হযরত ওসমান (রাঃ) এর বাণী /উক্তিঃ হযরত ওসমান (রাঃ) ছিলেন ইসলামের ৩য় খলিফা। তাকে উসমান ইবন আফ্ফান নামেও ডাকা হয়। হযরত উসমান (রাঃ) এর উক্তি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
1. যত দুরবস্থায় পতিত হও না কেনো, আদর্শের ক্ষেত্রে পরাজয় বরণ করো না। – হযরত ওসমান রা:
2. নিজের বোঝা যত কমই হোক তা অন্যের উপর চাপাতে চেষ্টা করো না। -হযরত ওসমান রা:
3. জান্নাত যথার্থ জানার পরও দুনিয়াতে আরাম আয়েশ তালাশ করে ।শয়তান কে শত্রু জানার পরও তার অনুসরন করে। -হযরত ওসমান রা:
4. হে মানব সকল আল্লাহপাক তোমাদিগকে তার আনুগত্যের জন্যই সৃষ্টি করেছেন, তোমরা কিনা অন্যের আনুগত্য করতে উৎসাহ বোধ কর।– হযরত ওসমান রা:
5. অতিরিক্ত বিনয় মোনাফেকির আলামত।– হযরত ওসমান রা:
6. দুনিয়াকে যে যত বেশী চিনেছে, সে এর দিক থেকে ততবেশী নিস্পৃহ হয়েছে। -হযরত ওসমান রা:
7. পার্থিব জীবনের ভোগ বিলাশ অনন্ত জীবনের প্রাপ্য হ্রাস করে দেয়। -হযরত ওসমান রা:
8. শান্তির সাথে জীবন যাপন করার পরও যে ব্যক্তির আকাঙ্খা মিটে না, তার পক্ষে তৃপ্ত হওয়া সম্ভব না। -হযরত ওসমান রা:
9. আমল বিহীন এলেম অনেক সময় উপকারী হতে পারে, কিন্তু এলেম বিহীন আমল কখনো উপকারী হয় বলে আমার জানা নেই। -হযরত ওসমান রা:
10. আখেরাতের চিন্তা বাদ দিয়ে যত কিছুই করা হোক তার সবটুকুই দুনিয়াদারী। -হযরত ওসমান রা:
11. পোষ্যদের জন্য যে ব্যক্তি মেহনত করে সে মেহনত জেহাদেরত ব্যক্তির পুন্যের সমান। –হযরত ওসমান রাঃ
12. মুখ বন্ধ করে ফেলাই ক্রোধের সর্বোত্তম চিকিৎসা। -হযরত ওসমান রা:
13. জিহ্বার স্খলন পদস্খলনের চেয়েও বেশী বিপদজনক। –হযরত ওসমান রা:
14. জান্নাতে যাওয়ার পর ক্রন্দন করা যেমন অকল্পনীয় ব্যাপার হবে, তেমনি দুনিয়ার জীবনে হাসিউল্লাসও যে কোন বুদ্ধিমান ব্যক্তির পক্ষে অচিন্তনীয় ব্যাপার। –হযরত ওসমান রা:
15. আল্লাহ পাক থেকে যা কিছু আসে তা হৃষ্টচিত্তে মেনে নিতে পারলে দুনিয়াই তার জন্য জান্নাত হয়ে যায়। –হযরত ওসমান রা:
16. বান্দা যে পর্যন্ত ভোগ এবং ধনাঢ্যতা থেকে সম্পুর্ন নিস্পৃহতা এবং অতি সাধারন জীবন যাপনের প্রতি পুর্ন আকর্ষন অনুভব করতে না শিখে, সে পর্যন্ত ঈমানের গভীর তাৎপর্য আত্নস্হ করতে সক্ষম হয় না। –হযরত ওসমান রা:
17. মানুষের হক সম্পর্কে যে ব্যক্তি সচেতন নয়, সে আল্লাহর হক সম্পর্কে সচেতন হতে পারে না। –হযরত ওসমান রা:
18. কটুভাষী ব্যক্তি তিন প্রকার লোক কে আহত করে। প্রথমত নিজ আত্বা কে, দ্বিতীয়ত যার প্রতি মন্দ কথা বর্ষীত হয় তাকে, এবং তৃতীয়ত যে তা শুনে তাকে। –হযরত ওসমান রা:
আরও পড়ুন… মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) এর বাণী