হযরত আলী (রা.) এর অমর বাণী ঃ
৬১। ছোট পাপকে ছোট বলিয়া অবহেলা করিও না, ছোটদের সমষ্টিই বড় হয় । -হজরত আলী (রা.)
৬২। নীচ লোকের প্রধান হাতিয়ার অশ্লীল বাক্য । -হজরত আলী (রা.)
৬৩। পুণ্য অর্জন অপেক্ষা পাপ বর্জন শ্রেষ্ঠতর । -হজরত আলী (রা.)
৬৪। মানুষের কিসের এত অহংকার, যার শুরু একফোটা রক্তবিন্দু দিয়ে আর শেষ হয় মৃত্তিকায় । -হজরত আলী (রা.)
৬৫। সবচেয়ে সাহসী ও বীর্যবান ব্যক্তি হলো সেই যে স্বীয় কামনা বাসনার খেয়াল খুশির উপর বিজয় লাভ করতে সক্ষম। -হজরত আলী (রা.)
৬৬। হযরত আলী (রাঃ) কোথাও যাচ্ছিলেন। পথে এক ব্যক্তি অনাহুতভাবে তাকে গালাগাল দিতে শুরু করল। হযরত আলী লোকটির কাছে গিয়ে বললেন, ভাই! তুমি আমার সম্পর্কে যা কিছু বললে তা যদি সত্য হয় তবে আল্লাহ যেন আমাকে ক্ষমা করে দেন আর যদি তোমার এই সমস্ত কথা সত্য না হয় তবে আল্লাহ পাক যেন তোমাকে ক্ষমা করে দেন। -হজরত আলী (রা.)
৬৭। প্রকৃত দ্বীনদারী পার্থিব স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমেই সম্ভব। -হজরত আলী (রা.)
৬৮। কারো সাথে বাক্যলাপ না হওয়া পর্যন্ত তাকে তুচ্ছ জ্ঞান করোনা। -হজরত আলী (রা.)
৬৯। কেউ স্বীকৃতি না দিলেও তুমি তোমার সদাচরণ অব্যাহত রাখবে। -হজরত আলী (রা.)
৭০। বন্ধুত্ব করার মত কোন যোগ্যলোক পাওয়া না গেলেও অযোগ্যদের সাথে বন্ধুত্ব করতে যেও না। -হজরত আলী (রা.)
৭১। অল্প বিদ্যায় আমল বিনষ্ট হয়। শুদ্ধ জ্ঞানই আমলের পুর্ব শর্ত। -হজরত আলী (রা.)
৭২। সততার মাধ্যমে একজন নিরীহ প্রকৃতির লোকও যে মর্যাদার অধিকারী হয়, বুদ্ধিমানেরা রকমারী কলাকৌশল প্রয়োগ করেও তার নিকটে পৌঁছতে পারে না। -হজরত আলী (রা.)
৭৩। ধন সম্পদের অহংকার থেকে আল্লাহর পানাহ চাও।এটা এমন একরোগ, যা মানুষকে ধ্বংসের শেষ পর্যায়ে পৌছিয়ে দেয়। -হজরত আলী (রা.)
৭৪। সেই ব্যক্তির পক্ষেই সর্বাধিক সৎকর্ম করা সম্ভব,যে ক্রোধ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম। -হজরত আলী (রা.)
৭৫। সর্বাপেক্ষা করুণার পাত্র হচ্ছে ঐ ব্যক্তি-
ক) যে আলেম ব্যক্তির উপর জাহেলরা কতৃত্ব করে।
খ) যে ভদ্রব্যক্তি কোন ইতর লোকের অধীন হয়ে পড়ে।
গ) ঐ সৎব্যক্তি যার মাথার উপর পাপিষ্ঠ চেপে বসে। -হজরত আলী (রা.)
৭৫। সর্বোত্তম বক্তব্য সেটিই, স্বয়ং বক্তা যা কার্যে পরিণত করে। -হজরত আলী (রা.)
৭৬। সর্বাপেক্ষা আহাম্মক ঐ ব্যক্তি যে অন্যের বদঅভ্যাসের প্রতি ঘৃণা পোষণ করে, এবং লোক চক্ষুর আড়ালে নিজেই সেই সব বদঅভ্যাসে জড়িত থাকে। -হজরত আলী (রা.)
৭৭। দুনিয়া ও আখেরাত দুই সতীনের ন্যায়। স্বামী যেমন একজনকে খুশি করতে চাইলে অন্যজন ক্ষিপ্ত হয়। তেমনি কেউ দুনিয়ার জীবনকে সুখময় করতে চাইলে আখেরাতের ক্ষতি এবং আখেরাতকে নির্বিঘ্ন করতে চাইলে দুনিয়ার জীবনের ক্ষতি স্বীকার করা ছাড়া গত্যন্তর নেই। -হজরত আলী (রা.)
৭৮। বুদ্ধিমানেরা বিনয়ের দ্বারা সম্মান অর্জন করে,আর বোকারা ঔদ্ধত্যের দ্বারা অপদস্ত হয়। -হজরত আলী (রা.)
৭৯। অনুশোচনা খারাপ কাজকে বিলুপ্ত করে আর অহংকার ভালো কাজকে ধ্বংস করে। -হজরত আলী (রা.)
৮০। অনর্থক কামনা নিজেই একটি ধ্বংসাত্বক সঙ্গী,আর বদ-অভ্যাস সৃষ্টি করে একটি ভয়াবহ শত্রু । -হজরত আলী (রা.)
হযরত আলী (রাঃ) এর অমর বাণী (পর্ব-১)
হজরত আলী (রা.) এর অমর বানী (পর্ব-২)
হজরত আলী (রা.) এর অমর বানী (পর্ব-৩)