Category: বাংলা কবিতা (কবিদের তালিকা অনুযায়ী)

তুমি গঙ্গার একটা অংশ ছেড়ে চলে যাচ্ছ কিন্তু তোমার আঁচলে নদীর আত্মজীবনী লেখা রইল | বিচানার নীচ থেকে কয়েক লক্ষ কর্কট বিছানা-সমেত তোমাকে তুলে নিয়ে চলেছে মহাকাশযানে | ম়ৃত্যুর কয়েক মিনিট আগে…

বড়লোক কখনও ভোরের আলো দেখতে পায় না গরিব তেমনি “সুপ্রভাত” বলে না কাউকে | বড়লোকের মেয়েরা গায়ে রোদ লাগাতে মরিশাস যায় গরিবের উঠোন রোদে পুড়ে নৌকো হয়ে থাকে | বড়লোকেরা রাত বারোটার…

আমি আমেরিকায় গিয়ে শুনে এলাম লোকে ওখানেও বলছে: দিনকাল যা পড়েছে তুমি তোমার খাবারের কাছে ঠিক সময়ে পৌঁছতে না পারলে অন্য একজন পৌঁছে যাবে। আরে, এ তো আমাদের দেশে গরিব লোকেরা করত।…

এক বড় ঝড়কে পোষ মানিয়ে হাতপাখা নাম দিয়ে ঘরে এনেছি দুরন্ত বন্যাকে কোণঠাসা করে একটি গেলাসে তাকে পান করেছি সূর্যের পিঠে আমি হাত বুলিয়ে কিছু তার তেজ এনে আলো জ্বেলেছি তারা ভরা…

আমার ইচ্ছেগুলো প্রজাপতি হয়ে ঘাসে ঘাসে বনে বনে ওড়ে আর ফেরে আমার মনের মতো ছোট এক ছেলে জাল নিয়ে পিছু পিছু ঘোরে আর ফেরে ইচ্ছে ধরার সাধ জাল দিয়ে বেঁধে তাই তার…

এমন কোনও অনুভূতি আসে যদি কখনো যে আমার বৌ-এর মতো নাম যার সবিতা। অনুভব করা যাকে যায় না কখনো অথচ সে সর্বক্ষণ ছেয়ে থাকে বুকে শত সুখে দুখে নাম তার কবিতা।

এমনও মুহূর্ত আসে মনে হয় হাজার বছর ধরে বাঁচার যে সুখ এ মুহূর্তে তাই পেয়ে গেছি – সে হিসেবে আমার বয়স কয়েক সহস্র কোটি অর্বুদেরও প্রায় কাছাকাছি। অন্যথায় এমনও বলতে পারো যে…

সেদিন রাত্রে সারা কাকদ্বীপে হরতাল হয়েছিলো সেদিন আকাশে জলভরা মেঘ বৃষ্টির বেদনাকে বুকে চেপে ধরে থমকে দাঁড়িয়েছিলো এই পৃথিবীর আলো বাতাসের অধিকার পেয়ে পায়নি যে শিশু জন্মের ছাড়পত্র তারই দাবী নিয়ে সেদিন…

কে যেন চিৎকার করছে প্রাণপণে `গোলাপ! গোলাপ!’ ঠোঁট থেকে গড়িয়ে পড়ছে তার সুমসৃণ লালা, `প্রেম, প্রেম’ বলে এক চশমা-পরা চিকণ যুবক সাইকেল-রিকশায় চেপে মাঝরাতে ফিরছে বাড়ীতে, `নীলিমা, নিসর্গ, নারী’- সম্মিলিত মুখের ফেনায়…