যরত আলী (রা.) এর অমর বাণী ঃ
৪১। কথা বল পার্থক্য-জ্ঞানসহ, প্রশ্ন-প্রতিবাদ কর প্রমাণসহ। কেননা মুখ তো পশু-প্রাণীরও থাকে; কিন্তু তারা জ্ঞান-বুদ্ধি-ভদ্রতা থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে। -হজরত আলী (রা.)
৪২। কোনো মানুষের ভালো বা গুণের কিছু জানলে, তা বল, প্রকাশ কর। কিন্তু কোনো ত্রুটি পেলে সেক্ষেত্রে তোমার নিজের গুণের পরীক্ষা বলে মনে করবে। -হজরত আলী (রা.)
৪৩। সেসব মানুষের ওপর আস্থা-ভরসা রাখবে, যারা তোমার তিনটি বিষয় মূল্যায়ন করে। যেমন:-
ক) তোমার হাসি-আনন্দের ক্ষেত্রে অব্যক্ত দয়া পোষণ করে,
খ)তোমার ক্রোধের ক্ষেত্রে অব্যক্ত ভালোবাসা পোষণ করে, এবং
গ)তোমার মৌনতার ক্ষেত্রে গোপনমুখ হিসেবে কাজ করে।
-হজরত আলী (রা.)
৪৪।. আগুনের শেষ , ঋণের শেষ , রোগ ও শত্রুতার শেষ থাকলে ভবিষ্যতে বিপদ দেখা দিতে পারে। -হজরত আলী (রা.)
৪৫। . নিন্মলিখিত কারণসমুহ দেখা দিলে ক্ষমতাসীনদেরকে রাজ্য হারা হতে হয়। -হজরত আলী (রা.)
(ক) অযোগ্য অনুপযুক্ত লোকের হাঁতে রাজ্য ক্ষমতা থাকলে।
(খ) যোগ্য ব্যক্তিকে রাজ্য ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিলে ।
(গ) দেশ হতে সুবিচার চলে গেলে। ( কেননা রাজ্য ক্ষমতা স্থায়িত্বের একমাত্র সোপান হলো সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা।
(ঘ) মানুষ যখন নীতিহারা হয়ে প্রচলিত আইন ও কর্তব্য কাজে ফাকি দিতে থাকে।
(ঙ) শাসক শ্রেণীর লোকজন বৃহৎ সমস্যাসমূহকে বাদ দিয়ে ক্ষুদ্র বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করলে।
(চ) শত্রু পক্ষ নিরুপায় হলে তার পতি বেশি করুনা দেখাবে না । কেননা সে সুযোগ পেলে পুনরায় তোমাকে ছারবে না । শত্রুতা করার জন্যে শত্রুগণ প্রথমে বন্ধুরুপে প্রবেশ করে তা যাচাই বাচাই করে নিতে হবে । মনে রাখবে তোমার শত্রুর শত্রু সে তোমার বন্ধু আর তোমার শত্রুর বন্ধু তোমার শত্রু । তোমার বিপদের সময় যে ব্যক্তি নিরপেক্ষ থাকে তাকে কখনো বন্ধু বলে মনে করো না। -হজরত আলী (রা.)
৪৬। আমি তোমাদের হুশিয়ার করে দিচ্ছি যে , বিপথে চলার সময় মৃত্যুকে স্মরন কর যা তোমাদের নফসের সকল সাধ মিটিয়ে দিবে ।
হযরত আলী (আ)
৪৭। মানুষের প্রতিটি নিঃশ্বাস মৃত্যুর প্রতি পদক্ষেপ মাত্র ।
মাওলা আলী (আ)
৪৮। কর্মবিমুখ লোক দুঃখে পতিত হয় । যে নিজের সম্পদ থেকে আল্লাহর রাস্তায় কিছুই খরচ করে না তার ব্যাপারে আল্লাহর কিছুই করার থাকে না ।- হযরত আলী (আ)
৪৯। ভালো বন্ধু হাত আর চোখ এর মত ……. যখন হাত ব্যাথা পায় তখন চোখ কাঁদে আর যখন চোখ কাঁদে হাত তার অশ্রু মুছে দেয় ।-হযরত আলী (আ)
৫০। মা এর প্রতি উচ্চস্বরে কথা বলো না যে মা তোমাকে কথা বলা শিখিয়েছে । -হযরত আলী (আ)
৫১। যে ব্যক্তি নিজের হিসাব নিজে নেয় সে লাভবান হয়। সে নিজেকে ভুলে থাকে সে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে ভয় পায় সে নিরাপদ হতে পারে। যে উপদেশ গ্রহণ করে সে বিচক্ষণ হয়। আর যে বিচক্ষণ হয় সে বোধ লাভ করে। আর যে বোধশক্তি লাভ করে সে জ্ঞানের অধিকারী হয়। -হজরত আলী (রা.)
৫২। লোকের যে সমস্ত দোষ ত্রুটির উপর আল্লাহ পর্দা দিয়ে রেখেছেন তা তুমি প্রকাশ করার চেষ্টা করো না। -হজরত আলী (রা.)
৫৩। অজ্ঞদেরকে মৃত্যুবরণ করার পূর্বেই মৃত অবস্থায় কাল যাপন করতে হয় এবং সমাধিস্থ হবার পূর্বেই তাদের শরীর কবরের আঁধারে সমাহিত; কেননা তাদের অন্তর মৃত, আর মৃতের স্থান কবর। -হজরত আলী (রা.)
৫৪। অত্যাচারীর বিরুদ্ধে অত্যাচারিতের অন্তরে যে বিদ্বেষাগ্নির জন্ম হয়, তা অত্যাচারীকে ভস্ম করেই ক্ষান্ত হয় না, সে আগুনের শিখায় অনেক কিছুই দগ্ধীভূত হয়। -হজরত আলী (রা.)
৫৫। আপনার দ্বারা নেক কাজ সাধিত হলে আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা করুন এবং যখন অসফল হবেন তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। -হজরত আলী (রা.)
৫৬। সৎ কাজ অল্প বলে চিন্তা করো না, বরং অল্পটুকুই কবুল হওয়ার চিন্তা কর। -হজরত আলী (রা.)
৫৭। পাপের কাজ করে লজ্জিত হলে পাপ কমে যায়, আর পুণ্য কাজ করে গর্ববোধ করলে পুণ্য বরবাদ হয়ে যায়। -হজরত আলী (রা.)
৫৮। দুনিয়াতে সব চেয়ে কঠিন কাজ হচ্ছে নিজেকে সংশোধন করা আর সব চেয়ে সহজ কাজ হচ্ছে অন্যের সমালোচনা করা । -হজরত আলী (রা.)
৫৯। তুমি পানির মত হতে চেষ্টা কর, যে কিনা নিজের চলার পথ নিজেই তৈরী করে নেয়।পাথরের মত হয়োনা, যে নিজে অন্যের পথরোধ করে | -হজরত আলী (রা.)
৬০। গোপন কথা যতক্ষণ তোমার কাছে আছে সে তোমার বন্দী । কিন্তু কারো নিকট তা প্রকাশ করা মাত্রই তুমি তার বন্দী হয়ে গেলে । -হজরত আলী (রা.)
হযরত আলী (রাঃ) এর অমর বাণী (পর্ব-১)
হজরত আলী (রা.) এর অমর বানী (পর্ব-২)
হজরত আলী (রা.) এর অমর বানী (পর্ব-৪)