খনার বচন (khonar bochon), ক্ষণার বচন ঃ খনা ছিলেন জ্যোতির্বিদ্যায় পারদর্শী এক বিদুষী বাঙ্গালী নারী। তার প্রকৃত নাম ছিল লীলাবতী। ধারণা করা হয় তার সময়কাল ছিল ৮০০ থেকে ১২০০ সালের মধ্যে। ইতিহাসবিদদের মতে খনার বাস ছিল পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার বারাসাত মহকুমার দেউলিয়া গ্রামে। বর্তমান এটি চন্দ্রকেতুগড় প্রত্নস্থল, খনামিহিরের ঢিবি নামে পরিচিত। ক্ষনা/ খনা জীবনে যে ভবিষ্যতবাণী করে গেছেন বা যা লিখে গেছেন তাই এখন খনার বচন ,খনার বাণী, ডাকের বচন ইত্যাদি নামে পরিচিত। খনার বচন সমূহ পর্বঃ ১
১। বারো মাসে বারো ফল না খেলে যায় রসাতল।
২। খনা বলে শুন কৃষকগণ হাল লয়ে মাঠে বেরুবে যখন।
শুভ দেখে করবে যাত্রা না শুনে কানে অশুভ বার্তা।
ক্ষেতে গিয়ে কর দিক নিরূপণ, পূর্ব দিক হতে হাল চালন নাহিক সংশয় হবে ফলন। ”
৩। বার বছরে ফলে তাল, যদি না লাগে গরু নাল।
৪। নিত্যি নিত্যি ফল খাও, বদ্যি বাড়ি নাহি যাও।
৫। দিনের মেঘে ধান, রাতের মেঘে পান।
৬। কি করো শ্বশুর লেখা জোখা,
মেঘেই বুঝবে জলের রেখা।
কোদাল কুড়ুলে মেঘের গাঁ,
মধ্যে মধ্যে দিচ্ছে বা।
কৃষককে বলোগে বাঁধতে আল,
আজ না হয় হবে কাল।
৭। সাত হাতে, তিন বিঘাতে
কলা লাগাবে মায়ে পুতে।
কলা লাগিয়ে না কাটবে পাত,
তাতেই কাপড় তাতেই ভাত।
৮। বেল খেয়ে খায় পানি, জির বলে মইলাম আমি।
৯। আম খেয়ে খায় পানি, পেঁদি বলে আমি ন জানি।
১০। শুধু পেটে কুল, ভর পেটে মূল।
১১। ঘোল, কুল, কলা তিনে নাশে গলা।
১২।আম লাগাই জাম লাগাই
কাঁঠাল সারি সারি-
বারো মাসের বারো ফল
নাচে জড়াজড়ি।
১৩। ফাল্গুন না রুলে ওল, শেষে হয় গণ্ডগোল।
১৪। মাঘে মুখী, ফাল্গুনে চুখি, চৈতে লতা, বৈশাখে পাতা।
১৫। আম নিম জামের ডালে দাঁত মাজও কুতুহলে।
১৬। সকল গাছ কাটিকুটি কাঁঠাল গাছে দেই মাটি।
১৭। শাল সত্তর, আসন আশি
জাম বলে পাছেই আছি।
তাল বলে যদি পাই কাত
বার বছরে ফলে একরাত।
১৮। সরিষা বনে কলাই মুগ, বুনে বেড়াও চাপড়ে বুক।
১৯। গোবর দিয়া কর যতন, ফলবে দ্বিগুণ ফসল রতন।
২০। খনা বলে চাষার পো শরতের শেষে সরিষা রো