। তারপরও বিশাল আকাশের দিকে চেয়ে আছে কখন ঐ মেঘের মাঝে উকি দিয়ে হাসিমুখে বের হয়ে আসবে চাঁদ।
সাদিয়া স্বপ্নের একবারে কাছাকাছি চলে গেল। কিছুক্ষনের মধ্যেই অবসান হচ্ছে তার অপেক্ষার। কিন্তু এর মধ্যেই আকাশে মেঘ জমে সেই স্বপ্ন আবারও আড়াল হয়ে গেল, মেঘের মধ্যে থেকে বজ্রপাত পরে সাদিয়ার হৃদয় আবারো পুড়ে ছাড়খার হয়ে গেল। তারপরও দমে দাওয়ার নয় সাদিয়া। এখনও আকাশের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষায় আছে কখন আবার সেই মেঘ কাটবে আর কখনও পাবে সেই প্রিয় মানুষের সান্নিধ্য।
দু’টি কথা (অপেক্ষা ১)
“কিছু মানুষের কষ্ট চোখ দিয়ে ঝরে,
কিছু মানুষের কষ্ট মেজাজ দিয়ে প্রকাশ করে,
কিছু মানুষের কষ্ট হৃদয়ের মাঝে শুকিয়ে মরে,
তবে কষ্টকে যারা প্রকাশ করতে না পারে,
তারাই জীবনে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করে”।
প্রতিটি মানুষের জীবনেই কিছু কষ্ট থাকে, কেউ প্রকাশ করে আবার কেউ করে না। যারা এই কষ্ট মেনে নিতে পারে না তারা পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারে না। কষ্ট হলো মানুষের জীবনের একটা অংশ, আর এই কথা ভেবে যারা সামনের দিকে এগিয়ে যায় তারাই হয়তো একসময় পৌঁছে যায় সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে। কষ্ট যে মানুষেকে শেষ করে দিতে পারে বিষয়টা এমন নয়। কারণ কষ্ট হলো মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। ভালোবাসা মানুষের জীবনে পূর্ণতা আনতে পারে কিন্তু সাফল্য আনার ক্ষেত্রে ভূমিকা তেমন একটা নেই। তাই কষ্ট নিয়ে কোন আক্ষেপ করতে নেই।
আমার লেখা “অপেক্ষা” উপন্যাসটি ভালোবাসা,দুঃখ-কষ্ট নিয়েই লেখা। এটি আমার প্রথম উপন্যাস। এর আগে আমার ৩ টি কবিতার বই বের হয়েছে। উপন্যাসটি সম্পূর্ণ বাস্তব ঘটনা নিয়ে লেখা। যেখানে ফুটে উঠেছে আমাদের সমাজ ব্যবস্থার চরম বাস্তবতা। ভালোবাসার যে কত রঙ থাকে তা এই উপন্যাসটি না লিখলে বুঝতাম না। নিজের হাতে একটি কাহিনীকে জীবন্ত রুপ দেয়া অনেক কষ্টের, তারপরও চেষ্টা করেছি আমার সর্বোচ্চটা দেয়ার। এই উপন্যাসের কাহিনী অনেক বড় ও বাস্তব ভিত্তিক, কিন্তু বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে এত বড় উপন্যাস বের করা খুবই দুরহ ব্যাপার। তাই চিন্তা করেছি উপন্যাসটির আরেকটি পর্ব বের করব। আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে হয়তো ভবিষ্যতে পাবেন।
আমাদের সমাজে নানা রকম সমস্যার মধ্যে ভালোবাসাটাও একটি মারাত্মক সমস্যা, যা ইচ্ছা করলেই আপনি এড়িয়ে যেতে পারবেন না। ভালোবাসা না থাকলে মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না। আবার এই ভালোবাসায়ই এক সময় হয়ে যায় মৃত্যুর কারণ। হয়তো একটু চেষ্টা করলেই বের হতে পারি এই সমস্যা থেকে।
আমাদের সমাজে কিছু অভিভাবক আছেন, যারা বাস্তবতাকে বুঝেন না। যার জন্য প্রতিনিয়ত বেড়ে যাচ্ছে আত্মহত্যার ঘটনা, অনেকেই হয়ে যাচ্ছেন মানসিক রুগী। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়। মানুষ মাত্রই ভুল, এর মধ্যেই মানুষকে বেঁচে থাকতে হয়। তাই সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। না হলে এর পরিনতি যে কত ভয়াবহ হতে পারে তা এই উপন্যাসটি পড়লেই বুঝতে পারবেন।
উঠতি বয়সি ছেলে-মেয়েদের বলছি আপনারা যে কোন বিষয়েই ভেবে চিনতে সিদ্ধান্ত নিন। এই বয়সে বিবেকের চেয়ে আবেগ বেশি খেলা করে। আপনি কি করতছেন, কোন দিকে অগ্রসর হচ্ছেন তা বুঝার ক্ষমতা এই বয়সে আপনার নেই। পরিণামে জন্ম হতে পারে এক ভয়াবহ ঘটনার, যা পরিবারের জন্য অশান্তির কারণ হয়ে থাকে। এই বয়স তারুণ্যের বয়স। এই বয়সে হাতে থাকবে বই, গোলাপ না। এটাও মনে রাখতে হবে গোলাপেও কাটা আছে।
রেদোয়ান মাসুদ
২০ পৌষ ১৪২৪
এ্যালিফ্যান্ট রোড,ঢাকা
Official Page: www.facebook.com/RedwanMasud
Official Website www.redwanmasud.com
Official e-mail: [email protected]
দুটি কথাঃ অপেক্ষা ২
“কিছু চোখ তোমার দিকে বাকা নজরে তাকাবে
কিছু হৃদয় তোমাকে আপন করে নিতে চাইবে
আর কিছু কন্ঠ তোমাকে মধুর সুরে ডাকবে।
তাই বলে তুমি সবার দিকে তাকাতে পারো না,
সবার হৃদয়ের সাথে হৃদয় মিলাতে পারো না
সবার কন্ঠে কন্ঠ দিতে পারো না।
তোমাকে এমন একজনকে বেছে নিতে হবে
যে তোমার চেহারা দেখে ভালোবাসে না
ভালোবাসে শুধু তোমার হৃদয় দেখে”।
ভালোবাসার রং কি? কেউ বলে লাল, কেউ বলে নীল, কেউ বলে কালো আবার কেউ বলে ধুসর। আবার আমরা যখন ভালোবাসা বা লাভ আঁকি তখন লাল রং ব্যবহার করি। তাহলে আসলেই কি ভালোবাসার রং আছে? মানে ভালোবাসার রং তাহলে লাল? আসলে বিষয়টা সেরকমও না। ভালোবাসার কোনো রং নেই। কারণ ভালোবাসা দেখা যায় না। এটা হৃদয়ের মধ্যে থাকে। আর এটাকে হৃদয় দিয়েই অনুভব করতে হয়। আর সত্যি সত্যিই যদি ভালোবাসার রং থাকতো তাহলে ভালোবাসার কোনো মূল্য থাকতো না। তাহলে রং দেখেই মানুষ ভালোবাসত। কারো হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের ভালোবাসা হতো না। আর তার নাম হয়তো ভালোবাসা না হয়ে অন্য কিছু হতে পারতো।
এখন প্রশ্ন হলো ভালোবাসার রং না থাকলে আমরা কীভাবে বুঝবো কোনটা আসল ভালোবাসা আর কোনটা নকল ভালোবাসা। হ্যা প্রশ্ন এখানেই, আর এজন্যেই ভালোবাসার কোনো রং নেই। আর এজ্যন্যই পৃথিবীতে ভালোবাসা শব্দটির এত মূল্য। হৃদয় থেকে হৃদয়ের বন্ধন। কিন্তু কার হৃদয়ে কি আছে তা আমরা জানি না। আর এ কারণেই বেশিরভাগ ভালোবাসা একসময় পচাবাসায় পরিনত হয়, মানে ভেঙ্গে যায়। আমরা সাধারণত ভালোবেসে বিয়ে হওয়াকে বলি ভালোবাসার সার্থকতা। আসলে কি বিষয়টা তাই? এখানে প্রশ্ন এসে যায় বিয়ের পরতো ভালোবাসার বিয়েই বেশি ভেঙ্গে যাচ্ছে। তাহলে সেটাওতো ভালোবাসার সার্থকতা হলো না। আসলে ভালোবাসার সার্থকতা বিয়ে হওয়ার মধ্যেও নেই। তাহলে ভালোবাসার সার্থকতা কোথায়? ভালোবাসার সার্থকতা আসলে মনের মধ্যে। আবার সার্থকতা দিয়ে কখনও ভালোবাসা হয় না। আসলে ভালোবাসা হচ্ছে নিঃস্বার্থভাবে কাউকে ভালোবেসে যাওয়া।
যেমন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেছেন, আমি যে তাকে ভালোবাসি তা ওর রূপের জন্যও নয়, গুণের জন্যও নয়। ভালো না বেসে থাকতে পারি না বলে বাসি। আর হ্যা এটাই হচ্ছে ভালোবাসা। কবি হেলাল হাফিজ বলেছেন ভালোবাসা মিলনে মলিন হয়, বিরহে উজ্জ্বল। ভালোবেসে যখন বিয়ে হয়ে যায় তখন আমরা আসলে ভালোবাসার মূল্য বুঝি না। যখন আমরা কাউকে পেতে চাই কিন্তু পাই না, তখন বুঝি ভালোবাসাটা আসলে কি জিনিস। এর মূল্য কত।
একটু আগে বলেছিলাম ভালোবাসার কোনো রং নেই। বিষয়টা এরকমও নয়। ভালোবাসারও একটা রং আছে। কিন্তু আমরা কখন বুঝতে পারি ভালোবাসার রং আছে? যখন আমরা কাউকে পেয়েও আবার হারিয়ে ফেলি তখন বুঝি আসলে ভালোবাসার রং কি, কত প্রকার ও কি কি। হয়তো তখন অনেকে মেঘলা আকাশে তাকিয়ে ভালোবাসার রংকে মেঘের মতো কালো ভাবি, আবার খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে নীল ভাবি, চোখের জ্বলে ধুসর ভাবি, আবার কখনও হৃদয়ের রক্তক্ষরণে ভালোবাসাকে লাল ভাবি। তবে যে যাই ভাবি না কেন ভালোবাসার রং বিরহতেই বুঝা যায় মিলনে না।
এখন প্রশ্ন হলো আমরা প্রকৃত ভালোবাসার মানুষকে কীভাবে খুঁজে নেবো অথবা কীভাবে বুঝব কে প্রকৃত ভালোবাসার মানুষ আর কে প্রকৃত ভালোবাসার মানুষ না? ঐ যে ভালোবাসার শুরুতে কোনো রং নেই তাই প্রকৃত মানুষ চেনা খুবই দুরহ ব্যাপার। আর যে পেয়েছে সেই প্রকৃত ভাগ্যবান। তারপরও বলব প্রকৃত ভালোবাসার মানুষ চেনা যায় কিন্তু আমরা তাদের কোনো মূল্য দেই না। ইদানিং ফেসবুকে কিছু ভালোবাসার ছবি প্রায়ই ভাইরাল হচ্ছে। যেমন কোনো এক ছেলের হাত পা নেই অথচ একজন হাত পা ওয়ালা সুন্দরী একটা মেয়ে তাকে বিয়ে করেছে। দুজনের মুখই উজ্জল, সুন্দর হাসি। কারণ তাদের ভালোবাসা মনের মধ্যে, বাইরে নয়। আমরাতো তাদের ছবি শেয়ার করে লিখি, ইশ কত ভালোবাসা তাদের মধ্যে! কিন্তু এটাও আমাদের একটা বাহ্যিক বহিঃপ্রকাশ। আসলে ঐ ছবি দেখে আমরা কিছু শিক্ষা নেই না জাস্ট সাময়িক সময়ের জন্য আবেগাফ্লুতো হই। একটু পরেই ভুলে যাই।
একজন প্রতিবন্ধী মেয়ে বা ছেলেকে বিয়ে করলেই যে আপনি প্রকৃত ভালোবাসা পাবেন বিষয়টা সেরকমও না। আসলে কারো মন যদি পরিস্কার হয় তাহলে আপনি কেবল প্রকৃত ভালোবাসা পাবেন। আর তার জন্য আপনার মনও পরিস্কার হতে হবে। শুধু আপনি প্রকৃত ভালোবাসা খুঁজবেন আর নিজে পরিস্কার হবেন না তাহলেও সেখানে প্রকৃত ভালোবাসা হবে না। প্রকৃত ভালোবাসা বা সুখ সেখানেই থাকে যেখানে দুজন মানুষই প্রকৃত।
চারিদিকে আসলে কালো মনের মানুষের ছড়াছড়ি হয়ে যাওয়ায় প্রকৃত মানুষ খুঁজতে গিয়ে আমরা বিভ্রান্ত হই। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা প্রকৃত মানুষের কোনো মূল্য দেই না। আমাদের সমাজে সহজ সরল ভালো মানুষগুলোকে আমরা বলদ ভাবি। তাই প্রকৃতপক্ষে আমরা আসলে ভালোমানুষ খুঁজি না। যেমন হুমায়ুন আহমেদ বলছেন, ‘মানুষের জন্মই হইল অপাত্রে ভালোবাসা দান করার জন্য। যাদের কে ভালোবাসার কোন যোগ্যতা নাই তাদেরকেই মানুষ ভালোবাসে’। হ্যা এটাই সত্য। ভালো মানুষগুলো আসলে এত অভিনয় করতে পারে না। আর ভালোবাসা হওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা অভিনয় করতে হয়। আর এজন্যেই হয়তো বেশিরভাগ ভালোবাসা একসময় ডাস্টবিনে গিয়ে পরে। তারপরও বলব আবেগে পরে কেউ ভালোবাসবেন না। ভালোবাসাটা আসলে ‘ভালোবাসি’ বলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না। ভালোবাসা হওয়ার পরেই ভালোবাসার ক্রিয়া শুরু হয়। আর সেটা যদি টিকিয়ে রাখতে না পারেন তাহলে তাকে আর ভালোবাসা বলা যায় না। অনেকেই বলে থাকেন অনেক কষ্টে তাকে পেয়েছি কিন্তু দেখা যায় কয়েকদিন পরেই সে ভালোবাসা আবার ভেঙ্গে যায়। আসলে ভালোবাসা হওয়া যত সহজ কিন্তু ভালোবাসা টিকিয়ে রাখা এত সহজ না।
“অপেক্ষা” উপন্যাসটি আসলে তরণদের উদ্দেশ্যে লেখা। “অপেক্ষা ১” এ তরুণদের উদ্দেশ্যে সেই কথাগুলো বলে ফেলেছি। বলার আসলে শেষ নেই। আশাকরি “অপেক্ষা ১” পড়ে আপনারা সেই কথাগুলো রপ্ত করেছেন। আর যারা এখনও নিজদেরকে সামলে নিতে পারেন নি তাদের উদ্দেশ্যে আবারো বলব, ভালোবাসার পিছনে না ঘুরে বইয়ের পিছনে ঘুরুন। দেখবেন একসময় ভালোবাসা আপনাদের পিছনে ঘুরবে।
“অপেক্ষা ১” এর মুখবন্ধে বলেছিলাম অপেক্ষা উপন্যাসের আরেকটি পর্ব বের হবে। তাই অপেক্ষা উপন্যাসের ২য় পর্ব এ বছর বের করলাম। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এ বছরেও অপেক্ষা উপন্যাসটি শেষ করা গেল না। অপেক্ষা ১ এর চেয়ে অপেক্ষা ২ দ্বিগুণ। এর জন্য আমি দুঃখিত। আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে আগামী বছরের বই মেলায় অপেক্ষা উপন্যাসের ৩য় পর্ব অর্থাৎ অপেক্ষার শেষ পর্ব বের হবে ইনশাল্লাহ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
রেদোয়ান মাসুদ
১০ কার্তিক ১৪২৫
সেন্ট্রাল রোড,ধানমন্ডি-ঢাকা
Official Page: www.facebook.com/RedwanMasud
Official Website www.redwanmasud.com
Official e-mail: [email protected]
উপন্যাস #অপেক্ষা #অপেক্ষা-২ এবং কবিতার বই “#অনেক_কথা_ছিল_বলার” ও #মনে_পড়ে_তোমাকে” পাওয়া যাচ্ছে
ঢাকাঃ
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রঃ
বাতঘর ঢাকা (01973-304344)
.
আজিজ সুপার মার্কেটঃ
পাঠশালা, সন্ধিপাঠ
.
দিপনপুর
কাটাবন, ইলিফ্যান্ট রোড
.
চট্টগ্রামঃ
বাতিঘর (01733-067005)
.
#বাংলাদেশের যে কোন জেলা থেকে বই ৩টি পেতে কল করুনঃ
(বইপোকাতে) ০১৭৮৪৩০৪৪২৭ অথবা ০১৭৮৪৩০৪৪২৮
(রকমারিতে)০১৫১৯৫২১৯৭১ অথবা ১৬২৯৭