হযরত আলী (রা.) এর অমর উক্তিঃ
১০১। অক্ষমতা একটি বিপদ, ধৈর্যের অর্থ সাহসিকতা, ভোগ বিলাসিতায় নির্মোহতা অমূল্য সম্পদ এবং ধর্মানুরাগ জান্নাত লাভের মাধ্যম। -হজরত আলী (রা.)
১০২। শিষ্টাচার হলো চির-নতুন পোশাক এবং চিন্তা হলো স্বচ্ছ আয়না। -হজরত আলী (রা.)
১০৩। দুনিয়া যখন কারো প্রতি প্রসন্ন হয় তখন অন্যের গুণাবলীও তাকে ধার দেয়, কিন্তু যখন অপ্রসন্ন হয় তখন তার নিজস্ব গুণাবলীও ছিনিয়ে নেয়। -হজরত আলী (রা.)
১০৪। (অন্তরে) যে যাই গোপন করে তা তার জিহ্বার ফাঁকে বের হয়ে পড়ে এবং মুখণ্ডলের অভিব্যক্তিতে ধরা পড়ে। -হজরত আলী (রা.)
১০৫। আল্লাহ্ যখন তোমাকে স্বাধীন বানিয়েছেন তখন তুমি অন্যের গোলাম হয়ো না। -হজরত আলী (রা.)
১০৬। স্বপ্ন আর আকাঙ্ক্ষার উপর ভরসা করে বসে থেকো না, কেননা এটা হলো মূর্খ মানুষের পুঁজি। -হজরত আলী (রা.)
১০৭। মানুষ সব বুঝে বেঘোর, মৃত্যু আসা মাত্র জেগে উঠবে। -হজরত আলী (রা.)
১০৮। মানুষ যা জানে না তার প্রতি বিরূপ হয়ে থাকে। -হজরত আলী (রা.)
১০৯। যুগের (স্বভাব প্রকৃতির) সঙ্গে মানুষের সাদৃশ্য পিতৃ-সাদৃশ্যের চেয়ে অধিক। -হজরত আলী (রা.)
১১০। মানুষ তার জিহ্বার নীচে লুক্কায়িত থাকে। -হজরত আলী (রা.)
১১১। যে মানুষ আপন মর্যাদার সীমা বুঝে তার কোনো ধ্বংস নেই। -হজরত আলী (রা.)
১১২। কখনো কখনো একটি মাত্র শব্দ বিরাট বঞ্চনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। -হজরত আলী (রা.)
১১৩। জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা যত বাড়বে , বক্তব্য তত কমবে । -হজরত আলী (রা.)
১১৪। মানুষের প্রতিটি নি:শ্বাস মৃত্যুর পদক্ষেপ মাত্র । -হজরত আলী (রা.)
১১৫। আমি তোমাদেরকে পাচটি বিষয় বলে দিচ্ছি, যদি তোমরা উটে চড়ে দ্রুত তা খুজে নাও তবে এর সুফল পাবে :
ক/ আল্লাহ ছাড়া আর কিছুতে আশা স্হাপন না করা
খ/ নিজের পাপ ছাড়া আর কোন কিছুকে ভয় না করা
গ/ যা নিজে জানো না সে বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হলে ‘আমি জানি না’ বলতে লজ্জাবোধ না করা
ঘ/ যা নিজে জানো না তা অন্যের কাছ থেকে শিক্ষা করতে লজ্জা না করা
ঙ/ এবং ধৈর্য্য ধারণ করতে অভ্যাস করা , কারণ দেহের জন্য মাথা যেরূপ ঈমানের জন্য ধৈর্য্য তদ্রুপ । -হজরত আলী (রা.)
১১৬। আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা পাবার দুটি উপায় ছিল- একটি তুলে নেয়া হয়েছে অপরটি তোমাদের সম্মুখে রয়েছে । সুতরাং যেটা তোমাদের সম্মুখে রয়েছে তা তোমাদের মানতে হবে । রক্ষা পাবার যে উপায়টি তুলে নেয়া হয়েছে তা হলো আল্লাহর রাসূল (সা.) এবং যেটি এখনো আছে তা হলো ক্ষমা প্রার্থনা করা । -হজরত আলী (রা.)
১১৭। ইসলামের যথার্থ ফেকাহবিদ সে যে আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ করে না, আল্লাহর দয়ার প্রতি হতাশ করে না এবং আল্লাহর শাস্তি থেকে নিরাপদ বলে মনে করিয়ে দেয় না । -হজরত আলী (রা.)
১১৮। হীনতম জ্ঞান জিহ্বায় থাকে এবং উচ্চমানের জ্ঞান কর্মের মাঝে প্রকাশ পায় । -হজরত আলী (রা.)
হযরত আলী (রাঃ) এর অমর বাণী (পর্ব-১)
হজরত আলী (রা.) এর অমর বানী (পর্ব-২)
হজরত আলী (রা.) এর অমর বানী (পর্ব-৩)