৬১। আমার মৃত্যুকালে তোমাকে যে- কথাটা বলিব মনে করিয়াছিলাম, আজ তাহা বলিতে ইচ্ছা করিতেছে। আজ মনে হইতেছে, তুমি আমাকে যত শাস্তি দাও- না কেন আমি বহন করিতে পারিব। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৬২। মানুষের একটা বয়স আছে যখন সে চিন্তা না করিয়াও বিবাহ করিতে পারে। সে বয়স পেরোলে বিবাহ করিতে দুঃসাহসিকতার দরকার হয়। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৬৩। সময়ের সমুদ্রে আছি,কিন্তু একমুহূর্ত সময় নেই। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৬৪। অধিকার ছাড়িয়া দিয়া অধিকার রাখিতে যাইবার মত এমন বিড়ম্বনা আর না। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৬৫। অলৌকিক আনন্দের ভার, বিধাতা যাহারে দেন, তার বক্ষে বেদনা অপার। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৬৬। শিমুল কাঠই হোক আর বকুল কাঠই হোক, আগুনের চেহারাটা একই। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৬৭। যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৬৮। সাত কোটি বাঙালিরে হে মুগ্ধ জননী রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনি। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৬৯। মনে যখন একটা প্রবল আনন্দ একটা বৃহৎ প্রেমের সঞ্চার হয় তখন মানুষ মনে করে, ‘আমি সব পারি’। তখন হঠাৎ আত্মবিসর্জনের ইচ্ছা বলবতী হইয়া ওঠে। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৭০। একটা মন আর একটা মনকে খুজিতেছে নিজের ভাবনার ভার নামাইয়া দিবার জন্য, নিজের মনের ভাবকে অণ্যের মনে ভাবিত করিবার জন্য।-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৭১। পাপকে ঠেকাবার জন্য কিছু না করাই তো পাপ।-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৭২। আমার তৃষ্ণা তোমার সুধা তোমার তৃপ্তি আমার সুধা। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৭৩। যে পুরুষ অসংশয়ে অকুন্ঠিতভাবে নিজেকে প্রচার করিতে পারে সেই সমর্থ পুরুষ সহজেই নারীর দৃষ্টি আর্কষণ করিতে পারে। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৭৪। মন দিয়ে মন বোঝা যায়, গভীর বিশ্বাস শুধু নীরব প্রাণের কথা টেনে নিয়ে আসে। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৭৫। প্রেমের আনন্দ থাকে স্বল্পক্ষণ কিন্তু বেদনা থাকে সারাটি জীবন। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৭৬। স্বামীরা প্রেমিক হতে অবশ্যই রাজি, তবে সেটা নিজের স্ত্রীর সাথে নয়। নিজের স্ত্রীর প্রেমিক হবার বিষয়টা কেন যেন তারা ভাবতেই চায় না। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৭৭। চোখ কতটুকুই দেখে কান কতটুকুই শোনো স্পর্শ কতটুকুই বোধ করে। কিন্তু মন এই আপন ক্ষুদ্রতাকে কেবলই ছড়িয়ে যাচ্ছে। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৭৮। অপর ব্যাক্তির কোলে পিঠে চড়িয়া অগ্রসর হওয়ার কোন মাহাত্ম্য নাই – কারণ চলিবার শক্তিলাভই যথার্থ লাভ, অগ্রসর হওয়া মাত্র লাভ নহে। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৭৯। শুধু দিনযাপনের শুধু প্রাণধারণের গ্লানি
শরমের ডালি,
নিশি নিশি রুদ্ধ ঘরে ক্ষুদ্রশিখা স্তিমিত দীপের
ধূমাঙ্কিত কালি। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৮০। নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস, ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস। নদীর ওপার বসি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে; কহে, যাহা কিছু সুখ সকলি ওপারে। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বাণী (পর্ব-১)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বাণী (পর্ব-২)