হযরত আলী (রা.) এর অমর বাণী ঃ
৮১। অভ্যাসকে জয় করাই পরম বিজয়। -হজরত আলী (রা.)
৮২। দ্রুত ক্ষমা করে দেয়া সম্মান বয়ে আনে, আর দ্রুতপ্রতিশোধ পরায়ণতা অসম্মান বয়ে আনে। -হজরত আলী (রা.)
৮৩। দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা যত বেশি হবে,আল্লাহর প্রতি ততোটাই কম হবে । -হজরত আলী (রা.)
৮৪। মন্দ লোক অন্যদের সম্পর্কে ভালো ধারণা করতে পারে না, সর্বোচ্চ সে তাদেরকেও নিজের মত মনে করে। -হজরত আলী (রা.)
৮৫। যৌবনের অপচয়কৃত সময়ের ক্ষতি অবশ্যই পূরন করতে হবে, যদি তুমি সন্তোষজনক সমাপ্তি অনুসদ্ধান করো । -হজরত আলী (রা.)
৮৬। নিজের মহানুভবতার কথা গোপন রাখো, আর তোমার প্রতি অন্যের মহানুভবতার কথা প্রচার করো। -হজরত আলী (রা.)
৮৭। আত্মতুষ্টি নিশ্চিতভাবে নির্বুদ্ধিতার লক্ষণ। -হজরত আলী (রা.)
৮৮। বিপদে অস্থিরতা নিজেই একটি বড় বিপদ। -হজরত আলী (রা.)
৮৯। অসৎ লোকের ধন – দৌলত পৃথীবিতে সৃষ্ট জীবের বিপদ – আপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। -হজরত আলী (রা.)
৯০। অসৎ লোক কাউকে সৎ মনে করে না,সকলকেইসে নিজের মত ভাবে। -হজরত আলী (রা.)
৯১। অল্প দান করিতে লজ্জিত হইও না,কেননা বিমুখ করা অপেক্ষায় অল্প দান করা অনেক ভাল। -হজরত আলী (রা.)
৯২। পাপের কাজ করে লজ্জিত হলে পাপ কমে যায় “আর পুণ্য কাজ করে গর্ববোধ করলে পুণ্য বরবাদ হয়ে যায়। -হজরত আলী (রা.)
৯৩। পাচটি জিনিস খুব খারাপ,
ক/ আলেমের খারাপ কাজ,
খ/ শাসকের লালসাবৃত্তি,
গ/ বৃদ্ধের জেনাকারিতা,
ঘ/ ধনীর কৃপণতা,
ঙ/ নারীর নির্লজ্জতা -হজরত আলী (রা.)
৯৪। প্রতিটি মানুষের মূল্য তার যোগ্যতায়। -হজরত আলী (রা.)
৯৫। মানুষের সাথে তাদের বুদ্ধি পরিমাণ কথা বলো। -হজরত আলী (রা.)
৯৬। অভিজাত লোকের হামলা সম্পর্কে সতর্ক হও যখন সে ক্ষুধার্ত হয়। আর ইতর লোকের হামলা হতে সতর্ক হও যখন সে পূর্ণ উদর হয়। -হজরত আলী (রা.)
৯৭। হৃদয়সমূহ একত্র করো এবং তা ধরে রাখতে হেকমতের আশ্রয় গ্রহণ করো । কেননা শরীরের ন্যায় হৃদয়ও ক্লান্তি ও একঘেয়েমী বোধ করে। -হজরত আলী (রা.)
৯৮। নফস হলো প্রবৃত্তির পূজারী। সহজগামী আমোদ-প্রমোদের অভিলাসী, কু-প্ররোচনায় অভ্যস্ত, পাপাচারে আসক্ত, আরাম প্রিয় ও কর্মবিমুখ। যদি তাকে বাধ্য করো তাহলে সে দুর্বল হয়ে পড়বে। আর যদি তাকে ছেড়ে দাও তাহলে (তুমি) ধ্বংস হয়ে যাবে। -হজরত আলী (রা.)
৯৯। তোমাদের কেউ যেন আপন প্রতিপালক ছাড়া অন্য কারো আশা না করে এবং তাঁর ‘শাস্তি’ ছাড়া অন্য কিছুকে ভয় না করে। তোমাদের কেউ যেন যা জানে না তা শিখতে এবং না জানা বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হলে ‘জানি না’ বলতে সংকোচ বোধ না করে। -হজরত আলী (রা.)
১০০। অভাব বিচক্ষণ ব্যক্তিকেও যুক্তির ক্ষেত্রে নির্বাক করে দেয়। অভাবী যেন নিজ দেশেই পরবাসী। -হজরত আলী (রা.)
হযরত আলী (রাঃ) এর অমর বাণী (পর্ব-১)
হজরত আলী (রা.) এর অমর বানী (পর্ব-২)
হজরত আলী (রা.) এর অমর বানী (পর্ব-৩)