খুব ভালো চমৎকার লাগছে লিলিআন, মুহুর্মুহু বিস্ফোরণে হবো না চৌচির। তরঙ্গে তরঙ্গে ভ্রষ্ট অন্ধ জলযান এখন চলবে জলে খুব ধীরস্থির। অন্য কেউ ঢেলে নিচ্ছে ঠোঁট থেকে লাল মাংস খুঁড়ে তুলে নিচ্ছে হীরেসোনামণি;…
Category: বাংলা কবিতা (কবিদের তালিকা অনুযায়ী)
বাংলা কবিতা
ফুলেরা জানতো যদি __হুমায়ুন আজাদ
মুলঃ হেনরিক হাইনে ফুলেরা জানতো যদি আমার হৃদয় ক্ষতবিক্ষত কতোখানি, অঝোরে ঝরতো তাদের চোখের জল আমার কষ্ট আপন কষ্ট মানি । নাইটিংগেল আর শ্যামারা জানতো যদি আমার কষ্ট কতোখানি-কতোদুর, তাহলে তাদের গলায়…
বাঙলা ভাষা __হুমায়ুন আজাদ
শেকলে বাঁধা শ্যামল রূপসী, তুমি-আমি, দুর্বিনীত দাসদাসী- একই শেকলে বাঁধা প’ড়ে আছি শতাব্দীর পর শতাব্দী। আমাদের ঘিরে শাঁইশাঁই চাবুকের শব্দ, স্তরে স্তরে শেকলের ঝংকার। তুমি আর আমি সে-গোত্রের যারা চিরদিন উৎপীড়নের মধ্যে…
ব্যাধিকে রূপান্তরিত করছি মুক্তোয় __হুমায়ুন আজাদ
একপাশে শূন্যতার খোলা, অন্যপাশে মৃত্যুর ঢাকনা, প’ড়ে আছে কালো জলে নিরর্থক ঝিনুক। অন্ধ ঝিনুকের মধ্যে অনিচ্ছায় ঢুকে গেছি রক্তমাংসময় আপাদমস্তক বন্দী ব্যাধিবীজ। তাৎপর্য নেই কোন দিকে- না জলে না দেয়ালে-তাৎপর্যহীন অভ্যন্তরে ক্রমশ…
ভালো থেকো – হুমায়ুন আজাদ
ভালো থেকো ফুল, মিষ্টি বকুল, ভালো থেকো। ভালো থেকো ধান, ভাটিয়ালি গান, ভালো থেকো। ভালো থেকো মেঘ, মিটিমিটি তারা। ভালো থেকো পাখি, সবুজ পাতারা। ভালো থেকো। ভালো থেকো চর, ছোট কুড়ে ঘর,…
নারী ৫ __তসলিমা নাসরিন
তিনকূলে কেউ নেই, ডাঙর হয়েই মেয়ে টের পেয়ে যায় অভাবের হিংস্র দাঁত জীবন কামড়ে ধরে ছিঁড়েখুঁড়ে খায়। যুবতী শরীর দেখে গৃহিনীরা সাধ করে ডাকে না বিপদ বেসুমার খিদে পেটে, নিয়তি দেখিয়েদেয় নারীকে…
তালাকনামা __তসলিমা নাসরিন
যে কোনও দূরত্বে গেলে তুমি আর আমার থাকো না তুমি হও যার-তার খেলুড়ে পুরুষ। যে কোনও শরীরে গিয়ে শকুনের মতো খুঁটে খুঁটে রূপ ও মাংস তুমি আহার করো গণিকা ও প্রেমিকার শরীরে…
ব্যস্ততা – তসলিমা নাসরিন
তোমাকে বিশ্বাস করেছিলাম, যা কিছু নিজের ছিল দিয়েছিলাম, যা কিছুই অর্জন-উপার্জন ! এখন দেখ না ভিখিরির মতো কেমন বসে থাকি ! কেউ ফিরে তাকায় না। তোমার কেন সময় হবে তাকাবার ! কত…
প্রত্যাশা __তসলিমা নাসরিন
কারুকে দিয়েছ অকাতরে সব ঢেলে সেও অন্তত কিছু দেবে ভেবেছিলে। অথচ ফক্কা, শূন্যতা নিয়ে একা পড়ে থাকো আর দ্রুত সে পালায় দূরে ভালবেসে কিছু প্রত্যাশা করা ভুল। আলোকিত ঘর হারিয়ে ধরেছ অন্ধকারের…
দুঃখবতী মা __তসলিমা নাসরিন
মা’র দুঃখগুলোর ওপর গোলাপ-জল ছিটিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে ছিল, যেন দুঃখগুলো সুগন্ধ পেতে পেতে ঘুমিয়ে পড়ে কোথাও ঘুমটি ঘরের বারান্দায়, কুয়োর পাড়ে কিম্বা কড়ইতলায়। সন্ধেবেলায় আলতো করে তুলে বাড়ির ছাদে রেখে এলে দুঃখগুলো…